পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বোরলাম-পথে ললিতবাবার সঙ্গে Einstein সম্পবন্ধে কথাবাৰ্ত্তা হ’ল। ঝাঁ ঝাঁ করছে। রোন্দর-আমরা গেলাম কমলাকুণড, সেই বস্তীটার কাছে তিন সীমানার মীমাংসা করতে। সেখানে হরিবাবার তহশীলদারাও এল। সেখান থেকে বার হয়ে ঘোড়া ছটিয়ে দিলাম।--বেলা পড়ে গেল—পাহাড়টার দিকে চাইতে চাইতে ভাবছিলামগাছটােয় দ্য একদিন হ’ল চড়কের কাঁটা ভাঙা হয়েছে। আজ যদি হঠাৎ যাই। তবে সে সব দেখে মনে হবে। আবার ছোট হয়ে বনগাঁয়েই পড়ি। ক্ৰমে বেশ রৌদ্র গড়িয়ে বিকেল হয়ে গেল। নাঢ়াবইহারের দিকে সােয্যটা লাল হয়ে ডবে যেতে লাগলো। ঘোড়াটা কি চমৎকার ছোটে! কি আরাম! মক্তমাঠের মধ্যে হাওয়ায় ওরকম ঘোড়া ছটিয়ে আসা কি আনন্দের! পথে গণপৎ ঝা ও সহদেব ভকতের সঙ্গে দেখা। ইসমাইলপির জঙ্গলে একজন কে আগন দিয়েছে-নাম বললে হংসরাজ-আসরফি আমিন জমি মেপে দিয়েছে বললে। দিয়ারায় যাব গম সব কাটা হয়ে গিয়েছে—তার পর এসে সেই যে জায়গাটা আমি রোজ ঘোড়া নিয়ে পাহাড় দেখি, সেখানে এলাম। অনেকক্ষণ সেখানে দাঁড়িয়ে রইলাম—বড় ভাল লাগল—মক্ত উদার মাঠ, হ হ নিৰ্ম্মমল হাওয়াদািরবিসিপিত দিকচক্ৰবাল—জঙ্গলের খানিকটা খড়ে ফেলেছে। তারই পাশ দিয়ে এসে লোধাইটোলার ঐ পথটা দিয়ে ঘোড়াটা যা ছািটলো! ফিরে এসে সনান করলাম। দিনটা ভাল লাগল-—এগার ঘণ্টা ঘোড়ার ওপর কেটেছে আজ। এত ক্লান্ত কোন দিন হইনি। ৷৷ ১৬ই এপ্রিল, ১৯২৮ ৷৷ s মাজ বৈকালের দিকে ছোট ঘোড়াটা ক'রে ললিতবাবর দিয়ারা কাছারী গেলাম। বেশ লাগল-বাইরে টেবিল পেতে ললিতবাব ও মোহিনীবাব বসে-হ, হ করে পাবে হাওয়া আসছে। সারাদিন গরমের পরে বেশ লাগল। টেলিসেম্বকাপে নক্ষত্রটা দেখে frNGIT: Nion Nebula-GT3 CfGT I SİST Observation-qq Gr GsGFKoừi খাটিয়ে রেখে দিয়েছেন। এখন মনে পড়লো ছেলেবেলায় কলকাতা থাকতে দেখেছিলাম, চীৎপর রেলের ধারে একটা লোক এই রকম টেলিসেম্বকাপ দিয়ে মাপ করছেন —বাবা বললেন, দরবীন। না জানি সে লোকটা এখন বেচে আছে কি-না। তারপর গল্পগজব করবার পর রাত্রি সাড়ে-নাটার সময় সেখান থেকে বেরলাম। লোধাইটোলা পৰ্য্যন্ত একজন আলো দিয়ে পৌছে দিয়ে গেল। ভণনি ভগৎ খাতির করে সম্পানি ও সিগারেটা দিলে। তারপরই অন্ধকার-পথ দেখা যায় না-মাথার ওপর নক্ষত্রভীন্না আকাশ। --নক্ষত্রের আলোয় একটা একটি পথ দেখা যাচ্ছিল। ঘোড়া বেশ ছািটল। এক জায়গায় - এমন Romantic লাগছিল—বালা মন্ডলের টোলার ওদিকের ঘেরাক্ষেত থেকে একটা বনো শায়োর ঘোঁৎ ঘোঁৎ করে চলে গেল। বামা বৈরিজের বাসাটা ছাড়িয়ে মাঠের মধ্যে পড়ে ঘোড়াটা যা ছািটলো—একেবারে জঙ্গল-মাথার ওপরে নক্ষত্ৰভরা আকাশ। কাছারীতে এসে দেখলাম। ললিতবাবা Traverse টেবিলের জন্যে Draft-টা পাঠিয়ে দিয়েছেন। মানী ভাগলপর থেকে এসেছে। টেবিলের ওপর গলাসের জলে তিনটে বড় ম্যাগনেলিয়া সাজানো। ৷৷ ১৭ই এপ্রিল, ১৯২৮ ৷৷ বৈকালের দিকে ঘোড়া নিয়ে বেড়াতে গেলাম। এক দৌড়ে এতটা পথ কোনো ঘোড়াকে আমি যেতে দেখিনি। লোধাইটোলার ওপারের মাঠে অনেক খেড়ীর গাছ গত বৎসরের বীজ থেকে বেরিয়েছে। সেখানে ঘোড়াকে ছেড়ে দিয়ে একটা সিগারেট N) Գ