পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উৎসর্গ “সািহন্দিবার শ্ৰীযক্তি সজনীকান্ত দাসের করকমলে’ বিভিন্ন অবস্থায় ও বিভিন্ন পারিপাশি বািক পরিবত্তানে মনের মধ্যে যে অনভূতি জাগে, আমার এই দৈনন্দিন লিপিতে তাহাই প্ৰতিবিম্পিবত হইয়াছে মাত্র । কখনো অন্ধকারে, কখনো জ্যোৎস্না-সনাত রজনীতে, কখনো সখে, কখনো দঃখে, গহন পৰ্ব্ববর্ততারণ্যে বা জনকোলাহলমখর নগরীতে, ভিন্ন মানষের সংস্পশে বা শান্ত নিঃসঙ্গতার মধ্যে মন যেখানে নিজেকেই লইয়া ব্যস্ত ছিল— এই সব রচনার সক্ৰিট সেখানে। পাস্তকে বা পত্রিকায় ছাপার অক্ষরে প্ৰকাশের জন্য এগলি লিখিত হয় নাই । সেই জন্য বহিস্থলে এই রচনাগলির মধ্যে এমন জিনিস দেখা দিয়াছে যাহা নিতান্তই ব্যক্তিগত । লিপিকৌশলের ইচ্ছাও ইহাদের মলে ছিল না-হয়তো দ্ৰত ধাবমান রেলের গাড়িতে, কিংবা পথচারী পথিকের সবলপ অবসরে, পথিপাশে বরি কোনো বক্ষেতলে বা শিলাসনে যে সব রচনার উদভাবলেখকমনের কারিকুরি প্রকাশের অবকাশ সেখানে কোথায় ? যে অবস্থায় যেটি ছিল, অপরিবত্তিত ভাবেই সেগলি ছাপা হইয়াছে। আমার জীবনে ব্যক্তিগত অনভূতির অতীত ইতিহাসের দিক হইতে ইহার মাল্য আমার নিজের কাছে যথেস্ট বেশি। বহল হারানো দিনের মনের ভাব ও বিসমত অনভূতিরাজি আবার সম্পন্ডট হইয়া ওঠে। যে সব অবস্থার মধ্যে আর কখনো পড়িব না, ক্ষণকালের জন্য তাহার মধ্যে আবার ডবিয়া যাই এগলি পড়িতে পড়িতে, —ব্যক্তিগত সখ-দঃখকে বাণীমত্তি দেওয়ার ইহা একটি বড় সােথ কিতা বলিয়া মনে করি । অামার জীবনের ও জগতের বহিন্দেশে যাঁহারা অবস্থিত—তাঁহারা এগলি হইতে কি রস পাইবেন আমি জানি না, তবে একথা অনস্বীকায্য যে কৌতুক বা কৌত হলের মধ্য দিয়া একটি নৈব্বব্যক্তিক আনন্দের অনভূতি জীবনের সকল দশকের পক্ষেই স্বাভাবিক—কারণ ইহার মিলে রহিয়াছে মানবমনের মলগত ঐক্য । aataas