পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করেচে। দেখে আমি আনন্দিত। প্রবাসী অফিসে বসে এই কথাই কেবল মনে উঠছিল। যে আজ মহালয়া, পিতৃতপণের দিনটা, কিন্তু আমি তিলতুলসী তপণে বিশ্ববাসাবান নই-বাবা রেখে গিয়েছিলেন তাঁর অসম্পপণ্য কাজ শেষ করবার জন্যে, তাই যদি করতে পারি, তার চেয়ে সত্যতার কোনো তপণের খবর আমার জানা নেই। আজ এই নিডজন, নীরব রাত্ৰিতে বহ দরবত্তী আমার সেই পোড়ো ভিটরি দিকে চেয়ে এই কথা মনে হোল যে তার প্রতি সন্ধ্যা, প্রতি বৈকাল, প্রতি জ্যোৎস্নামাখা রাত্রি, তার ফল, ফল, আলো, ছায়া, বন, নদী-বিশ বৎসর পকেবর সে অতীত জীবনের কত হাসি কান্না ব্যথা বেদনা, কত অপব্ব জীবনোল্লাসের সমিতি আমার মনকে বিচিত্র সৌন্দয্যের রঙে রাঙিয়ে দিয়েছিল। আমার সমস্ত সাহিত্য-সন্টির প্রচেস্টার মলে তাদেরই প্রেরণা, তাদেরই সর। আজ বিশ বৎসরের দরজীবনের পার হতে আমি আমার সে পাখী-ডাক, তেলাকুচা-ফল ফোটা, ছায়াভরা মাটির ভিটাকে অভিনন্দন করে এই কথাটি শািন্ধ õVC) उ फ्राशे ভুলিনি। ভুলিনি। যেখানেই থাকি ভুলিনি...তোমারই কথা লিখে রেখে যাবে। --সদীঘ অনাগত দিনের বিভিন্ন ও বিচিত্র। সারসংযোগের মধ্যে তোমার মেঠো একতারার উদার, অনাহত ঝঙ্কারটিকু যেন অক্ষশ্ন থাকে। আরও অভিনন্দন পাঠাই সেই সব লোকদের—যাদের বেদনার রঙে আমার বই রঙীন হয়েচে-কত স্থানে, কত অবস্থার মধ্যে তাদের সঙ্গে পরিচয়। কেউ বেচে আছে, কেউ বা হয়তো আজ নেই—এদের সকলের দঃখ, সকলের ব্যর্থতা, বেদনা আমাকে প্রেরণা দিয়েচে-কারীর সঙ্গে দেখা দিনে, কারার সঙ্গে রাত্ৰে,-মাঠে বা নদীর ধারে, সখে কিংবা দঃখে। এরা আজ কোথায় আছে জানিনে। কোথায় পাবো ঝালকাটির সেই ভিখারীকে, কোথায় পাবো। আজ হিরােকাকাকে, কোথায় পাবো কামিনী বাড়ীকে-কিন্তু এই নিস্তব্ধ রাত্রির অন্ধকার-ভরা শান্তির মধ্য দিয়ে আমি সকলকেই আমার অভিনন্দন পাঠিয়ে দিচ্চি। যারা হয়তো আমার ছাপা-বই দেখলে খাশী হোত, তারাও অনেকে আজ বেচে নেই-তাতে দঃখিত নই, কারণ গতিকে বন্ধ করার মলে কোনো সার্থকতা নেই তা জানি—তাদের গমনপথ মঙ্গলময় হোক, তাদের কথাও আমার মন থেকে মনে যায়নি। আজ রাত্রে। আজই সকালে দেশ থেকে এলাম। কাল বৈকালে গিয়েছিলাম বারাকপরে { সইমার বড় অসখি। ষষ্ঠীর হাট বাজার, জেলি গোপালনগর থেকে নিয়ে এল ঘি, ময়দা। নগেন খড়ো সপরিবারে ওখানেই। কি সন্দির বৈকাল দেখলাম! সে আনন্দের কথা আর জানাতে পারি নে-ঝোপে। ঝোপে নীল অপরাজিতা, সগন্ধি নাটােকাঁটার ফল, লেজ-ঝোলা হলদেডানা পাখীটা —অস্তসায্যের রাঙা আভা, নীল আকাশ, মক্তির আনন্দ, কলপনা, খশি। আজ এখন সটকেশ গোছাচ্চি। এই মাত্র আমি ও উপেনবাব টিকিট করে এলাম, আজ রাত্রের ট্রেনে যাবো দেওঘর। কাল আবার সপ্তমী। ওখান থেকে হাজারিবাগ যাবার ইচ্ছে আছে, দেখি কি হয়। সেই “রাতের ঘােম ফেলন মাছে” গানটা মনে পড়ে। এই অশিবানীবাবর বোডিং-এ, ১৯১৮ সালে। আজ শ্যামাচরণদাদাদের “মাধবী কঙ্কণ” বইখানা এনেচিt সেই কতকাল আগেকার সৌন্দৰ্য, সেই পজোর পর বাবার সঙ্গে ম্যালেরিয়া নিয়ে