পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্নানে কেওটা গিয়েছিলেন ; বাবা সকালে মািখ ধাচ্ছিলেন আমি পেছনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। বাড়ি ঠিক মনে করে রেখেচে। সেই দিনটি থেকে জীবন আরম্ভ হয়। NI ? এসেই ওদের বাড়ি গেলাম। জগদ্ধাত্রী পাজার নিমন্ত্রণে। বিভূতি, ঘণ্ট খািব খেলা করলে। সেখান থেকে এই ফিরচি। ভারী ঘটনাবহল দিনটি। ভোরে উঠে প্রথমে গেলাম হোটে ইডেন গাডেনে। শিশিরসিক্ত ঘাসের ধারে ধারে বেড়াতে বেড়াতে খালের জলের রক্ত-মণিালগলি দেখছিলাম। দটি রাঙা ফ্রকপরা ফিরিঙ্গি বালিকা ফল তুলে বেড়াচ্ছিল। কেয়াঝোপে। খানিকটা বসে বসে “আলোক-সারথি"র* ছক কাটলাম। পরে দাখানা বায়োসেম্বকাপের টিকিট কিনে বাড়ি ফিরবার পথে রমাপ্রসনের ওখান হয়ে এলাম। বৈকালে প্রথম গেলাম প্রবাসী অফিসে। কেদারবাব মোটরে ঢািকচেন, গেটের কাছে নমস্কার বিনিময় হোল। সজনীর ঘরে গিয়ে দেখি ডাঃ সশীল দে বসে আছেন। একটি পরে নীহারবাবও এলেন। খাব খানিক গলপ-গজবের পর তিনজনে গেলাম সজনীর বাড়ি। উষাদেবী চলে গিয়েচোন। আমার বইখানি গিয়েচেন নিয়ে। সেখানে “বাঁশি বাজে ফল বনে" গানটা শািনলাম না বটে, একটা জৌনপরী টোড়ী রেকড শািনলাম। চা পানের পরে ডাঃ দে বাড়ি চলে গেলেন ; আমরা তিনজনে গেলাম বায়োস্কোপে। পথে বার বার চেয়ে দেখছিলাম—আজি পণিমা, মানিকতলা সপারের পিছন থেকে পৰ্ণচন্দ্র উঠচে। বহন্দরের আমাদের বাড়িটাতে নারিকেল গাছটার পিছন থেকে চাঁদটা ওই রকম উঠচে হয়ত। সে সময়টা-সেই “আমার অপব্ব ভ্ৰমণ”, “রাজপত জীবন সন্ধ্যা”—সে কি অপব্ব শৈশবের আনন্দ উৎসাহ, —কি অপব্ব বিচিত্র জীবনটা তাই শােধ ভাবি। Sunrise filmটা মন্দ নয়। হিন্দ স্থান রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়ে গিরিজাবাবর সঙ্গে দেখা, নমস্কার বিনিময় ও আলাপ হোল।—বাবা B. P. C. C. থেকে returned হয়েচেন শািনলাম, মনটা একটা দমে গেল। বায়োস্কোপ দেখে ফেরবার পথে দীনেশ দাশের সঙ্গে দেখা। প্রবাসী অফিসে মানিকবাবা জানালেন, কেদারবাব মঙ্গলবারে লেখা চান। আবার প্রবাসীতে যাবার আগে বিচিত্রা অফিসে উপেনবাব ডেকে orfGfzCoin, virre sñg (GIT bin Sub Editor-as declarationó भौध छि श्व ऊिनि ठानाCलन। তারপর বায়োস্কোপ থেকে গেলাম বিভূতিদের বাড়ি। নিমন্ত্রণ ছিল। সেখানে দেখি বৈঠকখানাতে বায়োস্কোপ হচ্চে। বিভূতি বসতে বললে। তারপর দেবেন ও হীরদের সঙ্গে খেতে বসা গেল। অনেকদিন পরে আজ আবার সেই রাস-পর্ণিমা। বেরিয়ে অনেকদিন আগের মত একখানা রিকশা করে জ্যোৎস্নায় ছাতিম ফলের গন্ধের মধ্যে দিয়ে বাসায় ফিরলাম। সেই ১৯২৩ সাল ও এই। এই ছয় বৎসরে কত পরিবত্তন। কে জানত উপরের ডায়েরীটা লিখবার সময় যে এই দিনটাতেই রাসপণিমার বায়োস্কোপের আসরেই ওদের বাড়ির সিদ্ধেশবরবাবার সঙ্গে আমার শেষ দেখা ! বাসায় এসে বারান্দায় রেলিং ধরে জ্যোৎস্না-ভরা আকাশটার দিকে চেয়ে চেয়ে মনে হচ্ছিল—যেন এক গ্রহদেব এই অনন্ত জ্যোৎস্নার মধ্য দিয়ে হ-হ করে উড়ে

  • পরে ‘অপরাজিত’ নামে প্রকাশিত।

NSO