পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চলেচেন ওপরে-ওপরে—সজোরে—সবেগে-পায়ের নীচে পরিাতন পরিচিত পথিবীটি রইল পড়ে—। বহদের আকাশে যেখানে পরমাণ তৈরী হচ্চে, উল্কারা ছটাচে, ছায়াপথ ছড়িয়ে আছে, নক্ষত্র ছটাচে-সেখানে। বন্ধর জবর হয়েচে-আজ দাদাকে পত্র দিয়েচি। দাদা যেতে বলেচেন, তা কি করে হয়। সেদিন বন্ধীর অত্যাচারের কথা কত শািনলাম। তার সত্ৰী, বোন ও শাশড়ীঠাকরান বললেন। শনে দঃখ হয়, কিন্তু উপায় কি! জ্যোৎসনারাত্রে আমাদের বাড়িটা বহন্দরে কেমন দাঁড়িয়ে আছে, কাঠ কাটা হয়েচে, আমাদের বাড়ির সামনে ছেলেবেলাকার মত পথের ওপর তার দাগ রয়েছে। শ্যামাচরণদাদাদের কাঠ। সে এক জীবন ! কি বিচিত্র, কি অদভুত, কি অপব্ব এই জীবন-ধারা! একে ভোগ করতে হবে। এই অপব্ব জ্যোৎস্নায় ইসমাইল।পরের জন্যে মন উদাস হয়ে যায়। যেন তার বিশাল চরাভূমি কালো জঙ্গল, নিজজন বালিয়াড়ি—আমায় ডাক দিচ্চে। কাল স্কুলে ছটায় ম্যানেজিং কমিটির মিটিং, এদিকে আবার তিনটার সময় ডাঃ দের ওখানে চা-পানের নিমন্ত্রণ। আজ দাপরে মনে পড়ছিল বোডিং-এ থাকতে Traveller's return গলপটা কি অপব্ব emotion নিয়ে পড়তুম। বাল্যের সে সব অপবােব emotion মনে পড়লেই মনে হয় কি অপব্ব এবং বিচিত্র এ জীবনধারা! সেদিনের সন্ধ্যায় নন্দরাম সেনের গলিতে যাওয়া, সেই চাউলের গদাম—সেই 'শভঙকরী পাঠশালার সামনে আমার সহপাঠীর বাড়ি মনে পড়ে। কি সন্দের! . এসবের জন্যে কাকে ধন্যবাদ দেবো ?-কস্মৈ দেবায় হবিষা বিধেম ? আজ মনের মধ্যে যে তীব্র creative আনন্দ অন্যভব করলাম, কলকাতায় এসে পয্যন্ত এক বছরের মধ্যে তা হয়নি কোন দিন। আজ সন্ধ্যাবেলা হঠাৎ কি হলো আমার, অকারণ আনন্দে মনের পাত্ৰ উপচে পড়াচে, একে যেন ধরে রাখা যাচ্ছে না। মন যেন কি বলে বঝতে পারি নে। কত কথা মনে হোল.সারা জীবনের আনন্দ ও সৌন্দয্য আজ আমার মনে ভিড় করেছে.সমরণীয় দিন, অতি সমরণীয় দিন, এরকম কিন্তু খাব বেশী দিন আসে না . ইনস্টিটটে সেই মহিলা পয্যটকের কথা পড়ছিলাম—তুষারবষী' শীতের রাত্রে উত্তরমের প্রদেশের বরফ জমা নদী ও অন্ধকার অরণ্যভূমির মধ্যে তিনি তাঁব ফেলে রাত্রে বিশ্রাম করতেন, দরে মের প্রদেশীয় Northern Light জবলে, একা। তিনি voiOS-'amidst a waste of for Zen river, and dark forests'-loss c নৈশ নীরবতা...নিতজানতা.গভীর শান্তি, মাথার উপর হলদে রং-এর চাঁদ, অবাস্তব, অন্য গ্রহের জ্যোতিলোেকর মত দেখায়...নৈশ আকাশে অগণ্য নক্ষত্র.আশেপাশে শত্ৰতুষারাবন্ত পাইন অরণ্যের আড়ালে লোলািপ নেকড়ের দল—আর ভাবতে পারা যায় না, মনকে বড় মগধ, অভিভূত করে। সন্ধ্যাবেলা এসে চেয়ারটাতে বসে চপ করে ভাবতে ভাবতে মনে পড়ল। এই সব শীতের রাত্রের ছেলেবেলায় আমাদের বাড়ির পেছনের ঘন বনে শিয়াল ডাকতে গভীর রাত্রে.সেই বিপদের ভয়, অজানার মোহ, গ্রাম্য জীবনের সৌন্দৰ্য.. অদ্ভুত ܠܠ