পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অপৰিব. আরও মনে পড়লো ইসমাইল।পরের জ্যোৎস্না রাত্রির সে অপার্থিব, weird beauty...সেই এক পণিমা-রাত্রির শত্ৰ জ্যোৎস্নার ঢেউয়ের নীচে আকন্দ-গাছ ...সবপ্নে যেন দেখি.. সেই কুমোরদের বাড়ি চাক ঘোরাচ্ছে দাস...পাশ্চাননতলায় কালীপ জো... ভগবান, কি অসীম বিচিত্ৰতা দিয়ে এই জীবন, আমার শািন্ধ নয়, সকলের জীবন গড়ে তুলচে- তা কে দেখে ? কে বোঝে ? ধন্যবাদ, অগণিত ধন্যবাদ..হে সৌন্দয্য সম্পটা মহাশিলপী, তোমাকে অন্তরের প্রেম কি বলে জানাবো, ভাষা খাঁজে পাই না... এ তো শােধ পথিবীর সখদঃখের কথা লিখচি—তবও তো আজ নাক্ষত্রিক শন্যের কথা ভাবি নি, অন্য অন্য জগতের কথা তুলি নি। অন্য গ্ৰহ-উপগ্রহের কথা ७ाई नि. द्र-प्रद्धान्ऊद्म कथा जूल नि. নতুন বৎসরের প্রথম দিনটাতে এবার মোটরে করে শ্ৰীনগর গেলাম। চালকী থেকে খাকীকে তুলে নিলাম, পরে গোপালনগরের বাজারে বঙ্কুর ড্রাইভার গৌরকে হরিবোলা ঠিক করে দিলে। ড্রাইভারটা প্রথমটাতে মেঠো পথে যেতে চায় না। অবশেষে অনেক করে রাজী করানো গেল। সিমলাতে গিয়ে কালীকে ডাকতে পাঠানো গেল, সে নাকি ভাত রাঁধচে। একটি ছোট মেয়ে জল নিয়ে এল। বালতিতে করে। খাবার খেয়ে নিয়ে আমরা আবার হলাম রওনা। শ্ৰীনগরের বনের মাথায় মটর ফলের মত একরকম ফল অজস্র ফটে আছে, এত চমৎকার লাগছিল। আসবার সময় ডাইনে পশ্চিম আকাশে সােয্য অস্ত যাচ্ছিল—আকাশের কি চমৎকার রঙটা যে! রাত আটটার সময় পৌছে গেলাম। কলকাতা, ঠিক চারটার সময় সিমলা থেকে ছেড়ে। এ যেন কেমন অদভুত লাগে। Sense of Space মানষের ব্রুমেই কেমন পরিবত্তিত হয়ে যাচ্ছে।...এক শত বৎসর পকেব, যা কিনা পাকা তিন দিনের পথ, গরর গাড়িতে চার দিনের পথ ছিল।...কে জানে আমাদের পৌত্র বা প্রপৌত্রদের Sense of space আরও কত পরিবত্তিত হবে!-- আজ অনেকক্ষণ কাজািন পাকে একা একা বেড়ালাম। পশ্চিম আকাশে সােয্যটা অস্ত যাচ্ছিল,-আমার শােধ মনে যােগ যাগের কলপনা জাগে। ঐ নক্ষত্রটা যে ওইখানে উঠেছে, ওতেও কত অপব্ব জীবনলীলা...। মাতু, বিরহ এসব যদি জীবনে না থাকতো। তবে জীবনটা একঘেয়ে, বৈচিত্র্যহীন হয়ে পড়তো-হারাবার শঙ্কা না থাকলে প্ৰেম, সেনহাও হয়তো গভীর ও মধর হতে পেত না। তাই যেন মনে হয়। কোন সনিপািণ শিলপ-সম্পটা এর এমন সন্দের ব্যবস্থা করেচেন যেন অতি তুচ্ছ, দরিদ্র লোকেরও জীবনের এ গভীর অনভূতির দিকটা বাদ না যায়। এ জীবনের অবদানকে খব কম লোকই বােবলে-কেউ এ সম্পবন্ধে চিন্তা করে না-সকলেই দৈনন্দিন আহারচিন্তায় ব্যস্ত। কে ভাবে জন্ম নিয়ে, মাতৃত্যু নিয়ে ? অবকাশ, ঈশবর, প্ৰেম, অনভূতি -- এসব নিয়ে কার মাথাব্যথা পড়েচে ? নট ও নায়েব ও সন্তোষবাবার সঙ্গে বেড়াতে গেলাম।—Lief Ericsson was spacehungry g So am II" জানি না কেন আজ ক'দিন থেকে মনটা কেবলই মাক্তির জন্য ছটফট করচে। কি ভাবের মাক্তি!! আমাকে কি কেউ শিকলে বেধে রেখেচে ?...তা নয়। কিন্তু কলকাতার ܓܠ