পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দীপারে কত শ্যামল গাছপালা। সোঁদালি ফলের ঝাড় মাঝে মাঝে দলতে দেখলেই আমার মনে কেমন অপব্ব আনন্দ ভরে ওঠে। প্ৰভাতে পাখীরা যে কত সরে ডাকে, জলের মধ্যে মাছের ঝাঁক খেলা করে।—জীবনের প্রাচায্যে, সরসতায়, সন্টির মহিমায় অভিভূত হয়ে যাই। কতদারের সব জীবনধারার কথা, জগতের কথা মনে হয়—আবার সনান করতে করতে চেয়ে দেখি নদীর ধারে গোছা গোছা ঘাস হেলাগোছা ভাবে জলের মধ্যে মাথা দোলাচ্ছে, একটা হয়তো খেজর গাছ গাজিতলার বাঁকে অন্য সব গাছপালার থেকে মাথা উঠিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। অপব্ব, সন্দর, হে স্রষ্টা, হে মহিমময়, নমস্কার, নমস্কার। অন্য সব জগৎও যে দেখতে ইচ্ছে যায়, দেখিও। রোজ বৈকালে কালবৈশাখীর ঝড় ওঠে ; মেঘ হয়, রোজ, রোজ। ঠিক তিনটা বেলা বাজতে না বাজতে মেঘ উঠবে, ঝড়ও উঠবে। আর সমস্ত আমবাগানের তলাগলো ধাবমান, কৌতুকপর, চিৎকাররত বালক-বালিকাতে ভরে যায়-সলাতে-খাগীতলা,* তেতুলতলা, শ্যামাচরণদাদাদের বাগানটী, নেকে, পটলে, বাঁশতলী-সমস্ত বাগানে যাতায়াতের ধর্ম পড়ে গিয়েচে— । সেদিন ঘন মেঘের ছায়ায় জেলেপাড়ার সবাই-সত্ৰী-পরিষ-বদ্ধ-বালকেরা ধামা হাতে আম কুড়চ্চে দেখে আমার চোখে জল এল। জীবনে ও-ই এদের কত আনন্দের, কত সার্থকতার জিনিস ।...একটা ছেলে বলচে-ভাই —ওই দোমােকাটায় মই যদি না আসতাম, তবে এত আমি পেতাম না!. কাল সাতবেড়ে মেয়ে দেখতে যাবো।. সারা গ্রামটাতে বিলবগাছের ফলের কি ঘন সগিন্ধা! ...অশবথতলায়, যেখানে DBDD D SBBDB KYY BBLBD S SgL DDY কাল সাতবেড়ে গ্রামে গিয়ে একটা বেড়িয়ে এলাম। শশী বড়িয্যে মহাশয়ের বাড়ি খাব আহার হল। গ্রামখানিতে সবই চাষা লোকের বাস, ভদ্রলোকের বাস তত নেই, তবে সকলেরই অবস্থা সচ্ছল। মাটির ঘরগলো। সেকেলে ধরনের, কোনো আলো এখনও ঢোকে নি বলে সেখানের অকৃত্রিম আবহাওয়াটা এখনও আছে। ফণি কাকা ও আমি দজনে দক্ষিণ মাঠের দায়েমের পকুরের ধার দিয়ে বেশ ছায়ায় ছায়ায় বৈকালের দিকে চলে এলাম। নফরা কামারের কলাবাগানে কামারবাড়ি কি ফলমল ও কাঁকুড় নিয়ে আসচে দেখলাম। হরিপদ দাদার সত্ৰী বাগানে আম পাড়াচ্চেন। আজকাল রোজ বৈকালে মেঘ ও ঝড়বষ্টি হওয়ার দরবন কুঠির মাঠে একদিনও বেড়াতে যাওয়া হয় না। রোজই কালবৈশাখী লেগে আছে। সন্দর বৈকাল একদিনও পেলাম না। তিনটা বাজতে না বাজতেই রোজ জল আর ঝড়। আজও সকালে নদীতে সন্নান করে এলাম। কি সন্দির যে মনে হয়। সকালে সনানটা করা, সিনপদ্ধ নদীজল, পাখীর কলকাকলী, মাছের খেলা, নতশীষ গাছপালা, নবেদিত সৰ্যদেব। আজ বেড়াতে গেলাম। বৈকালের দিকে কাঁচিকাটার পলিটাতে। সকালে অনেকক্ষণ চেয়ার পেতে ওদের বেলতলাটায় বসেছিলাম, সেখানে কেবল আড়াই হল। বেলা যখন বেশ পড়ে এসেচে। তখন গেলাম ঠাকুরমাদের বেলতলায়, ফিরচি, একজন লোক

  • “পথের পাঁচালীতে এই আমগাছটির উলেলখ আছে-সম্পপাদক।

SG