পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

খেয়ে, হাইস্কি টেনে-সেও ঐ ভেড়ার দলের মত বেড়ানো। আজ বসে বসে শােধ মনে হচ্চিল অনেকদিন আগে বাল্যের নবীন মধ্যর বর্ষার বৈকালগলি-কি ছায়া পড়তো, কি পত্রপলেপির সগন্ধ বেরতো, কি পাখীর গান হতো—জীবনের সম্পদ হল সে সব—এক মহত্তে জীবনকে বাড়িয়ে তোলে, বদ্ধিশীল করে—আত্মার পন্টি ওখানে। ধ্যান অর্থাৎ contemplation চাই, আনন্দের অবকাশ চাই—তবে হল আত্মার পন্টি-টাকা রোজগারের ব্যস্ততায় দিনরাত কাটিয়ে দেওয়ায় କN: \ মানষের জীবনে প্রকৃতি একটি মহাসম্পদ, এর সঙ্গে অসহযোগ করলে জীবনটায় প্রসারিতা কমে যায়, রোমান্স কমে যায়, common place হয়ে পড়ে নিতান্ত। আমি নিজেই বৰ্ব্বতে পারি, এই ভাদ্র মাসের ঠিক এই সময়কার ১৯২৭ সালের ডায়েরীগলো। যদি পড়া যায়। তবেই দাই জীবনের আকাশ-পাতাল তফাতটা ভালো করে বোঝা যাবে। ১৯২৫ সালে এই সময়ে বিভূতিকে পড়াতুম মনে আছে, সে এখন কত বড় হয়ে গিয়েছে-এখন আবার অন্য ছেলেদের পড়াই ঠিক এই সময়টিতে, সে-কথা হল আজি । এদের এখানে প্যাক-বাক্সের গন্ধ, ছেলেগ লোও দলটি। জীবনের নানা অভিজ্ঞতার কথা ভাবছিলাম। একদিন উপেনবাবকে বলেছিলাম, বাল্যের অমক দিনটা থেকে যদি জীবন আবার আরম্ভ হত...’ আজও তাই ভাবিজীবনের experience আমাদের খাব বেশী না, -সিমন্ধ খাব, একথা বলতে পারি না, অন্য অনেকের জীবনের তুলনায়। সামান্য একটি ভাগলপাের যাওয়া, সামান্য এক আবেষ্টনী, নতুন ধরণের জীবনের সপশ, বড়লোকের বাড়ি-এই সব। কিন্তু এতেই আনন্দ এত বেশী দিয়েচে যে এ থেকে এই কথাটাই বার বার মনে হয়, যে নিন্দিন্টে পরিমাণের আনন্দ প্রত্যেকের মনেই ভগবান দিয়েচোন, যে কোন জিনিসকে উপলক্ষ্য করে হোক সেটা ব্যয়িত হবেই হবে। অনন্ত জীবনে আরও কত অভিজ্ঞতা হবে, সেই কথাই ভাবি। আরও কত উন্নত ধরণের জীবনযাত্রা, কত অপব্ব আনন্দের বাত্তা! এ রবিবার দিনটাও একটা ট্রামের সারাদিনের টিকিট বন্ধর ছেলে তরকে দিয়ে কিনিয়ে আনলাম শিয়ালদহ থেকে। এদিন বেরোলিম সকাল সাড়ে ছাঁটার সময়ে । প্রথমে উপেনবাবরে বাসা। সেখান থেকে গেলাম ভবানীপার সোমনাথবাবরে বাড়িতে। খানিকটা গলপ-গজব করার পরে গেলাম প্রমথ চৌধরিীর বাড়ি বালিগঞ্জে। তিনি আমার বইখানা পড়ে খাব খশী হয়ে আমার সঙ্গে পরিচিত হবার ঔৎসােক্য জানিয়েছিলেন, এ কথা সোমনাথবাব আমাকে লেখেন—তাই এ যাওয়া। তিনি নাকি বলেচেন—Im Europe, he could have been a celebrity ; Îzire a XIIGN (KE 2Ivosi Kft(<?. তারপর আমার বইখানা সম্পবন্ধে প্রমথবাব নানা কথা বললেন-দেখলাম। বইখানি খব ভাল করে পড়েচোন। দরগাের সিন্দর-কৌটা চরি ও সেটা কলসী থেকে বেরনোর উল্লেখটা বার বার করলেন। সোমনাথবাব, আমাকে এসে পাক সাকাসে ট্রামে উঠিয়ে দিয়ে চলে গেলেনবললেন, “আপনার সঙ্গে আলাপ হয়ে একটা ভারি লাভ হল বলে মনে করাচি।” ওখান থেকে এসে গেলাম। রেবতীবাবদের মেসো-খানিকটা গলপগজব করার পরে গেলাম নন্দরাম সেনের গলি ও বাগবাজারে। তারপর হরি ঘোষের সন্ট্রীটে। SQ