পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আজ বিজয়া দশমী। কোথায় যাব-ভাবচি-বিভূতিদের ওখানেই যাওয়া যাবে grn i আজ সারাদিনটা হৈ হৈ করে কাটল। সকালে উঠেই সজনীবাবদের বাড়িসেখানে খানিকক্ষণ গলাপগজেবের পর সকলে মিলে হিতেনবাবদের বেলগেছিয়ার বাগানবাড়িতে যাওয়া গেল। সেখানে হল পিকনিক-মাংস সিদ্ধ হতে বাজল তিনটে। Living age (TIGrainICS (AGIsfais--as NSN <s "Life of the Ants' 14CF& একটি ভারি উপাদেয় প্রবন্ধ পড়ছিলাম--সামনের পাইকপাড়া রাজাদের বাগানবাটিতে অপরাহের সিনগন্ধ ছায়া বর্ষাশেষের সরস, সবজি গাছপালার উপর নেমে আসচে, ওধারের তালগাছগালো মেঘশ্যান্য নীলাকাশের পটভূমিতে ওস্তাদ পটিয়ার হাতে, অাঁকা ল্যান্ডস্কেপের ছবির মত মনোহর হয়ে উঠেচে-কিন্তু আমি এই বৈকালটিকে আমার মনের সঙেগ কি জানি আজ মোটেই খাপ খাওয়াতে পারাচি নে—আমার মনের সসম্পবিন্ধ, সনিদিষ্ট অপরাহের মালায় আজকার বেলগেছিয়া বাগানের এই সন্দর অপরাহটি বিস্তৃত শত অপরাহ-মত্তাবলীর পাশে কেন যে সস্থান দিতে পারলাম না, তা জানি না। সেখান থেকে বেরিয়ে গেলাম শাঁখারিটোলায় রাধাকান্তদের বাড়ি, তারপর দক্ষিণাবাবদের বাড়ি। দক্ষিণাবাব বাড়ি নেই। জ্যোৎসনা আদর-অভ্যর্থনা করলে, কাছে বসে খাওয়ালে। রাত এগারোটার পবে এলেন দক্ষিণাবাব। গলেপগজেবে হল রাত আড়াইটা—আজ আবার চন্দ্রগ্রহণ, কিন্তু মেঘের জন্যে কিছ দেখা গেল না। সারারাতের মধ্যে চোখের পাতা বাজানো গেল না মশায় ও গরমে--অনেকরাত্রে দেখি একটা একটি বান্টি পড়চে । এবার কালী পাজাতে দেশে গিয়ে সত্যই বড় আনন্দ পেলাম -এত সন্দির গন্ধ বন-ঝোপ থেকে ওঠে হেমন্তের প্রথমে, এবার খাঁজে খাঁজে দেখলাম গন্ধটা প্রধানতঃ ওঠে বনমরিচার ফোটা ফল থেকে ও কেলেকোঁড়ার ফল থেকে। এবার আনন্দটা সত্যই অপব্ব ধরনের হল যা অনেকদিন কলকাতায় থেকে অনভব করি নি। নৌকার ওপর বসে বসে যেন জীবনটা আর একটা dimension-এ বেড়ে উঠল—ঘন লতাপাতার সগন্ধে বহ, অতীত জীবনের কথা মনে পড়ে—খকী দ্বিতীয়ার দিন আমার সঙ্গে আবার গেল বারাকপারে।--সেদিন আবার ভ্ৰাতৃদিবঙীয়া। জাহ্নবী আমাকে ফোঁটা দিলে—খকী দিলে খোকাকে। পরে আমরা দলজনে পাকা রাস্তার ওপরে বেড়াবো বলে বেরলাম--কিন্তু যাওয়া হয়ে গেল একেবারে বারাকপরে—গাছপালা, প্রকৃতির সঙ্গে একটা ঘনিষ্ঠ যোগ স্থাপন করে যে জীবন—তাই হয়। সখের, পরিপািণ আনন্দের। এ আমি ভাল করে বাবলাম সেদিন। কয়দিন এখানে এসেও বেশ আনন্দেই কাটল-উষা দেবী এখানে এসেচেন ঢাকা থেকে, তাঁর ওখানে মধ্যে একদিন চায়ের নিমন্ত্রণে গিয়ে অনেকক্ষণ আলাপ করলামবেশ মেয়েটি বেশ শিক্ষা আছে, সাহিত্য বিষয়ে সমঝদারও খাব সন্দের। সনিীতিবাবার বাড়িতে একদিন আমি ও সজনীবাব গিয়ে—অনেকগলো গ্রীক ও শক মাদ্রা, অনেক ছবি, আবরাজ্যের প্রাচীরগাত্রে উৎকীর্ণ কতকগলো মাত্তির ফটাে-এই সব দেখে এলাম-প্রবাসী আপিসে আড়া যা চলচে। ক'দিন, তাও খাব। কাল জগদ্ধাত্রী পজা—আমাদের চারদিন ছাটি আছে, রাত্রে গেলাম বিভূতিদের বাড়ি, অন্য অন্য বছরের দিনগালোর কথা মনে পড়ে—আজি কোথাও কিছ নেই।--রাত KONS.