পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(৩) Philosophy সম্পবন্ধে আধনিক চিন্তাবিদদের বই পড়া। (8) Sir Thomas Browne e Anatole France-as 48 visie IGT 3Cs পড়া। (৫) চিন্তা, ভ্ৰমণ, গলপ ও আন্ডা-ভাল সম্প্রদায়ে। (৬) পল্লীতে যাওয়া ও quaint ধরনের লোকের সঙ্গে আলাপ । সাধনা ভিন্ন উচ্চ Outlook কি করে develop করে ? খানিকটা মাত্র আমার করেচে-আরও চাই—আরও অনেক চাই। ১৯২৫ সালের, কি ১৯৩২ সালের আমি, আর বাৰ্ত্তমান আমি কি এক ? অনেক বেড়েচি--সেটা বেশ বাবতে পারি—এই দঃখ, খাটনি, কম মাইনে, ছেলে-পড়ানোর মধ্যে দিয়েও বেড়ে উঠোঁচ। মানষ কখন কি ভাবে কোন অবস্থার মধ্যে দিয়ে বেড়ে ওঠে।--তা কেউ জানে না। কটা দিন বেশ কাটল। সেদিন হাওড়ার রায় সাহেব সরেশ সেনের ওখানে একটা পার্টি ছিল। সশীলবাব আমাকে এখান থেকে তুলে নিয়ে গেলেন-রমেশবাবা, নীরদবাব সবাই সেখানে। তারপর জ্যোৎস্না-রাত্রে গঙ্গার উপর দিয়ে ফেরা গেল। শনিবারে সকালে সকালে কাজ মিটতো, সাহেব এক গোলমাল পাকিয়ে দিলে —বললে, তোমার নাম সিনেট থেকে যায় নি। সিডিকেটের সেদিনই মিটিং—ছটির পরে ফণিবাব ও আমি দজনে মিলে সনেীতিবাবার কাছে গেলাম। বাড়িতে দেখা না পেয়ে ইউনিভাসিটি—সেখানে দেখা হল। তারপর আমরা কলেজ স্কোয়ারে অনেকক্ষণ বসে গলপ করলাম। সেখান থেকে ইনস্টিটিউটে রাগিণী দেবীর নিত্যকলা সম্পবন্ধে বক্তৃতা শািনতে গেলাম। ফণিবাব আমাকে Y. M. C. A-এর সামনে ট্রামে উঠিয়ে দিয়ে গেল। আমি X. Libraryতে যাবো। সেখানে সজনীবাবার সঙ্গে দেখা হওয়ার প্রয়োজন। যাওয়ার সময় তাঁকে সেখানে না দেখে সোজা “শনিবারের চিঠি' আপিসে চলে গেলাম। সেখানে নেই, আবার এলাম ফিরে, আজ নাকি হরতাল কেউ আসে নি। ওখান থেকে বাস-এ চেপে শ্যামাপ্রসাদবাবার কাছে ভবানীপারে। শ্যামাপ্ৰসাদবাবার সঙ্গে দেখা করেই মারলীবাবর বাড়ি। তারপর অনেক রাত্রে ট্রামে বাসা । পরদিন ছটির পরে সনিীতিবাবার সঙেগ engagement, সকালে সজনী,4 ওখানে গৈলাম। লাচি ও চা সজনীর সত্ৰী যত্ন করে খাওয়ালেন। সেখান থেকে দজনে “শনিবারের চিঠি’র আপিস-আমি খানিকক্ষণ প্রফে দেখে স্কুলে এলাম ও ছটির পরে ইউনিভাসিটিতে গেলাম। প্রথমে এসিস্ট্যাণ্ট কন্ট্রোলারের আপিসে। কেউ নেই- পরে দেখি সাহেব রেজিসট্রারের ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। আমিও দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করলাম একটি পরেই সাহেব বেরিয়ে এল। অনেকক্ষণ দজনে গল্প করা গেল। তারপর হেরম্ববাব, ওয়ােডািসওয়ার্থ সাহেব, মিঃ বটমলি, একে একে সবাই এলেন। পাঁচটার পরে আমি ওখান থেকে ফিরে সোজা “শনিবারের চিঠি’র আপিসে । গোপাল হালদারের সঙ্গে Spiritualism নিয়ে সেখানে ঘোর তক। সনেীতিবাব এলেন-গালাপগজেবের পরে আমি, সনীতিবাব ও প্রমথবাব তিনজনে গল্প করতে করতে বেরনো গেল। সনীতিবাব, ‘পথের পাঁচালী” ইংরাজীতে অন্যবাদ করবেন। এমন ইচ্ছা প্রকাশ করলেন। প্রমথবাব ইটালিয়ানের প্রোফেসর ইউনিভাসিটিতে, তিনি আমার সঙ্গে আমার বাড়ি এলেন। আমার বইখানা ইটালিয়ানে অন্যবাদ সম্পবন্ধে অনেক কথা হল। 8Nq