পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইউনিভাসিটি ইনস্টিটিউটের আবত্তি প্রতিযোগিতার জন্যে বঙ্কিমচন্দ্রের লেখা খানিকটা মখস্থ করেছিলাম, মনেও ছিল। সামনের থামের দিকে চেয়ে মরীয়ার সরে তাই আবত্তি করে গেলাম। কেশোরাম খাশী হলেন। চাকুরি আমার হয়ে গেল। দিন পাঁচ-ছয় পরে ট্রেনে কুঠিয়া গিয়ে নামলিম। কলকাতার কাছে কুঠিয়া, নদীয়া জেলায় একটা মহকুমা। এখানে কি থাকবে ? কিন্তু আমার কাছে একটা দেখবার জিনিস ছিল। আমার মাতামহ সেকালের এজিনিয়ার ছিলেন, গোরাই নদীর ওপর রেলওয়ে ব্রিজ তিনি তৈরি করেন এ গলপ অনেকদিন থেকে মাতুলালয়ে শনে আসাঁচি । ঘামের ঘোরে ভালো দেখতে পেলাম না। ব্রিজটা। জীবনে চাকুরি উপলক্ষে সেই প্রথম বিদেশে যাওয়া। ডাকবাংলোয় গিয়ে উঠলাম, তিনদিন মাত্র এখানে থাকতে হবে। পথে বেরিয়েচি, আমার এক বন্ধর সঙ্গে দেখা, কলেজে তার সঙ্গে পড়েছিলাম। সে আমায় দেখে তো অবাক । ধরে নিয়ে গেল তাদের বাসাতে একরকম জোর করেই - আমার কোনো আপত্তি শনলে না। আমি তাকে বললাম। - ভাই, গোরাই নদীর ব্রিজটা দেখাবি ? --न आद्ध तकि कथा कि, 5वना आख्ई। বনজ গুগল আর কচুবন ঠেলে ঠেলে গোরাই নদীর ধারে আমরা গিয়ে পৌছলাম। ণোর:ই নদীর উভয় শুীরের মাঠে, জঙ্গল বাঁশবনের শোভা দেখে সত্যি আমার চোখ ওড়িয়ে গেল। কত কাল কলকাতায় পড়ে আছি, বেরতে পারিনি কোথাও । বন্ধকে বললাম।---ভাই, বসি একটএখানে কেন ? চলো এগিয়ে--- - ভাই, বেশ লাগচে। তুমিও বোসো না। -- - নাঃ, এসব কবিদের নিয়ে কোথাও বেরনোই দেখাচি দায়। বোসো তবে । উচু পাড়ের নীচেই বর্ষার গোরাই নদী। সাদা সাদা এক রকম ফল ফটে আছে জলের ধারে। গাছপালায় শ্যামলতার প্রাচুর্য্য দেখে মন যেন অনন্দে নেচে ওঠে। তখনকার দিনে আমার একটা বড় বাতিক ছিল, নতুন জায়গায় নতুন কি কি বনের গাছ জমায় ৩াই লক্ষ্য করা। গোরাই নদীর ধারের মাঠে ভালো করে লক্ষ্য করে দেখলাম, যশোর জেলাতেও যা, এখানেও প্রায় সেই গাছ, সেই শেওড়া, ভটি, কালকা সন্দে, ওল, বানচালতে। বেশির মধ্যে এখানে দা একটা বেতঝোপ নদীর ধারে, আমাদের দেশে বেতগাছ চোখে পড়ে না। বেলা ন-টার সময় গোরাই নদীর পল দেখে বাড়ি ফিরে এলাম। আমার বন্ধ বললে-চালো, এখানকার এক কবির সঙ্গে তোমার আলাপ করিয়ে দিই - -- ভদ্রলোকের নাম তারাচরণবাব বোধ হয়, আমার ঠিক মনে নেই। গোরাই নদীর ধারেই তাঁর বাড়ি। বন্ধ ভদ্রলোক। অমন অমায়িক-স্বভাব লোক বেশি চোখে পড়ে না। আমি তখন ছোকরা আর তিনি আমার বাপের বয়সী। কিন্তু তাঁর আচারব্যবহারে কথাবাৰ্ত্তায় এতটকু পরিচয় দিলেন না যে তিনি বয়সে বা জ্ঞানে আমার চেয়ে অনেক বড়। এই বন্ধ ভদ্রলোকের মতো জ্ঞানপিপাস লোক মফস্বলের ছোট শহরে কাচিৎ দী-একটি দেখা যায় কি না যায়। যতক্ষণ রইলাম, তিনি আমার সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ও ব্রাউনিং সম্পবন্ধে আলোচনা করলেন, কিন্তু তা যেন কত সঙ্কোচের সঙ্গে। যেন পাছে আমি একটাও মনে করি যে তিনি আমার সামনে তাঁর বিদ্যাবত্তা ও পান্ডিত্য প্রদর্শন করচেন। মোহিনী মিল নামক বিখ্যাত কাপড়ের কল এখানেই অবস্থিত, NA लिनलिनि s-वडयाचिक-२