পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘অপরাজিত’র শেষটা ভাল করে লেখবার জন্যে তিনদিন ছটি নিয়েছিলাম। একটা জিনিস লক্ষ্য করলাম-ছিটি ভাল লাগে না। স্কুলটাই ভাল লাগে। বেশ ছেলেপালে নিয়ে থাকা-অমিয়, দেবব্রত, বিমলেন্দ, সত্যৱত এদের সঙ্গ বেশ লাগে। ওরা সবাই শিশ-নীচ ক্লাসের ছেলে। আমাকে মাস্টার বলে ভয় তত করে না, যতটা আপনার লোকের মত ভালবাসে। সব বিষয়ে সাহায্য চায়, troubles খালে বলে, বেশ লাগে। ওদের নিয়ে সময়টা যে কোথা দিয়ে কেটে যায়, টেরই পাই না। নিস্ক্ৰিয়, Death-in-life &sces existence-as baš tasks og-Trøste ovome び8図| আজ একটা সমরণীয় দিন। আজ সকালে উঠে সজনী দাসের বাড়িতে চলে গেলাম, না খেয়েই-সে। এ কয়দিনই অবশ্য যাচ্ছি। কিন্তু আজ গেলাম ‘অপরাজিত’র শেষ ফক্ষমার প্রাফ দেখবার জন্যে। ওখান থেকে স্কুলে। সেখানে দেবব্রতর পরীক্ষা নিলাম। তারপর ইউনিভাসিটির সামনে সন্ধীরদার সঙ্গে দেখা। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলাম। আমাদের স্কুলের ছেলেদের সঙ্গে দেখা হল—সমীর বললে ভালো লিখেচে । শৈলেনবাবরে সঙ্গেও দেখা হল। তারপর এক কাপ চা খেয়ে আবার গেলাম সজনী দাসের ওখানে। প্রমথবাব ও সজনী বসে। শেষ ফক্ষমাটা প্রেসে ছাপতে দিয়েচি । তারপরে কি করে “পথের পাঁচালী” প্রথম মাথায় এল, সে গলপ করলাম। আজ তাই মনে হচ্ছে, সত্যিই সমরণীয় দিনটা। ১৯২৪ সালের পাজার সময়টা থেকে এ পয্যন্ত প্রায় সব সময়ই এই বই-এর কথাই ভেবেচি। ১৯২৬ সাল থেকে শর করে ১৯৩২-এর ১oই মার্চ পৰ্যন্ত এমন একটা দিনও যায় নি, যখন আমি gg BBBDDBD BB D BDDS S DDBDB BDS DDBD DDS DDBDu uBBBBDB BD করেচি, মনে রেখেচি-কত কি করেচি! ইসমাইল।পরের জঙ্গলে এমন কত শীতের গভীর অন্ধকার রাত্রি, ভাগলপরে বড় বাসায় এমন কত আমের বউলের গন্ধ-ভর ফালগন-দপাের, কত চৈত্র-বৈশাখের নিমফলের গন্ধ-মেশানো অলস অপরাহ, বড়বাসার ছাদে কত পৰ্ণিমার জ্যোৎস্না রাত্রি-আপ, দােগা, পাট, সব্বজয়া, হরিহর, রাণাদি এদের চিন্তায় কাটিয়েচি। এরা সকলেই কলপন্যাসলেট প্রাণী। অনেকে ভাবেন আমার জীবনের সঙ্গে বঝি বই দািখানির খব যোগ আছে-চরিত্রগলি বোধ হয় জীবন থেকে নেওয়া। অবশ্য কতকটা যে আমার জীবনের সংযোগ আছে ঘটনাগলির সঙ্গে, এ বিষয়ে ভুল-নেই-কিন্তু সে যোগ খাব ঘনিষ্ঠ নয়-ভাসা-ভাসা ধরণের। চরিত্রগ্রালি সবই কাল্পনিক। সৰ্ব্বজয়ার একটা অস্পষ্ট ভিত্তি আছে—আমার মা। কিন্তু ‘ঈদ ১। আমার মাকে জানে, তারাই জানে সব্বােজয়ার সবখানি আমার মাঁ নন। আজ রাত অনেক হল। এদের স্কুলের উদ্দেশে বইখানি উৎসলেট করলাম। যদি সাহিত্যের বাজারে আন্তরিকতার কোনো মাল্য থাকে, তবে আমার ইসমাইল।পরে, ভাগলপরে বড়বাসার ছাদে আমার বহ বিনিদ্র রাজনীযাপনের ইতিহাস এ ফথার সাক্ষ্য দেবে যে, বই দািখানি লিখতে আন্তরিকতার অভাব আমার ছিল না বা চিন্তার আলস্য আমি দেখাই নি। আজ সত্যিই কষ্ট হচ্চে। অপ, কাজল, দরগা, লীলা—এরা এই সন্দীঘ পাঁচ বৎসরে আমার আপনার লোক হয়ে পড়েছিল। আজ ওবেলাও প্রাফ দেখোঁচ, অদলবদল করেচি-কিন্তু এবেলা থেকে তাদের সকলকেই সত্যসত্যই বিদায় দিলাম। আজ রাত্রে যে কতখানি নিঃসঙ্গ ও একাকী বোধ করচি, তার সন্ধান তিনিই জানেন, যিনি কখনো এমনি দীঘ পাঁচ বৎসর ধরে গাটিকতক চরিত্র সম্পবন্ধে সব্বদা ভেবেচেন 86t