পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মনের মধ্যে ছিল—কাল একেবারে চলে গিয়েচে । ওদের বিরহ অতি দঃসহ হয়ে উঠেচে। এর আগে কাঁদন মনটা ছিল নিরানন্দ। কেবল গৌরীপরের মাঠে যেদিন Picnic করতে যাই আমরা-সেদিনটাতে আনন্দ পেয়েছিলাম। সেই আধ-জ্যোৎস্না আধ-অাঁধার রাত্রে তালবনের ধারে পাকুরপাড়ে বসে কত কি গলপ-কতকাল ওসব কথা মনে থাকবে ! কাল রাত্রে সাহিত্য-সেবক-সমিতিতে সভাপতি ছিলাম। অচিন্ত্য একটা গলাপ পড়লে-গলািপটা মন্দ হয় নি-সেখান থেকে বেরিয়ে অনাথ ভান্ডারের থিয়েটার দেখতে যাবো কথা ছিল, কিন্তু অবনীবাব, সবুকুমার ও শৈলেন।বাবার সঙ্গে জমে গিয়ে রাত এগারোটা পয্যন্ত হৃষিকেশ লােহাঁদের বাড়ির সামনের পাকাটাতে আডা দিলাম। সেখান থেকে বার হয়ে বাসায় ফিরলাম। অনেক রাতে। আজ বেলা চারটার ট্রেনে শ্ৰীীরামপারে গেলাম। সেখানে ‘আনন্দ পরিধাদের।” অধিবেশনে সভাপতিত্ব করতে হবে। ছেলেরা ওখান থেকে এসেছিল। অবনীবাবকে সঙ্গে নেব বলে ডাকতে গেলাম, পেলাম না। ঝন-ঝন করাচে দাপরের রোদ । কিন্তু একটা পরে বেশ মেঘ করে এল। শ্ৰীীরামপারে শ্ৰীলীলারানী গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়িতে নিয়ে গেল। লীলারানী দেবী লেখিকা, “কল্লোল” ও “উপাসনায় লেখেন। ওপরের বারান্দাতে তিনি বরফ দিয়ে শরবত তৈরী করে খাওয়ালেন ও জলখাবার দিলেন। তাঁর সঙ্গে সাহিত্য সম্পপকে আলোচনা করলাম। এদের বাড়ির কাছেই খাকীর শবশরিবাড়ি। একবার সাক্ষাৎ করবার ইচ্ছা ছিল। লোকও পাঠালাম - কিন্তু লোক ফিরে এসে বললে কােরর সঙ্গে দেখা হল না। সভায় যখন আসচি-ওদের বাড়িটা দেখলাম।--ভাঙা দোতলা বাড়ি-একটা কয়লার গোলার পাশ দিয়ে পথ। সভার কায্য শেষে আবার ভুরিভোজনের ব্যবস্থা। সমবেত ভদ্রলোকেরা আমাকে একটা বড়লোকের বাড়ির দোতলার হলো নিয়ে গেলেন-সেখানেই একটা বড় শেবতপাথরের টেবিলে নানারকম ফলমল, মিস্টান্ন, শরবৎ সাজানো। এত খাই কি করে ? এই শ্ৰীমতী লীলারানী দেবীর ওখান থেকে খেয়ে আসাঁচ। কে সে কথা yDBDSS BDLDLDBBD BBBBB LLCCLLLLLLL GL LLLLLLLC DBDBL BBDLD BBBLD LYB কাছে করলাম-রাসের বৈচিত্র্য ও quaintineSS হিসেবে । ওরা ট্রেনে তুলে দিয়ে গেল। ট্রেনে একটা লোকের সঙ্গে আলাপ হল-বাড়ি জিরেটবলাগড়, বিড়ি খাওয়ালে, অনেক গলপ-গজব করলে। হাওড়া সেন্টশন থেকে “হাটে বাসায় এলাম। পথে পানিতরের বামনদাস দত্তের সঙেগ দেখা। আজ পয়লা মে। একটা সমরণীয় দিন। আজকার সভার জন্যে বা এসব আদরের জন্যে নয়--- আজ ১৩ বৎসর হতে সেই ১লা মে-তো-কিন্তু সেকথা আমিই জানি, আর কেউ জানে না। জানিবার কথাও নয়। বোলবও না কাউকেও ৷ বেশ হাওয়া, বাসায় এসে বারান্দায় বিছানা পেতে শয়ে রইলাম। আজ মনে একটা অপব্ব আনন্দ পেলাম—অনেক কাল পরে। মনে পড়ে গোল বাল্যে দাপরে আহার সেরে এই সব দিনে বাড়ির পেছনে বাঁশবনে মাখ ধয়ে আসাতাম। বাঁশবনে গিয়ে অচিালে তবে মনে একটা আনন্দ আসত-কত তুচ্ছ জিনিস, কিন্তু একদিন ও থেকে কি গভীর আনন্দই পেয়েছি!...সেই ভিটে, সেই গ্রাম আজও তেমনি আছে—আমিই কেবল বদলে গিয়েচি। আজ রবিবার ফণিকাকারা তাড়াতাড়ি করচে এত রাত্রে হরি রায়ের বাড়িতে তাস খেলতে যাবে বলে-আনন্দ করচে ঝিটি কী SCA