পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পোতার বাঁওড়ে বড় রই মাছের বাচ হচ্চে বলে-হাটে আজ মাছ সস্তা হয়েছে বলে —আমিও যদি গ্রামে থাকতুম-আমিও ও থেকে আনন্দ পেতুম ওদেরই মতন-কিন্তু Offa q7ÇTT ficf aCKIKITG3gš i Sophisticated RGI PICyf5, hampered Rît দটির সবচ্ছতা নন্ট হয় নি বলে এখনও এসব বসবাতে পারি। আকাশের অগণ্য তারায় তারায় কত দেবলোক, কত পথিবী, কত জগৎ-কত অগণিত প্ৰাণীকুল, কত দেবশিশ-আনন্দের কি মহান, অসীম ভান্ডার! দঃখও যত বহৎ তাদের-আনন্দও তত বহৎ। এই ভেবেই, চৈতন্যের এ প্রসারিতা শািন্ধ আমার আজ রাত্রে । আজ সকালে উঠতে দেরি হয়ে গিয়েছিল, কারণ কাল অনেক রাত্রে দমদম থেকে ফিরোচি। সেখানেই রাত্রে খেলাম, আগামী রবিবারে Outing-এর নক্সা করলাম, তারপর আমি আর নীরদবাব মোটরে ফিরেছি। আজ এইমাত্র সাহেবের ওখান থেকে আসছি। সাহেব একটা দমে গিয়েচে—আমি ফণিবাবার সঙ্গে ওটা মিটিয়ে ফেলতে বললাম। কনভেণ্ট রোডটা অন্ধকার, এখানে-ওখানে যাই ও মালতীর সগন্ধ, আজ আকাশ বেশ পরিস্কার, নক্ষত্রে ভরা। ভগবানের কাছে প্রার্থনা করলাম সাহেবের হাঙ্গামাটা যেন মিটে যায়। একটা কথা মনে হচ্চে। মানষের মনের ব্যাপকতা যত বাড়বে ততই সে পণে মনয্যিত্বকে লাভ করবে। এমন সব মানষি জীবনে কতই দেখলাম, তাদের মনের সতকতা, চৈতন্যের ব্যাপকতা বড়ই কম। এত কম যে আহার-বিহার ও অর্থোপাজ্ঞজনের বাইরে যে আর কিছ আছে তা তারা ভাবতে পারে না। জ্ঞান বল, বিজ্ঞান বল, আর্ট বল, সাহিত্য বল-এ সবের কোন মল্য নেই তাদের কাছে। এমন কি স্নেহ, প্রেম, কলপনা, বন্ধত্ব, এ সবও তাদের অজ্ঞাত--loyalty-কে তারা ভীরতা ভাবে, স্নেহকে দব্বলতা ভাবে। ফণিবাব একজন এই ধরনের মানষ। এ সব লোকের নিবন্ধিতা আমি বরদাস্ত করতে পারি। নে একেবারেই। মােখাঁতােরও একটা সীমা আছে, এদের তাও নেই। সে যাক। এই চৈতন্যের ব্যাপকতার কথা বলছিলাম। এই মন্ত প্রকৃতি, সবজি ঘাসেমোড়া ঢাল, নদীতীর, কাশবন, শিমলবন, পাখীর ডাক—নীল পর্বতমালা, অকল সমদ্র, অজানা মহাদেশ-এই হাসিমািখ বালক-বালিকা, সন্দরী তরণী, স্নেহময়ী পত্নী, উদার বন্ধ, অসহায় দরিদ্রদল-এই বিরাট মানবজাতির অদভুত ইতিহাস, উত্থানপতন, রাজনীতির ও সমাজনীতির বিবৰ্ত্তন, এই বিরাট নক্ষত্ৰজগৎ, গ্রহ, উপগ্রহ, নীহারিকা, ধমকেতু, উলম্বকা—জানা-অজানা জাগতিক শক্তি,—এই X-ray, বিদ্যৎ, invisible rays, high, penetrating radiation,-gš .317TC:13 (MRT, I.S.- পারের বিরাট জীবন—এই রহস্যে সম্পন্দমান, অসীম, অদ্ভুত জীবনরহস্য— এই সৌন্দৰ্য্য, এই বিরাটতা, এই কলপনার মহনীয়তা,-এসবে যারা মগধ না হয়, গর-মহিষের মত ঘাস-দানা পেলেই সন্তুষ্ট থাকে, যারা এই রহস্যময় অসীমতার সম্পবন্ধে অজ্ঞ, নিদ্রিত ও উদাসীন রইল-সে হতভাগ্যগণ শাশবত ভিখারী-তাদের দৈন্য কে দরি করতে পারবে ? মানষের মন যত উদার হবে, যত সে নিজের চৈতন্যকে বিশেবর সবদিকে প্রসারিত করে দিতে পারবে, অণর চেয়ে অণ, মহানের চেয়েও মহান, বিশাববিস্তুর প্রতি আত্মবন্ধিকে যত জাগ্রত করে তুলতে পারবে- সে শােধ নিজের উপকার করবে না। 8ኪፉ