পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৮১

निcऊ दलव्न भ। নাচ গান শেষ হল। প্রমোদবাব, পরিমলবাব ও কিরণ হোটে রওনা হলেন বেলপাহাড়ে। আমার পায়ে ফোসম্বকা পড়েচে বলে হাঁটতে পারা গেল না। গরির গাড়িতে ওদের জিনিসপত্র নিয়ে আমি ঘণ্টাখানেক পরে রওনা হলাম। দেখলামআয্যাবত্তের সমতলভূমি বাদে ভারতের সবটাই এই ধরনের ভূমি। B. N. Rx-ই দেখ না কেন—সেই খড়গপর থেকে আরম্প্ৰভ হয়েচে রাঙামাটি, পাহাড় ও শালবনআর বরাবর চলেচে এই চারশ মাইল— এর পরও চলেচে। আরও চারশ মাইল-চারিশ মাইল কেন, আরও আটশ মাইল বম্বে পয্যন্ত। অরণ্যের দশ্য সেখানে যেতে আরও গভীর-সহ্যাদ্রির মহিমময় ঘাটশ্রেণীর অপরােপ দশ্যের তুলনা কোথায়। ওদিকে মহীশর, নীলগিরি-মালাবার উপকালের ট্রপিক্যাল ফরেস্ট-আৰ্য্যাবত্তের সমতলভূমি পার হয়েই অতুলনীয় হিমালয়, Alpine meadows, ভারতের প্রকৃতরােপই এই -এই রাঙামাটি, পাহাড়, শালবন—এই আসল ভারতবষের রােপ। বাংলার সমতলভূমিতে সারা জীবন কাটিয়ে আমরা ভারতের প্রকৃত রূপটি ধরতে পারি নে। অবশ্য বাংলার রােপ অন্য রকম, বাংলা কমনীয়, শ্যামল, ছায়াভিরা। সেখানে সবই যেন মদন ও সরকুমার-গাছপালা থেকে নারী পৰ্যন্ত। এ সব দেশের মত রক্ষ ভােব ওখানে Cङा ८न्छे ! মাথার ওপর তারা ভরা আকাশ। কি জবলজবলে নক্ষত্রগলো-যেন হীরের টকারোর মত জবলচে!.বিরাট-বিরাট প্রকৃতি এখানে শিবমতি ধরেচে। কমনীয় କନ୍ଯାୟ୍ଯ সম্ঠা কিন্তু উদার মহিমময় <sis fast is the term for it. হঠাৎ খাকীটার কথা মনে পড়ে গেল। ওর সেই অবোধ, অনাদত হাসিটকুর কথা মনে পড়ল। এই বিরাট প্রকৃতি, ওই নক্ষত্ৰজগৎ, বিশাল উদার Space-এর মধ্যে ওর সস্থান কোথায় ? মরে সে কোথায় গেল ? তার ক্ষদ্র জীবনীশক্তি নিয়ে ও কি acts f49,(re wielCS PISVs Poor mite, what chance had she-a help less thing? কিন্তু বনের এই হলদে তিলের ফলের থোকা-প্রথম বসন্তে যা থোকা থোকা ফটেচে—তা দেখলে মনে আশা জাগে। আমি বলতে পারি—এই বিরাটতার সঙ্গে মঙ্গল মিশে আছে, এই মহিমময় সন্ধ্যায় আত্মার সত্যব্দটি খলে যায়। বন্ধি দিয়ে সে জিনিস বোঝা যায় না, তকীযক্তির পথে তা ধরা দেয় না।--তা প্রাণের মধ্যে আপনা-আপনি ফটে ওঠে, নিউজনি ধ্যানের মধ্যে দিয়ে-অপৰিবৰ্ণ আনন্দের মধ্যে দিয়ে। মাখে বলে সে সব বোঝানো কি যায় ? ফিরে দেখি ডাকবাংলোতে ওরা আসে নি। আমি একাই অনেকক্ষণ বসে রইলাম। সামনে চাঁদ উঠেচে নক্ষত্র জবলচে। অনেকক্ষণ পরে ওরা এল। বললে, সেন্টশনের কাছে একটা হায়েনা মেরেচে। আমি একটা শালপাতার পিকা আনিয়ে খেলাম । সারারান্ত্রি আমরা গলপ করে জাগলাম। শেষ রাত্রে আমি কয়েকবার উঠে এসে এসে বাইরে দাঁড়ালাম-চাঁদ দরে পাহাড়ের মাথায় অস্ত গেল। রাঙা হয়ে গেল চাঁদটা —অদ্ভুত দেখতে হয়েচে!. অনেক রাত্রে আমরা সেন্টশনে এলাম। বেজায় শীত। ভোরবেলার দিকে ট্রেনটী এল। রাতে কি কষ্ট—মালের বস্তার ওপর বসে বসে ঢলছিলাম-পরিমলবাবকে জায়গাটা ছেড়ে দিলাম। ভোর হল কুলাঙ্গা সেন্টশনে। কি অপব্ব পািব্বতের ও জঙ্গলের দশ্য! এমন (g(t