পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

wilderness val খব কমই দেখেচি। যে সেন্টশনে আসি-সেইটাই মনে হয় আগেকার চেয়ে ভাল। নোটবকে বসে বসে নোট করি, কি কি সেখানে আছে। গোইলকেরা স্টেশনটি বড় সন্দর লাগল। শাল জঙ্গল, পাহাড়, স্থানটাও অতি নিজজন। বাংলাদেশের কাছে যত আসি ততই সমতল প্রান্তর বেশী। খড়গপরের ওদিকে কলাইকুন্ডা জায়গাটি এ হিসাবে বেশ ভাল। বাংলাদেশে গাড়ি ঢািকল। তখন বেলা একেবারে চলে গেছে। এ আর এক রাপ, অতি কমনীয়, শান্ত শ্যামল। চােখ জড়িয়ে যায়, মন শান্ত হয়। কিন্তু এর মধ্যে বিরাটত্ব নেই, majesty নেই। — হৃদয় মন বিস্ফারিত হয় না, কলপনা। উদ্দাম হয়ে উঠে অসীমতার দিকে ছটে চলে না। এতে মনে তৃপ্তি আসে-ছোটখাটাে ঘরোয়া সখ-দঃখের কথা ভাবায়, নানা পরনো সমিতি জাগিয়ে তোলে— মানষি যা নিয়ে ঘরকন্না করতে চায় তার সব উপকরণে যোগায়। হাসি আশ্রম মাখানো লজাবনতা পল্লীবধাটি যেন—তার সবই মিষ্টি, কমনীয়। কিন্তু মানষের মন এ ছাড়া আরও কিছল চায়, আরও উন্দাম, অশান্ত, রক্ষ, রন্দ্ৰ ভাব চায়। বাংলাদেশে তা যেন ঠিক মেলে না। হিমালয়ের কথা বাদ দি- সেটা বাংলার নিজস্ব একচেটি জিনিস নয়—আর তার সঙ্গে সত্যিকার বাংলার সম্পবিন্ধই বা কি ? পদ্মা ?...সেও অপব্ব, সন্দেহ নেই-কিন্তু সে আদরে পালিতা ধনীবধ, একগয়ে, তেজস্বিনী, শক্তিশালিনী, যা খাশি করে, কেউ আটকাতে পারে না—সবাই ভয় করে চলে— খামখেয়ালী-রািপবতী—তবে মিষ্টি নয়—high-bred রােপ ও চাল-চলন। ঘরকন্না পাতিয়ে নিয়ে থাকবার পক্ষে তত উপযোগী নয়। কলকাতা ফিরে পরদিনই নীরদবাবার বাড়িতে চায়ের নিমন্ত্রণ হল সন্ধ্যায়। আমার আবার একটি দেরি হয়ে গেল। সশীলবাব মাঝের দিন আমার বাসায় এসেছিলেন—বঙগশ্ৰী অফিসে আমায় Phone করেছিলেন—যাবার সময় পাক সাকাস থেকে ওর বাসা হয়ে গেলাম। সতীশের সঙ্গে একটা আফিমের দোকানে আজ আবার দেখা হল। কদিন ধরেই উড়িষ্যা ও মানভূমের সেই স্বপ্নরাজ্য মনে পড়েচে —বিশেষ করে মনে পড়চে আসানবনী ও টাটানগরের মধ্যবত্তীর্ণ সেই বনটা—যেখানে বড় বড় পাথরের চাই-এর মধ্যে শালের জঙ্গল-পত্ৰহীন দীঘ গাছগলিতে হলদে। কি ফল ফটে আছে—কেবলই ভাবচি ওইখানে যদি একটা বাংলো বোধে বাস করা যায়—ওই নিজজন মাঠ বন, অরণ্যানীর মধ্যে ! অপরাহের ও জ্যোৎস্যনাময়ী রাত্ৰিতে তাদের রােপ ভাবলেও মন অবশ হয়ে ধায়। সকালে উঠে। দীনেশ সেনের বাড়িতে এক বোঝা পরীক্ষার কাগজ পেশ করে এলাম। সারা পথে মাচুকুন্দ চাঁপার এক অদভূত গন্ধা! বিজয় মল্লিকের বাগানে একটা গাছে কেমন থোকা থোকা কাঁচা সোনার রঙের ফল ধরেচে। বড় লোভ হল—ট্রিাম থেকে নেমে বাগানের ফটকের কাছে গিয়ে দারোয়ানকে বললাম-ঐ গাছতলাটায় একবার যেতে পারি? সে বললে—নেহি । সংক্ষেপে বললে, আমায় সে মানষ বলেই মনে করলে না। আবার বললাম।--দা একটা ফল নিয়ে আসতে পারি। নে ? তলায় তো কত পড়ে আছে। সে এবার অত্যন্ত contemptuous ভাবে আমার দিকে চেয়ে পােনরায় সংক্ষেপে বললে-নেহি। ভাল, নেহি তো নেহি-গড়ের মাঠে খিদিরপর রোডের ধারে অনেক মচিকুন্দ ফলের গাছ আছে, ট্রামে আসবার সময় দেখে এসেচি, সেখান থেকে কুড়িয়ে নেব। UGqqN তারপর এলাম নীরদবাবার বাড়ি। সেখানে খানিকটা গলপগজব করে গেলাম Gt WV