পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমি ওখান থেকে চলে গেলাম সীতাবলাডির বাজারে ঘড়ির দোকানে। সেখানে রেডিওতে কলকাতা Short Wave ধরেচে, বাংলা গান বাজচে—একটি পরে রেডিও স্টেশনের বিষ্ণ, শম্পমা সপরিচিত গলায় কি একটা গানের ঘোষণা করলে। মনে মনে ভেবে দেখলাম কত পাহাড় জঙ্গল পার হয়ে ৭৫o মাইলের ব্যবধান ঘাঁচিয়ে বিষ্ণ, শম্পমার গলা এখানে এসে পৌছলো—যে মহত্তে সে গাস্টিন পোিলসের সেই রাঙা বনাত মোড়া ঘরটায় বসে একথা বললে সেই মহত্তেই! রেডিওর এভাবে কখনো অনভব করি নি-কলকাতায় বসে। শনলে এর গভীর বিস্ময়ের দিকটা বড় একটা মনে আসে না। তারপর টাঙা নিয়ে নেরাল করের ওখানে গেলাম। ডাক্তার বেরিয়ে গিয়েচে3G, 4G "The Story of Mount Everest” (saint IGIR-SNS Warris -cs, এখনও ডাক্তার এল না। আমি একটা চিঠিতে লিখে এলাম, কাল সকালে দৰবেকে সঙ্গে নিয়ে যেন নেরালকর আমাদের ওখানে আসে। তারপর একটা টােঙা নিয়ে জ্যোৎসনাপ্লাবিত সেন্টশন দিয়ে ফিরলাম। সকালে সীতাবলাডির ঘড়ির দোকানে ঘড়ি সারাতে গেলাম—ওখান থেকে গেলাম। ডাঃ নেরালকরের ওখানে ও সেন্টশনে বাৰ্থ রিজাভ করতে। দাপরে মিউ জিয়ামে গিয়ে গোঁড় জাতির অস্ত্রশস্ত্র, বালাঘাট পাব্বিত্যদেশের খনিজ প্রস্তর, fossil, জব্বলপরের অধীনালগুপ্ত অতিকায় হস্তী, নক্ষমাদার উত্তরে অরণ্যের অধনালিপ্ত সিংহ, বনবিড়াল, ঝিন্দওয়ারা জঙ্গলের বাইসন বা গৌর-কত কি দেখলাম। খ্রীস্টীয় অস্টম শতকের চেদীরাণী লোহলের প্রস্তরলিপি ও বৌদ্ধ রাজা সােয্য ঘোষের পত্র রাজপ্রাসাদের ছাদ থেকে পড়ে যাওয়ার ফলে মারা যাওয়াতে ভগবান তথ্যাগতের উদ্দেশ্যে পত্রের আত্মার সদগতির জন্য তিনি যে মন্দির নিম্পমাণ করেনসে লিপিটিও পড়লাম। আজ খাব রোদ, আকাশ খািব নীল, বাংলোর বারান্দায় বসে লিখচি। এখনি চা খেতে যাব। তারপর আমরা রওনা হলাম। ডাঃ নেরালকর সেন্টশনে এসে আমাদের সঙ্গে দেখা করে গেলেন। ড্রাগ ও ডোঙগরগড়ের মধ্যবত্তীর্ণ বিখ্যাত সালাকে সা ফরেস্ট দেখব। বলে আমরা রাত দেড়টা পৰ্যন্ত জেগে বসে রইলাম। নাগপাের ছাড়িয়ে ছোট ছোট শালের জঙ্গল অনেক দেখা গেল-জ্যোৎস্না রাত্রে প্রকান্ড অরণ্যাটার রােপ আমার মনে এমন এক গম্পভীর অনভূতি জাগালে—সে বাত্রে ঘািম আমার আর এল নাডোঙ্গারগড় সেন্টশনে গাড়ি এসে পড়ল, রাত তিনটে বেজে গেল, ঘািমবার ইচ্ছেও হল না—জানালা থেকে চোখ সরিয়ে নিতে মন আর সরে না। নাগপর থেকে ফিরেই দেশে গিয়েছিলাম। ইছামতী দিয়ে নৌকোতে বিকেলের দিকে গ্রামের ঘাটে পৌছিলাম। বাল্যে একটা কি ছেলেদের কাগজে একটা কবিতা পড়েছিলাম—- “ঘাটের বাটে লাগল। যবে আমার ছোট তরী, ঘনিয়ে আসে ধরায় তখন শীতের বিভােবরী।” এতকাল পরে সেই দই চরণই বার বার মনে আসতে লাগল। মাধবপরের মাঠে সােয্য অস্ত গেল, চালতেপোতার বাঁকের সবােজ ঝোপঝাপ দেখলাম-এবার কিন্তু চোখে লাগল না তেমন। কেন এমন হল কি জানি ? অবশ্য একথা ঠিক, এমন ঘন সবজি ও নিবিড় বনসম্পদ C.P. অঞ্চলের নেই -সে হিসেবে বাংলাদেশের তুলনা হয় না ওসব দেশের সঙ্গে, কিন্তু ভূমিসংস্থান WVy Gt निर्नािव्र्ता°/७ ट्रशाञ्कूद्र-é