পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পড়তে চাইল। এ ধরনের ভক্তি একটা বড় blisS, জীবনে হঠাৎ আসে না। যখন আসে, তখন বিরাট রূপেই আসে, আনন্দের বন্যা নিয়ে আসে প্রাণের তীরে। এ Realisation যেমন দিল্লভ, তেমনি অপােব। আমি ভগবানকে উপলখি করতে চাই। তাঁর এই লক্ষ বিরাট রাপের মধ্যে R এবার মোটে বান্টি নেই,-পথঘাট এখনও শকিনো খটখাটে, অন্যবার এমন সময় খানা ডোবা জলে ভরে যায়, কুঠীর মাঠের রাস্তায় কাদা হয়। তবে এবার সৌদালি ফল যেন কমে আসছে, বেল ফলের গন্ধেরও তেমন জোর নেই। কাল বিকেলে পাঁচি এসেচে। সে, আমি, খাকু, রাণ মায় নাদি ক'জনে কাল বসে কালিদাসের মেঘদত ও কুমার-সম্পভবের চচ্চা করেচি। বিকেলে আমি কুঠীর মাঠে বেড়াতে গেলাম। ঘাটে সন্নান করতে এসে দেখি ওরা সবাই ঘাটে—খকু ও রাণ সাঁতার দিয়ে গিয়েচে, প্রায় বাঁধালের কাছে। আমি সনান সেরে উঠে আসচি, কালো তখন গেল। শিমলতলাটার কাছে। আমি বললাম, তোর মা ঘাটে তোকে ডাকচে। সে “যাই’ বলে একটা বিকট চিৎকার করে চলে গেল। একটা পরে দেখি খকু আমায় ডাকচে । বাঁশবন প্রায় অন্ধকার হয়ে এসেচে-ও ঘাট থেকে আসবার সময় বোধ হয়। অন্ধকার দেখে ভয় পেয়েচে । আমি দাঁড়িয়ে ওকে সঙ্গে করে নিয়ে এলাম। আজ ওবেলা সন্নানের সময়ে মনে কি যে এক অপব্ব ভাব এসেছিল! প্রতিদিনের এই মক্তরােপা প্রকৃতির মধ্যে সার্থক হয়। এখানে—এইসব ভাবে ও চিন্তার Ճ আজ অনেক কাল পরে নদির কাছ থেকে গৌরীর হাতের লেখা একখানা গানের খাতা পেয়েচি। এতদিন কোথায় এখানা পড়ে ছিল, বা কি করে নদির হাতে এলতার কোন খবর এরা দিতে পারলে না। Appropriately enough, খাতায় প্রথম ‘5ानीछे श्gष् ঐ নীল উক্তজবল তারাটি করণ, অরণ তরণ কিরণ অমিয় মাখান হাসিটি বহিদার জগতে গিয়েচে গো চলি প্রণয়বন্ত ছিাড়িয়া ভালবাসা সব ভুলে গেছে... চোন্দ-পনেরো বছর আগের এমনিধারা কত উত্তজবল রৌদ্রালোকিত প্রভাত, বর্ষার কত মেঘমোদর সন্ধ্যার কথা মনে আনে।. যাক। কাল আকাশে হঠাৎ বশিচক নক্ষত্র দেখেচি—একে প্রথম চিনি বেলপাহাড়ের সেন্টশনে-পরিমল আমাকে চিনিয়ে দেয়-আমি ওটা চিনতাম না। কাল দেখি শ্যামাচরণদাদাদের বাঁশঝাড়ের মাথার ওপর বিরাট ওর অগিনপােচ্ছটা বেকে আছে। আকাশের ওদিকটা আলো হয়ে উঠেচে.খরকুকে বললাম, ঐ দাখ বশিচক 平雨百一 তাকে চিনিয়ে দিলাম। রাণ, জিজ্ঞেস করলে—তবে তার বয়েস যদিও খকের চেয়ে অনেক বেশি , সে অত বদ্ধিমতী নয়-পনেরো মিনিট কঠিন পরিশ্রমের পরে তাকে বোঝাতে পারলাম কোনটাকে আমি বশিচক রাশি বলতে চাচ্চি। এদিকে সপ্তষিমন্ডল ঢলে পড়চে ক্ৰমেই মেজো খড়ীমাদের রান্নাঘরের ওপর। রাত অনেক হল, ওরা তবও তাস খেলবেই। বেগতিক দেখে বললাম, আলোতে তেল নেই। Vd