পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নইলে ঘাম হবার জো নেই, ওদের খেলার গোলমালে। লগঠন নিবিয়ে শয়ে পড়লাম, রাত তখন বারোটার কম নয়। বিকেলে কালো আর আমি মোল্লাহাটির পথে বেড়াতে গেলাম। আজ দাপরে যখন এপাড়ার ঘাট থেকে ওপাড়ার ঘাটে সাতার দিয়ে যাই, তখনই খাব মেঘ করেছিলএকটি পরে সেই যে বান্টি এল ; আর রোদ ওঠে নি। মেঘ ভরা বিকেলে শ্যামল মাঠ ও দরের বাঁশ বন, বড় বড় বটগাছ, এক রকম কি গাছ আছে, মখমলের মত নরম সবজি পাতা ডালপালা ছড়িয়ে দিয়ে ঝোপের সন্টি করে—এসবের মধ্যে দিয়ে যেতে যেতে মোল্লাহাটি ও পাঁচপোতা বামনডাঙ্গার পথের মোড়ে গিয়ে একখানা ছই-চাপা গরর গাড়ির সঙ্গে দেখা হল। তাদের গাড়োয়ান জিগ্যেস করলে, বাবার কাছে কি বিড়ি STび支を -मा 6न्छे । दिएछ थाइँछे 6न् - --আপনারা কোথায় যাবেন ? —কোথাও যাব না, এই পথে একটি বেড়াচ্চি। ফিরবার পথে মনে হল তায় থাকবার সময় যখন গাছপালার জন্যে মনটা হাঁপায়, তখন যে কোনো একটা ছবি, একটা বনের ফটোগ্রাফ দেখে মনে হয়, ওঃ কি বনই এদেশে! প্রায়ই বিদেশের ফটো-আফ্রিকার, কি দক্ষিণ আমেরিকার-কিন্তু তখন ভুলে যাই যে আমাদের গ্রামের চারিপাশে সত্যিকার বন জঙ্গল আছে অতি অপব্ব ধরনের-যখন বিলিতি Grand Evening Annual দেখি তখন ভুলে যাই কত ধরনের অদভুত গাছ আছে আমাদের বনে জঙ্গলে—যা বাগানে, পাকে নিয়ে রোপণ করলে অতি সদশ্য কুঞ্জবন সন্টি করে- যেমন ষাঁড়া, কুচলতা, ঐ নাম-না- জানা গাছটা-এর যে-কোন বিখ্যাত পাকের সৌন্দয্য ও গৌরব বন্ধি করতে পারে । সেদিন যখন আমি, রাণ, খড়ীমা, নাদি নদীতে বিকেলে সন্নান করাচি তখন একটা অদ্ভুত ধরনের সিদরে মেঘ করলে-ওপারের খড়ের মাঠের উলম্বনের মাথা, শিমলগাছের ডগা, যেন অবাস্তব, অদভুত দেখাল, যেন মনে হচ্ছিল ওখান থেকেই নীল আকাশটার শর। কিন্তু কাল সন্ধ্যায় একা নদীতে নেমে যে অপব্ব অনভূতি হয়েছিল তা বোধ হয় জীবনে আর কোনদিন হয় নি। শিমলগাছের মাথায় একটা তারা উঠেছে—দরে কোথায় একটা ডাহক পাখী অবিশ্রান্ত ডাকচে। মাধবপরের চরের দিকে ভায়োলেট মানষি চায় এই প্রকৃতির পটভূমির সন্ধান। এতদিন যেন আমার Emerson-এর মতের সঙ্গে খাব মিল ছিল। সেদিনও বঙ্গশ্ৰী আপিসে কত তক করেচি, আজ একটা মনে সন্দেহও জেগেছে। মানষে এই সন্টিকে মধরতর করেচে। ওই দর আকাশের নক্ষত্রটি—ওর মধ্যেও স্নেহ, প্রেম যদি না থাকে, তবে ওর সার্থকতা কিছই নয়। হৃদয়ের ধৰ্ম্মম সব ধৰ্ম্মেমরি চেয়ে বড়। আজ সকাল থেকে বর্ষা নেমেচে । ঝিম-ঝিম বাদলা, আকাশ অন্ধকার। আজ এই মেঘমেদাির সকালে একবার নদীর ধারে বেড়িয়ে আসতে ইচ্ছে করচে-বাঁওড়ের ধারের বেলে মাটির পথ বেয়ে একেবারে কুদ্দীপরের বাঁওড় বাঁয়ে রেখে মোল্লাহাটির খেয়া পার হয়ে যেতে ইচ্ছে হচ্চে পিসিমার বাড়ি পাটশিমলে বাগান-গাঁ। কাল ΑΟ