পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কালোজলে সাঁতার দিতে দিতে দ পাশের বাঁশবন, সাঁইবাবলার সারি চেয়ে চেয়ে দেখা, সবজি উলর মাঠের দশ্য, পাখীর অবিশ্রান্ত ডাক—এখানে মনের সব ক্ষধা "মিটিয়ে দেয়। বসে লিখচি, রাণ এসে বললে—দাদা, এক কাপ চা খাবেন কি ? সে ওদের রান্নাঘর থেকে চা নিয়ে এসেচে বয়ে। আর কাল থেকে অনবরত বলচেদাদা চলে যাবেন না। কাল, আর একদিন থাকুন, আপনি চলে গেলে পাড়া অাঁধার হয়ে যাবে। কাল সমস্ত দিনের মধ্যে অন্ততঃ তিন-চার বার একথা বলেছে।--অথচ ওর ওপর কি অবিচার করেচি এবার-ওকে নিয়ে তাস খেলি নি একটি দিনও— ও খেলতে uuBBD BD D DBDBD BB BD BDD D বললে—জন্মাষ্টমীর ছটিতে আসবেন তো ? আমি বললাম—যদিই বা আসি, তোর সঙ্গে আর তো দেখা হবে না। তুই তার আগেই তো চলে যাবি। এদের কথা ভেবে কলকাতায় প্রথম প্রথম কন্ট হবে। পাজার ছটিতে বাড়ি এসেচি। রাখামাইনস গিয়েছিলাম। সেখানে একদিন একা মেঘান্ধকার বিকালবেলাতে সাটকিটার অরণ্যময় জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে বেড়িয়ে এসেছিলাম। এই পথে একা যেতে ওদেশের লোকেও বড় একটা সাহস করে নাযখন একটা ছোট পাহাড়ী ঝরনায় নেমে রবীন্দ্রনাথের চিঠির একটা অংশ সেখানে রেখে দিচ্চি, কাল নীরদবাবদের বিশ্ববাস করাবার জন্যে, তখন সেখানে কুলকুল ঝরনার শব্দটি মেঘশীতল বৈকালের ছায়ায় কি সন্দির লাগছিল! পাহাড়ের Saddleটা যখন পার হচ্চি তখন ঝম-ঝম করে বলিট নামল, হাজার হাজার বনস্পতির পাতা থেকে পাতায় ঝর-ঝর করে বটি পড়ছিল। দারের কালাঝোরি পাহাড় মেঘের ছায়ায় নীল হয়ে উঠেচে—ধোঁয়া ধোঁয়া মেঘগলো জড়িয়ে জড়িয়ে খেলা করচে। কালিদাসের ‘সানামান আম্রকুট" কথাটি বার বার মনে পড়ছিল-- একা সেই মহয়াতলায় শিলাখন্ডে বসে। একদিন রাখামাইনস-এর বাংলোর পেছনে বনতুলসীর জঙ্গলে ভরা পাহাড়টার মাথায় অস্তগামী সংয্যের আলোতে বসেছিলাম, ওদিকে রাঙা রোদ-মাখানো সিদ্ধে“বর ডুংরির মাথাটা দেখা যাচ্ছে, এদিকে পাহাড়ের Ledge থেকে দরে গালডির চার বাবার বাংলো দেখা যাচ্চে-সেদিন কি আনন্দ যে মনে এল-- তার বণনা ভাষায় দেওয়া যায় না। সেদিন আবার বিজয়া দশমী-নীল ঝরনার ধারে একটা শিলাখন্ডে একা বসে রইলাম সন্ধ্যাবেলাতে, ক্ৰমে জ্যোৎসনা উঠল, মহীয়াতলার ঘাট দিয়ে পাহাড়ের দিক দিয়ে ঘরে আসতে আসতে কুস্যামবনীতে উড়িয়া মদীর দোকানে গেলাম সিগারেট কিনতে। আশচয্যের বিষয় এইখানে হঠাৎ নীরদবাবার সঙ্গে দেখা হল। তিনি ও তাঁর সত্ৰী Shanger সাহেবের বাংলো থেকে চা খেয়ে ঐ পথে মেঘঢাকা অস্পষ্ট জ্যোৎস্নাতে বেড়াতে বেরিয়েছিলেন—বিজয়ার কোলাকুলি সেই দোকানেই সম্পন্ন হল। ভাবলাম, আজ আমাদের দেশে বাঁওড়ের ধারে বিজয়া দশমীর মেলা বসেচে । তার পরদিন আমরা গালাডিতে গেলাম ডোঙাতে সবৰ্ণরেখা পার হয়ে-চারবাবদের বাংলোতে গিয়ে সরেনবাব, আমি নেকড়েডুংরি পাহাড়ে গিয়ে উঠে বসলাম। চা খেয়ে আশাদের বাড়ি গিয়ে গান শািনলাম। আশার- সেখানে বিজয়ার মিনিটমাখ না GO