পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“আমাদের দিন পার হয়ে গিয়েচে, বেলা চারটে, এখন ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের পথ দেখাও, পথ দেখাও।” কথাটা আমার বড় ভাল লাগল। দাপরে আটির ধারে মাঠে যেমন রোজ বেড়াতে যাই, আজও গেলাম। দাপরের আকাশ যেমন নীল, অপরাপ নীল—এমন কিন্তু অন্য কোনো সময়ে পাইনি। দাপরের পরে খকু এসে অনেকক্ষণ ছিল। তাই দাপরে কিছ লেখা হয়ে উঠল না। বিকেলে আমি গিয়ে কুঠীর মাঠে একটা নিভৃত স্থানে গায়ের আলোয়ানখানা ঘাসের ওপর বিছিয়ে তার ওপর চাপ করে বসে রইলাম। এতে যে আমি কি আনন্দ পাই! একটা অনভূতি হোল আজ, ঠিক সেই সময় রাঙা রোদ ভরা আকাশের নিচের গাছপালায় অাঁকা-বাঁকা শীষ দেশ লক্ষ্য করতে করতে । সকালে উঠে নৌকাতে আবার বনগাঁয়ে যাচ্চি। জলের ধারে ধারে মাছরাঙা পাখী বসে আছে। নলবনে। কাঁটাকুমরে লতায় থোকা থোকা সগন্ধ ফল ধরেচে। তবে ফলের শোভা নেই, গন্ধই যা আছে। বড়দিনের ছটি শেষ হোল। আবার কলকাতায় ফিরতে হবে। কে জানে, কবে আবার দেশে ফিরতে পারব ! bf ○