পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পর্ণ তপ্ত সয্যালোক—তার ওপর সব সময়ের জন্যে মাথার ওপরকার ঘন নীল আকাশ—আমাকে একেবারে মগধ করে দিয়েছে। দিনরাত এই মন্ত প্রকৃতির মধ্যে বাস করেও যেন আমার আশ মেটে না-রাত্রির নক্ষত্ররাজি কি জৰলজবলে, কত রকমের, निकार्वािनहरক কতদার ছড়ানো। বেজায় শীত পড়লো শেষ রাত্রে। সকালে নদীর ঘাট থেকে ফিরচি, আমাদের ঘাটের পথে গাবতলায় সাত-আটখানা বড় বড় মাকড়সার জাল পাতা। রোদ পড়ে। বিচিত্র ইন্দ্ৰধনীর রং-এর সন্টি করেচে। আমগাছের এডালে ওডালে টানা বোধে উচিতে নিচতে কেমন জাল বনোচে। প্রত্যেক জালেতে গোটাকতক মশা মরে রয়েচে । একটা মাকড়সা জাল গটিয়ে একটা মাত্র টানার সাতোতে পৰ্যবসিত করলে-সেই সাতোটা বেয়ে ছোট্ট মাকড়সাটা গাব গাছের ডালে উঠে গেল। বনে বনে এই সব দেখে বেড়ালেও কত শিক্ষা হয়। আমাদের দেশে। কত ফল, ফল, দামী ঝোপঝাপ, কীট পতঙ্গ। এদের জীবনের ইতিহাস আলোচনা করলে যে আনন্দ পাওয়া যায়— একরাশ প্রাণী-বিজ্ঞানের বই ঘটিলেও তা হয় না। "We live too much in books and not enough in nature, and we are very like that simpleton of a Pliner the younger who went on studying a Greek author while before his very eyes Vesuvious was overwhelming fine cities bencath thc ashes.” তারপর কতক্ষণ দাপরে মানদের বাড়ি ভ্ৰাতৃদিবতীয়ার নিমন্ত্রণে গিয়ে ওদের সঙ্গে বসে গলপ করলাম। কে বলেছিল ‘অন্ধ নাচার বাবা’, ক্ষীদা খাব উৎসাহের সঙ্গে সে গলপ করলে। আমি বনপথ দিয়ে তালাঘাট গেলাম। সেখানে নিরাপদদের বাড়ি চা খেয়ে কতক্ষণ গলপ করি। নিরাপদ এক অদভুত লোক। সে বলে নাকি ভূত দেখে। মাঠে-ঘাটে সব্বদাই ভূত বেড়াচ্চে সর, সতোর মত।

  • আমি বললাম—বলেন কি ?

--হ্য, বিভূতিবাব। ওরা আবার তারা ধরে নামে। আমি সকালে উঠে দেখোঁচ বনের সব তারা পড়ে আছে। সােয্য ওঠবার আগে তারার ঝাঁক আপনিই আকাশে উঠে যায়। কেবল যোগালো শিশিরে খািব ভিজে যায়, সেগলো ঝোপের তলায় খাব ভোরে পড়ে থাকে। ভিজে ভরি হয়ে যায়। কিনা, তাই আর উঠতে পারে না। আমি খােব অবাক-মন্ত মািখখানা করে নিরাপদর মখের দিকে চেয়ে রইলাম। ও নাকি সংযোলোক থেকে তাপ সংগ্রহ করে দেশের কাজ করবে, সেজন্যে সমযাকে জয় করচে। রোজ মাঠে বসে সয্যের দিকে একদলেট চেয়ে থাকে। ঘন অন্ধকার। বড় বড় গাছের মাথায় অগণ্য নক্ষত্রদল জবলজবুল করচে-—কি অসীম দাতিলোক পথিবীর চারিধার ঘিরে। টচ্চোর ব্যাটরি ফরিয়ে এসেচে বলে একরকম অন্ধকারেই চলে আসতে হোল। নিরাপদ সঙ্গে খানিকদর এল গলপ করতে করতে- রাস্তার ধারে সাঁকোর ওপর দী-জনে কতক্ষণ বসলাম। আমি গলপ কুমার মাথার ওপর চেয়ে চেয়ে নক্ষত্ৰ দেখি, একবার চারিধারের অন্ধকার বনানী 2 আজ বিকেলে কুঠীর মাঠে গিয়ে একটা চমৎকার সন্যাসত লক্ষ্য করলাম। আর সেই বন-ঝোপের সগন্ধ ! এ গন্ধটা আমায় এবার বড় মগধ করে রেখেচে । এদের ছেড়ে কলকাতা যাবার দিন নিকটবতী হয়েচে মনে ভাবলেই মনটা খারাপ না হয়ে পারে NVg