পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

a gè ak fel se “King’s life is peacefully drawing to a close”-3FBFFF গিয়ে পাশের বাসা থেকে স্টেটসম্যান দেখে এসে বললে রাজা মারা গিয়েছেন बाब्ऊदिकछे। স্কুলে গিয়ে তখনি ছটি হয়ে গেল। নতুন একটি প্রকাশক আমার কাছে ঘরেছিল বই নেবার জন্যে, তাকে সঙ্গে নিয়ে বেড়াতে গেলাম শৈলজাবাবার বাড়ি, সেখান থেকেবিচিত্রা আফিসে, সেখান থেকে নাট্যকার যোগেশ চৌধরিীর বাড়ি। রাত দশটায় বাড়ি, ফিরলাম। সম্রাট বন্ধ হয়ে পড়েছিলেন এবং গত ১৯২৮ সালে অত বড় অসখি থেকে উঠে। কাব্য হয়েও পড়েছিলেন। মনে পড়ে। ১৯১২ সালের কথা, যখন তাঁর দরবার উপলক্ষে আমাদের সংস্কুলে ভোজ হয়েছিল, আমি তখন বনগ্রাম স্কুলের ছাত্র। সেই উপলক্ষে জীবনে প্রথম বায়োস্কোপ দেখলাম বনগ্রামে ডেপটিবাবার বাসার প্রাঙ্গণে। সে সব বাল্যসমতিতে পৰ্য্যবসিত হয়েচে-তারপর দীর্ঘ চব্বিশ বৎসর কেটে গেল। জীবনের পথে আমিও কতদার অগ্রসর হয়ে এসেচি। বৰ্ত্তমান প্রিন্স অফ ওয়েলসকে বালক দেখেছি (ফটোতে অবিশ্যি), দেখতে দেখতে তাঁর বয়স এখন হোেল তেতাল্লিশ <धठ्द । জীবন, বছর, আয় হরহ করে কেটে যাচ্চে। বিরাট স্রোতস্বতী এই রহস্যময়ী জীবনধারা, কে জানে একে ? ডিসরোলী বলেছিলেন জীবন সম্পবন্ধে 'Youth is a blunder, maturity is a struggle and old age is a regret-bats 4CGires ও Summing up ; তাই সত্যি কি না কে জানে! কাল রাজপরে অনেকদিন পরে বেশ কাটল। বেলা পড়লে আমি ও ভোম্পােবল ধনি ডাক্তারের বাড়ি বসে গলপ করে বোসপকূরে বেড়াতে গেলাম। তখন কি চমৎকার জ্যোৎস্না উঠেচে, বোসপকূরের ওপারের নারকেল গাছগালোর কি রােপ ফটেচেf ফিরবার পথে একটা বাঁধানো পকুরের ধারে দা-জনে বসে গল্প করলাম। বাঁধা ঘাটটা বড় সন্দর। এই রাস্তাটার ধার দিয়ে একবার আমি কিশোরী বসার বাড়ি থেকে বোসপট্রিকুরে বেড়াতে এসেছিলাম, তখন মা আছেন,- -ওখানে পাকুরঘাটে একটা ছেলে এসে জটিল, সে থাইসিসে ভুগছিল বলে তার বাড়ির লোকে সবসবান্ত হয়ে তাকে নৈনিতালে রেখেছিল। সে এসে বললে—এদেশে কোন কিছ ভাল বিষয়ের চচ্চা নেই, এখানে বসে মন টিকচে না। তারপর আমরা গেলাম খাকীদের বাড়ি, সেখানে আহারাদির পরে খাকী পাড়ার লোকের নানা দঃখের কাহিনী বললে ঃ মহেন্দ্ৰবাবর পনেরো বছরের নাতনীটি বিধবা হয়েচে, তার মাও বিধবা, জায়ের ছেলের গলগ্ৰহ, কারণ ধীরেন (ওই ছেলেটির নাম, এক সময়ে ও আমার ছাত্র ছিল) বাড়ির মধ্যে একমাত্র রোজগারে লোক। ধীরেনের মায়ের কাটক্তির জবলায় ওদের মা ও মেয়ের জীবন অতিভ্ৰষ্ঠ হয়েচে । তারপর মেয়েটি আবার অন্তঃসত্ত্বা। মা বলে মেয়েকে, তুই বিষ খেয়ে মরে যা, আমি তোকে নিয়ে কি করি! একাদশীর দিন মেয়েটা মরে যাওয়ার যোগাড় হয়। তার ওপর পেটের ছেলে টান ধরে, জলতেন্টায় ও খিদোঁতে, একাদশীতে বড় কষ্ট পেয়েচে। সবাই বলেছিল জল খেতে দাও, মহেন্দ্রবাবার স্ত্রী ও দেবী দ-জনেই বলেচে, একে তো বাড়ির দই ছেলে (মহেন্দ্রবাবর মেজো ও সেজো ছেলে) এর আগে মারা গিয়েচে, একাদশীতে বাড়ি বসে বিধবা জল খেলে, পাছে আরও কোন অকল্যাণ হয়! দেবী বলেচে, আমার তো ওই বাচ্চা, আমার সে সাহস হয় না বাপ, জল খাওয়াতে হয় ও মেয়েকে নিয়ে তুমি অন্যত্র যাও। ՀԳ