পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওঃ সেই বায়োসে কাপওয়ালা সাহেবের সঙ্গে দেখা হয়ে কি আনন্দই পেয়েছিলাম আজ বিকেলে। ভাল কথা—লিখতে ভুল হয়ে গিয়েচে, এই কালই বিকেলে ভাগলপরের যতীনবাবরে মেয়ে সত্যপ্রিয়ার সংবাদ পেয়েচি। কেবল দটি কম্পট মনে রয়েচে—উষার সঙ্গে দেখা হয় নি। বহকাল-ভাবচি গরমের ছটিতে, কি পড়জোর ছটিতে একবার এলাহাবাদে যাব। আবার একদিন রাজপরের বিন্দদের শবশরিবাড়িতে গেলাম রাধানাথ মল্লিকের লেনে। বিন্দ বড় ভাল মেয়ে, ভারি আদর-যত্ন করলে। একে ছোট অবস্থায় দেখেছিলাম-আবার দেখলাম। এই বছরই প্রথম। আমার বড়মামার ছেলে গািলকে আজ আট বছর পরে এই বছরই দেখলাম। কত বছর পরে কুসমের সঙ্গেও দেখা হয়। গত ১৫ই মে। রেণদের বাড়ি আর একদিন গিয়েছিলাম। ওরা ছেলেমানষে, ভূতের গলপ শনে খাব খশি। আমায় আবার একটা লেবেণ্ডশের কৌটা উপহার দিলে রেণ। বললে, আপনি আমাদের মত ছেলেমানষি, তাই এটা দিলাম। আপনাকে। ওরা কাল রবিবারে চাটগাঁ, চলে গেল, আমি সকালে তুলি দিতে গেছলাম, ওরা ঠিকানা দিয়ে চিঠি দিতে বললে। রেণার তো কথাই নেই, সে জেতনকে বললে, আপনাকে ধন্যবাদ যে আপনি এর সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিয়েছেন। রেণ্যর পত্র পেয়েচি। সে গিয়েই পত্র লিখেচে, আর তাতে লিখেচে, ‘আসন শীগগির একবার চাটগাঁয়ে।” আমি আর একদিন রাজপরে গিয়েছিলাম। যদিনাথ ও খাকী বলছিল, রেণ। আর একদিন ওখানে গিয়েছিল বেড়াতে, সেদিন আমি ছিলাম না। তাই শািন্ধই আমার নাম করেচে।.ওইখানে বাবা শহয়েছিলেন, এখানে বসে বাবার সঙ্গে কত গলপ করেছিলাম...শধ এই সব কথাই হয়েচে। সেদিন রাজপর থেকে ফিরবার পথে জ্যোৎসনালোকিত পলাটফৰ্ম্মেম বসে বসে কেবল এই সব ভেবেচি। আজ একটি অদভুত তালজাতীয় গাছের কথা পড়লাম, নাম Microzeminar Plum । অসেন্ট্রলিয়ার Tambourine mountain-এ বিস্তর রয়েচে । এই গাছ নাকি বহনকাল বাঁচে। সেখানে পনেরো হাজার বছর একটা গাছ বেচে ছিল, সেটা দশো ফািট উচ হয়। Prof. Chamberlain, সেখানে অতি উচ্চ গাছ দেখে খাব উৎসাহিত হয়ে গিয়েছিলেন। পনেরো হাজার বছর বয়সী প্রাচীন গাছটা কে সেদিন কেটে ফেলে (রয়টার, ৮ই মে, ১৯৩৫, অমতবাজার পত্রিকাতে পড়লাম) বাকী গাছ যা সব আছে, তুর মধ্যে একটার বয়েস এগারো হাজার বছর, বাকীগলি তিন-চার হাজার বছরের fra কাল স্কুলের ছটি হবে। আজ ছেলেরা খাব খাওয়ালে। আমি নানা জায়গায় ঘরে টরকে সঙ্গে নিয়ে রমাপ্রসন্নদের বাড়ি গেলাম। কুসমের সন্ধান করে তার ঠিকানা পেলাম। টরকে সঙ্গে নিয়ে তেত্ৰিশ বছর পরে গিয়ে কুসমের সঙ্গে দেখা করলাম। আমার ন-বছর বয়সে কুসম আমায় কত গলপ বলত। এখন তার বয়স ষাট-এর কম নয়-গরীব, লোকের বাড়ির ঝি। সে চেহারাই আর নেই। ওর সে চেহারা আমার মনে আছে। মানষের চেহারার কি ভয়ানক পরিবত্তন হয়। তপর সঙ্গে সেদিন দেখা হয়েচে, আজ দিন তিনেক আগে। তাকে দেখেছিলাম ফু-বছরের ছেলে—এখন তার বয়েস তোর-চৌদ্দ বছর। এ বছরটিতে পারোনো আলােপী স্কুলোকের সঙ্গে দেখা হচে । OC