পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বললে-একটা মেয়েকে খান করেচি। -কেন খান করলে ? —বাব, চারদিন খাইনি। ওর গায়ে গয়না ছিল, সেই লোভে মেরেচি। আমরা বললাম-বাপ। ওরকম বোলো না, পলিসের কাছেও না বিচারের সময়ও ब्षा । दळCळ भाद्वा ‘सृंद । তারপর এসে একটা বড় পাকুরের ধারে বসলাম। তখন বান্টি থেমে গিয়েচে । পকুরের ওপারের আকাশে মেঘপঞ্জ, তবে কি আর দেশের মত ভাল লাগছিল, তা নয়। কলকাতার চেয়ে ভাল বটে। একটা ছোট মেয়ে পাশপাতিবাব বলতে, অনেকগলো জই ফল তুলে এনে দিলে। পাশপাতিবাবার বাসায় বারান্দাতে বসে চা খেয়ে অনেক গল্প করা গেল। রাত্রে ফিরবার সময় মিনদের বাড়িটা দেখলাম। বাড়িটা ভালই, তবে বারাসাতে অত্যন্ত ম্যালেরিয়া বলে ওরা এখানে থাকতে পারেন না। আজ রাধাকান্তদের বাড়ি গেলাম। তার বৌভাতের নেমন্তদেন। অনেকদিন যাই নি। ওদের বাড়ি, ওরাও খাব ভালবাসে। বাইরের ঘরে খািব ভিড় থাকা সত্ত্বেও রাধাকান্ত, ঘিচ্যু, ভীম, বাঁটল সবাই এসে গলপগজব ও আপ্যায়িত করলে। ভীম ও বাঁটলের সে কি আনন্দ আমি গিয়েচি বলে! রাধাকান্ত খাবার সময়ে হাত ধরে ওপরে নিয়ে গেল ওর বোন লক্ষীর কাছে। লক্ষ্যনীকে বললে—এ কে আলাদা জায়গা করে খেতে দে। লক্ষীর ছোট বোনটা বেশ বড় হয়ে উঠেচে দেখলাম। আমি একবার জোর সময় জাহ্নবীর মেয়েকে নিয়ে গিয়েছিলাম, ওর আগের পক্ষের খড়ীমা তাকে পতুল দিয়েছিলেন—সে সব কথা বললে। বাঁটল একটা ঘরের কাছে নিয়ে গিয়ে জানিলা দিয়ে বৌ দেখালে-ঘরের মধ্যে মেয়েদের ভিড়। সোনারবোনের মেয়েরা অত্যন্ত গহনা পরে, এক একটি মেয়ের আপাদমস্তক গহনায় মোড়া, নাকের নাথাও বাদ যায় নি। আজকাল যে এত গহনা পরার রেওয়াজ আছে, বিশেষ এই কলকাতা শহরে—সে আমার ধারণা ছিল না। রাধাকান্তের বোন লক্ষী অন্যরকম দেখতে হয়ে গিয়েচে । শিব যখন আর একবার দোতলার ঘরে বৌ দেখাতে নিয়ে গেল তখন সে একখানা লাচি হাতে সঙ্গে সঙ্গে ফিরতে লাগল, কিন্তু ও যেন বড় ছেলেমানষে হয়ে গিয়েচে। রাধাকান্ত ছেলেটি আমায় খব ভালবাসে এ আমি বরাবরই দেখে আসচি শিবার চেয়ে, ভীমের চেয়েও । ওর মধ্যে কপটতা নেই। কলকাতায় বড় একটা আনন্দ পাওয়া যায় না ; কিন্তু কাল সন্ধ্যা ছ-টিার সময় বাসায় ফিরে এসে বারান্দাতে বসে আছি, হঠাৎ মনে আপনা-আপনিই আনন্দ এল । সকলের কথা মনে এল। দেখলাম ভেবে নিরাকার ভগবানকে আমি বঝি নে, তাঁর ধারণাও করতে পারি নে—God as pure spirit তাঁকে বঝতে পারবো না যতক্ষণ তাঁর রােপ না পাচ্ছি। যখন তিনি নিদিষ্ট রােপ গ্ৰহণ করে আসবেন, তখন তাঁকে আমরা ভক্তি করতে পারি। কেননা মানষি নিরাকার নয়। এমন সে কখনও জীবের কলপনা করতে পারবে না, যার প্রাণ আছে, মন আছে, অথচ আকার নেই। নিরাকার ভগবানের উপাসনা কি সোজা ব্যাপার ? কিন্তু এসব কথা অবান্তর। আমার মনে উঠল একটা অন্য ভাব। খকুদের কাছে একটা বারো-তেরো বছরের ছোট মেয়ে খেলে বেড়াচ্চে। মেয়েটি ভারী সন্দরী, নীলা c)