পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পড়েচে। একদিন একখানা সাম্যপান ভাড়া করে কাউখালি থেকে বার হয়ে সমন্দ্রে বেড়াতে গেলাম। মাঝি মাত্র একজন, চাটগাঁয়ের বলিতে বললে, কতদর যাবেন বাবা ? -অনেক দর, চলো সমাদের মধ্যে। সদ্ধের পর ফিরবো।-- —আদিনাথ যাবেন ? একটা হোেট পাহাড় সমদ্রগভ থেকে খাড়া উঠেছে—তার মাথায় আদিনাথ শিবের মন্দির। এ অঞ্চলের এটি একটি প্রসিদ্ধ তীৰ্থস্থান, অনেক দীর থেকে লোকে আসে। আদিনাথ দশন করতে, শিবরাত্রির সময় বড় মেলা হয়। কাউখালি নদী যেখানে এসে সমন্দ্রে পড়লো, তার ডাইনে প্রায় মাইল দই দরে আদিনাথ পাহাড় সমদ্র থেকে উঠেচে, আর ঠিক সামনে অদরেই একটা বড় চড়ার মতো কি দেখা যাচ্চে। মাঝিকে বললাম—-ওটা কি চড়া পড়েচে ? মাঝি বললে-না। বাবা, ওটা সোনাদিয়া দ্বীপ। ভাঁটার পরে ওখানে অনেক কড়ি, শনে আমার লোভ হল। মাঝিকে সোনাদিয়া দাবীপে যেতে বললাম। মাঝি একবার কি একটা আপত্তি করলে, আমি ভালো বঝলাম না। ওর কথা। সামপান সাগর বেয়ে চলেচে, বিকেল পাঁচটা, সমদ্রের বকে সায্য ডাবডিবিহ-হ খোলা হাওয়া কাউখালির মোহানা দিয়ে ভেসে আসচে, আদিনাথ পাহাড়ের মাথায় অস্ত-সায্যের রাঙা রোদ। মনে হয় যেন কত কাল ধরে সমদ্রের বংকে ভাসাঁচি, দরের সাউথ সি দাবীপপঞ্জের অন্ধচন্দ্রাকৃতি সাগরবেলা, যা ছবিতে ছাড়া কখনো দেখিনি।--তাও যেন অনেক নিকটে এসে পৌছেচে—তাদের শ্যাম নারিকেলপাঞ্জের শাখাপ্রশাখার সঙ্গীত যেন শনতে পাই। সোনাদিয়া দাবীপে যখন সাম্যপান ভিড়লো তখন জ্যোৎসনা উঠেচে। ছোট্ট চড়ার মতো ব্যাপারটা, গঙ্গার বকে বালি হগলি শহরের সামনে অমন শধ একটা বালির চড়া-জল থেকে তার উচ্চতা কোথাও হাত খানেকের বেশি নয়। কিন্তু সে কি সন্দির জায়গা ! অতটকু বালির চড়া বেন্টন করে চারিধারে অকল জলরাশি, জ্যোৎস্নালোকে দরের তটরেখা মিলিয়ে গিয়েচে । আদিনাথ পাহাড়ও আর দেখা যায় না, সতরাং আমার অনভূতির কাছে প্রশান্ত মহাসমাদ্রের বকে যে-কোনো জনহীন দাবীপই বা কি, আর কক্সবাজারের সমদ্র-উপকাল থেকে মাত্র দ মাইল দরের সোনাদিয়া দ্বীপই বা কি, আমাদের গ্রামের মাঠে বসে বৈকালে আকাশের দিকে চেয়ে মেঘস্তপের মায়ায় রচিত তুষারমোলী হিমালয়ের গৌরীশঙ্কর শঙ্গে কি ত্রিশাল कडीलका श्रद्धाश्वक कर्गद्वनि कि ! মনে কলপনায় এই জগৎকে আমরা অহরহ সন্টি করে চলেচি-আমরা নিজেরাই পমতি ও অভিজ্ঞতার ভান্ডার-সে তেমনই সন্টি করে। বই লেখা, উপন্যাস লেখাই শািন্ধ সন্টি নয়। প্রতিদিনের ধ্যান ও স্বপন আমাদের তার স্রম্পটা। প্রত্যেক মানষেই স্রষ্টা ; যার যেমন কলপনা, যার যেমন ধারণাশক্তি, যেমন, চারপাশে মায়াজালের যে বননি রচনা করে তাও সন্টি। তারই বাহ্যপ্রকাশ হয়। সঙ্গীতে, কথাশিলেপ, ছবিতে, নাটকে, কথাবাত্তার মধ্যে, পথাপত্যে, ভাস্কয্যে। কোন भान्स धषा नन्न ? ঝিনক ও কড়ি যথেস্ট পরিমাণে ছড়িয়ে আছে। সারা চড়ার ওপরে। আর আছে এক ধরণের লাল কাঁকড়া। বালির মধ্যে এরা ছোট ছোট গত্ত করে গাত্তের মাখে চুপঃ S