পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৭৬

সেই জ্যোৎস্নাসনাত শালবন ও উদাস প্রান্তর ; বনে-বোপে অজস্র ফোটা ল্যাশটনা ফল, নানা রং-বেরং-এর। এই ফলটা ওখানকার জঙ্গলে যত দেখেছি তত বাংলাদেশের এ অঞ্চলে কোথাও দেখি নি। তবে আজকাল কিছ কিছ আমদানি হয়েছে, বিশেষতঃ রেললাইনের ঢালতে। রেললাইনের ঢালতে অনেক বিদেশী ফল দেখতে পাওয়া যায়। হয়তো রেলগাড়ীর সাহায্যে ঐ সব বীজ দেশবিদেশে কি ভাবে ছড়িয়ে BBDSg DD DBDBB DD BBB BBBD BB BDDD DDD D জানিয়ারী মাস ! আমি ঘাটশিলা আছি সে সময়। পাশের সেন্টশন হোল গালাডি। কয়েকটি বন্ধ সেখানে ইংরিজি নববষের উৎসব করবেন, আমাকে তাঁরা নিমন্ত্রণ করেছেন। হোটেই রওনা হই। বেশি নয়, ছ। মাইল রাস্তা। কিন্তু পথের দশ্য আমার কাছে বেশ ভালই লাগে। উচ্চ রেলপথের বাঁধ দিয়ে হেটে যাচ্ছি, ডাইনে মাইল দাই আড়াই দরে এবং বাঁয়ে মাইল চারেক দরে রেলপথের সঙ্গে সমান্তরাল শৈলমালা চলেছে বরাবর। ডাইনে সিদ্ধেশবর ডাংরি শৈলমালা, বাঁদিকে কালাঝোড়। বেলা পড়ে এসেছে। একস্থানে রেলওয়ে কাটিং, অর্থাৎ সেখানে উচ, ডাঙার কঠিন পাথরের মধ্যে দিয়ে রেললাইন কেটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বড় বড় চণাপাথর ও বালিপাথরের চাঁই পড়ে আছে, খােব উচ্চ পাথরের সন্তাপ দেখাচ্ছে অনাচ পাহাড়ের মত। একটা ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। জায়গাটাতে একটি বসে নিলাম। সায্য হেলে পড়েছে সিন্ধেশবর ডাংরির মোচাকৃতি শিখরদেশের মাথায়। কিছ দরে জগন্নাথপর বলে সাঁওতালী গ্রাম। একটা মাদার গাছ। ধন ধ করছে সিং ভুমের উন্মত্ত প্রান্তর। শীতের হাওয়ায় হাড় কাঁপিয়ে দিচ্ছে বলে আলোয়ানটা মাড়িসাড়ি দিয়েছি। হঠাৎ একটা লোক বাংলা গান গাইতে গাইতে যাচ্ছেঃ “হরি দখ দাও যে জনারে ।” বাংলাদেশ থেকে এত দরে নীলকণ্ঠের গান কে গাইতে গাইতে যায় ? ছেলেবেলায় বাবার মাখে শোনা গান—এখন এসব গানের চলন আর কোথাও নেই। সিনেমার গানে দেশ গিয়েছে ভরে! আমার ডাকে লোকটা কাছে এল। মলিন তালি-দেওয়া নীল প্যান্ট ও শার্ট পরা একজন সাঁওতাল যবক। বললাম-বাড়ী কোথায় রে ? --বনকাটি। --মৌ-ভান্ডারে কাজ করিস ? -হাঁ বােব। -এ গান শিখলি কোথায় ? —বঢ়া লোকদের মখে শেখা বােব। —সবটা জানিস ? গা” দিকি— --বাব, তোমাদের সামনে কি আমরা গান গাইতে পারি ? উশচারণ হয় না।-- --ঠিক হবে, তুই গা। কি কাজ করিস ? -সিমলোটে (অর্থাৎ, সেমিলটিং বিভাগে)- -হ্যািপ্তা কত পাস ? --চার টাকা সাত আনা বাবা —ख्आफ़्छा क्रान्म 2ाগান গেয়ে ছোকরা চলে গেল। আমিও উঠে কাঁদোড় নামে ক্ষদ্র পাৰস্বত্য কণা V