পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পান্ডবেরা ! বনে জঙ্গলে টাে টো করে ঘরে কাঁহাতক কাপড় পরিস্কার রাখা যায় ? আরও এগিয়ে গেলাম মাইল বারো-সবসন্ধ যেতে হবে ৪৭ মাইল রাস্তা। এই রকম শোভাময় বনপথ দিয়ে। একটা ক্ষদ্র গ্রাম ছাড়িয়ে একটা রেল লাইন আমাদের রাস্তার ওপর দিয়ে কোথায় যেন গেল। শািনলাম, এটা টাটা-বাদামপাহাড় লাইন। এর পরই দীঘ প্রসারী মাঠের মধ্যে তিরিন বলে একটি ক্ষদ্র গ্রামের বাড়ীঘরগলো বিশাল প্রান্তরে দিকহারা হয়ে হারিয়ে যাওয়ার ভয়ে যেন পরস্পর জড়াজড়ি করে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে । এক পাশে একটা ডাকবাংলোর মত ঘর। সেখানে গিয়ে মোটর থামাতেই একটি বাঙালী বাবা এসে দাঁড়িয়ে বললেন, আপনাকে একবার নামতে হচ্চে। —কিন্তু বড় দেরি হয়ে যাবে, চাইবাসা পৌছতে। -- তা হোক, সামান্য একট চায়ের ব্যবস্থা কি করি, নামতেই হোল ! মাঝারি আকারের বাংলো, চারিদিকে ঘোরানো বারান্দা। ভদ্রলোকটির বাড়ী বাঁকুড়া জেলায় ; এখানে পি. ডব্লিউ. ডি.-তে চাকুরি করেন । -कऊनिन आछन ? --তা প্রায় দহ বছর -दोन् व् ? --আমি এক রকম যা হয় করে থাকি, কাজে পাঁচ জায়গায় ঘরি, কিন্তু বাড়ীর মেয়েদের বড় কম্পট। - l-rug 25 —গ্রামের কথা বাদ দিন। এখানকার মেয়েদের সঙ্গে খাপ খায় না।--বাঙালীর মেয়ে অনা বাঙালী মেয়ের মািখ না দেখলে হাঁপিয়ে ওঠে, তাদের হয়েছে সত্যিকারের वन्दन । —কিন্তু সিনারি বেশ, কি বলেন ? - সে আপনাদের চোখে হয়তো লাগতে পারে। আমাদের মন হাঁপিয়ে ওঠে মেয়েদের হাতে যত্নে সাজানো রেকাবে জলখাবার ও চা এল। আমরা সেগলির সদ্ব্যবহার করতে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। বাবটির কথা শনে গহলক্ষীদের জন্যে সত্যিই মনে কণ্ট অনভব করছিলাম, এ যেন সেই আরিজোনার মরভূমির মত রক্ষদর্শন ভূভাগ-কালো কালো বনাবািতপাহাড়, টিলা, উন্মত্ত দিকচক্ৰবাল, এখানে মেয়েদের মন হাঁপিয়ে ওঠবার কথা বটে। ভদ্রলোকের কাছে বিদায় নিয়ে তাঁর আতিথেয়তার জন্যে যথেষ্ট ধন্যবাদ দিয়ে আমরা গাড়ীতে উঠলাম। আরও মাইল দশ-বারো গিয়ে খড়কাই নদী। নদী পার হয়ে মোটর থামিয়ে সেই নিজজন বালকাস্তৃত। নদীচরে অস্পষ্ট সন্ধ্যার অন্ধকারে কিছশক্ষণ দাঁড়াই। দরে একটা পাহাড়, সামনে কটা রংএর বালরাশির মধ্যে নাতিগভীর খাত সন্টি করে ক্ষীণকায়া খড়কাই বয়ে চলেছে। কেমন একটি উদাস শোভা এই জনহীন প্রান্তরের, এই পাব্বিত্য তটিনীর, রহস্যময়ী সন্ধ্যার। চাইবাসা পৌছে গেলাম রাত আটটার মধ্যে। সভার কাজকৰ্ম্মম পরদিন মিটে গেল। ওখানকার বন্ধীরা তখনও ছাড়তে চান। না। দজন ফরেস্ট-অফিসারের সঙ্গে যথেষ্ট আলাপ হয়ে গেল। তাঁরা বললেনআপনি বনের কথা লিখেছেন অনেক, কিন্তু সিং ভূমের বন আপনি দেখেন নি