পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমি বললাম-আপনারা বাঘের ভয় করেন না ? মিঃ সিংহ বললেন-করলে আমাদের কাজ চলে না। --বাঘের সামনে পড়েছেন কখনো ? --দা-তিন বার। একবার মোটর ড্রাইভ করে ফিরছি পাটনা থেকে, গভীর রাত্রে কোডামার জঙ্গলে প্ৰকাণড রয়েল-বেঙ্গল-টাইগার একেবারে গাড়ীর পাশে। IPه)II?س- —হ্যা, রাস্তার পাশে। একটা প্ৰকান্ড সম্পবের হরিণ মেরে তাঁকে খাচ্ছে। --আপনি কি করলেন ? —কি আর করব। হেড লাইটের আলো পড়তে আমি ওটাকে দেখতে পেলাম, তারপর ভয় হোল গাড়ীর ওপর লাফিয়ে না পড়ে। হরদয়াল সিং বললেন-আমি একবার বনো হাতীর পাল্লায় পড়েছিলাম। একটা পাহাড়ের ঢাল দিয়ে সাইকেলে নামচি, একদল বনো হাতী বনের মধ্যে দাঁড়িয়ে কান নাড়ছে। বাঘের চেয়ে বনো হাতী বেশী বিপদজনক—সোজা সাইকেল চালিয়ে দিলাম, পেছন দিকে আর চাইলাম না। আমার সন্ত্রী বললেন—এ বনে বাঘ আছে ? --বড় বাঘ বিশেষ নেই! অন্য সব জানোয়ারই আছে। তবে বনকে বিশবাস নেই জানবেন। পথের পাশে একটা বড় গাছের ছাল ওপর থেকে খালে ঝলে পড়েছে। সেটা দেখিয়ে হরদয়াল সিং বললেন-বিলন তো এরকম কেন হয়েছে ? প্রশনটা আমার সন্ত্রীকে উদ্দেশ করে। তিনি কিছ বলতে পারলেন না। আমি কিন্তু বঝতে পেরেছিলাম আগেই। বন্য হস্তীর দন্তাঘাতে বনস্পতির এই দশা। মিঃ সিংহ বললেন-টাটকা করেছে। এই দেখােন পায়ের দাগ। কাল রাতের ব্যাপার। সত্যই বটে। মাটির ওপরে হাতীর পায়ের দাগ এবং একটা দরে হাতীর নাদ । বেশ বোঝা গেল সন্ধ্যার পরে এসব পথে যাতায়াত করা খাব সবিধেজনক নয়। এমন একটা জায়গায় এসেছি যেখানে রাস্তার পাশে অনেক নীচে একটা বনাবত উপত্যকা দেখা যাচ্ছে। অর্থাৎ যে বনের মধ্যে আমরা বেড়াচ্ছি, সেটা যে অনেক উচ পাহাড়ের ওপরকার বন, নিশেনর উপত্যকা দেখে সেটা ভালোই বোঝা গেল । হরদয়াল সিং বললেন—কেমন, যাবেন টাইগার হিলে ? —আর কতদার ? --फ्राद्ध शाझेळी दिक९दा नांकृ ऊिन शाशेळी--ফিরতে তা হলে বেলা একটা বাজবে। সেখান থেকেই বাংলোতে ফিরবার কথা হোল। আমার সত্ৰী আর যেতেই চাইলেন 余T1 এইবার যেখানে আমরা ধর্মপান ও বিশ্রামের জন্যে বসলাম, সে সস্থানটিকে বেমালাম আফ্রিকা বলে চালিয়ে দিলেও কোন ক্ষতি ছিল না। এদিকে গভীর পাহাড়ী খাদ, অনেক নিচে অগণ্য-বনস্পতির শীষ দেশ দেখা যাচ্চে, দাপরের রোদ এসে পড়েছে তাদের ওপরে। বনের প্রকৃতিও অন্য রকম। হরদয়াল সিং বললেন—ঐ হোেল আমাদের মিসেলেনিয়াস ফরেস্ট। শাল ছাড়া आद९3 अकादक 9ाध्ये 305 562 ।