পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

--- সতের মাইল । -क्राथICन्म क्रन्म ? --সেখান থেকে টাকা আনবো-মাড়োয়ারীর গদী থেকে। আমরা কুলি। জঙ্গলে কাঠ কেটেছিলাম, তার মজরি। --সন্দেবেলা যাচ্ছিাস, ভয় করবে না ? --কুইরা গ্রামে গিয়ে রাত কাটাবো! হরদয়াল সিং সম্পমাখের ছায়াচ্ছন্ন শৈলসােনর দিকে চেয়ে আঙলি দিয়ে বললেনঐরকম ঢাল জায়গায় আমাকে বনো হাতীতে তাড়া করেছিল। সাইকেল না থাকলে সেদিন মারা পড়তাম। আমার স্ত্রী বললেন - তাহলে আজ ওঠা যাক এখান থেকে-- সেই সময় বন-বিভাগের দইজন উচ্চ কম্পমচারী আমাকে একটা অদ্ভুত প্রশন করলেন। বললেন -আচ্ছা, বলন তো এ কংক্রিটের বাঁধটার আর কি উন্নতি করা या ? হরদয়াল সিং এ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উচ্চ অফিসার। তিনি বললেন-আপনাদের পরামর্শটা একবার নিয়ে দেখি। আমি তো একরকম ভেবে রেখেছি, দেখি আপনারা কি রকম বলেন। “আপনারা' অর্থাৎ আমি এবং আমার সত্ৰী-এ যেন ডাক্তার বিধান রায় পরামর্শ চাইচেন পাশের বাড়ীর স্কুলমাস্টার বন্ধর কাছে—বলন তো মশাই, এ রোগীটির সম্পবন্ধে এখন কি ওষধি দেওয়া যায় ? আপনার কি মত! কিন্তু বিজ্ঞ ভেবেই তো পরামর্শ চাইছেন। খেলো হয়ে যাওয়াটা কিছ নয়। তাহলে লোকে মানে না। সতরাং মাখখানা গভীর করে কিছদক্ষণ চিন্তা করবার ভান করলাম। ষেন সক্কর বাঁধ কিংবা নতুন হাওড়া ব্রীজের প্রল্যান করবার ভার আমার ওপর পড়েছে। হঠাৎ ভেবে দেখলাম, বাঁধটা। এমন করে কেন যে বেধেছে, ওখানটাতে আমন নালা কেন করেছে, ওই জায়গাটাতে কংক্রিটের দেওয়ালের কাছে কয়েকটা ফেকির কেনএইগলো এখনো পৰ্যন্ত ভাল করে বঝি নি। দ-একটা ইনটেলিজেন্ট প্রশন করে দেখিয়ে দেওয়া দরকার যে এ ব্যাপারটা আমার কাছ জলের মতই পরিভাকার। সতরাং বললাম-আচ্ছা, এ বাঁধ এখানে কি জন্যে দেওয়া হয়েছে ? SPONS ! আমি বললাম-ও। তাঁর মাখের ভাব দেখে আমার আর কোন ইনটেলিজেণ্ট প্রশন করতে সাহস হোল না। কিন্তু আমার মনের সন্দেহ তখনও ঘোচে নি। এতে কি করে মাছ ধরা হবে, তা তখনও আমার মাথায় ঢোকে নি। বললাম-আচ্ছা বর্ষার জল এতে আটকায় কি করে ? জলি তো উপচে পড়বে। মাছ দাঁড়াবে কোথায় ? হরদয়াল সিং প্রায় চীৎকার করেই বলে উঠলেন-ওই! ওই তো সমস্যা! ওই কথাই তো বলছিলাম। যাক! অন্ধকারে ঢিল, ছড়িলে বশিঝাড়ের একটা বাঁশেও লাগবে না ? লেগেছে। আমার সন্ত্রী বললেন— চলো, বেলা প্ৰায় পড়ে এল। এসব জায়গা ভালো নয়। ওঠা যাক । এ যাত্ৰা ভগবান মািখ রক্ষে করলেন। আমার সত্ৰী উঠে পড়তে সবাই উঠলাম NOʻ