পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৯৫

-পর্বে এরকম হয়েচে । হরিণ নান খেতে এসেচে। দলে দলে, শিকারীদের মাহেন্দ্রসংযোগ। লকিয়ে থেকে গলি করেছে। —নিম্ঠরতার কাজ বই কি ! , —এখন বনের সমস্ত salt lick-এ গবন মেণ্টের খরদস্টি। বন্দক নিয়ে যাবার জো নেই। মোটর থামানো হোল। মিঃ সিং বললেন-চলন, দেখবেন কত জানোয়ারের পায়ের দাগ- 喂 যেখানে পাহাড়ের গায়ে Salt lick তার নীচে জানোয়ারদের চরবার সবিধের জন্যে বা দাঁড়িয়ে ননের সত্তর চাটবার জন্যে বন-বিভাগ থেকে পাথর কেটে সমতল করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে নরম সাদা মাটিতে সত্যিই অনেক জন্তুর পদচিহ্ন। হো-জাতীয় ফরেস্ট গাড বললেন-হরিণের পায়ের দাগই বেশি, ভালকেরও &আছে- কোঙররা আছে আমি বললাম—কোঙারা কি ? মিঃ সিং বললেন-বাকিং ডিয়ার —কত বড় ? —একটা বড় খাসি ছাগলের মত। বামিয়ােবরতে সেদিন রাত্রে যার ডাক শানেছিলেন ফরেস্ট গাড বললে-বাঘের পায়ের দাগ একদম দেখছি না হজাের। আরও মাইল সাতেক গিয়ে আমাদেব গাড়ী সমতলভূমিতে নামলো। সেখানকার আরও মনোহারী শোভা-বাঁ-দিকে একটা পাহাড় চলেচে-বন সেখানে তত ঘন নয়। হোলেও বড় বড় শািন্দ্ৰকান্ড শিববক্ষে ও গোলগোলি ফলের গাছে সমস্ত পাহাড়ের সানদেশ ভিত্তি। এই ফলের গাছ দেখতে আমাদের দেশের আমড়া গাছের মত- অথচ প্রথম বসন্তে সম্পপণ্য নির্ভপত্র শেবতাভ বক্ষগলিতে যখন সত্যািমখী ফলের মত বড় বড় ফল ফোটে-কালো কোয়ার্টজাইট পাথরের পটভূমিতে, মেঘশ্যান্য নীল আকাশের তলায়, খররৌদ্র-মধ্যাহ্নে কোন সৌন্দয্যের মায়ালোকের মধ্যে মনকে একেবারে তলিয়ে ডবিয়ে নিয়ে যায় যেন! যতদর যাই, সমতলের শোভা আর একরকম। ধরণীর উচ্চাবচ ভূমিরেখা এখানে সপরিস্ফাট, বন তাদের ঢাকে নি, কোথাও দ-এক "ঝাড় পাহাড়ী বাঁশ, কোথাও আদরের শৈলশ্রেণী থেকে নেমে নদী চলেচে বন্ধর উপালাস্তৃত পথে ; কোথাও দএকটি বন্যগ্রাম আমার সত্ৰী ক্ৰমাগত বলছেন-আহা, বেশ জায়গা, দ্যাখো দ্যাখো কেমন, ঐ গাঁখানা পাহাড়ের কোলে-এখানে একটা বাড়ী করলে হয় না ? আবার কিছদরে গিয়ে— —দাখো দ্যাখো কি সন্দির ঝর্ণাটি। বাঁশবন-এখানে একটা বাড়ী করলে হয় ডজন খানেক জায়গায় বাড়ী তৈরি করবার পরামর্শ শহনে শানে মিঃ সিং বললেন —কিন্তু একটা ব্যাপার মিসেস ব্যানাডিজ-বাড়ী তো অনেকগলো করবার প্রস্তাব করলেন---এসব জায়গায় বাস করতে পারবেন ? আমার সন্ত্রী বললেন-কেন ? —খাবেন কি ? রিজাভা ফরেস্টের মধ্যে এ সব গাঁয়ে শািন্ধ হো-জাতীয় লোকেরা বাস করে-দোকান টোকান নেই -ওরা জিনিস কোথায় পায় ? SR6