পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লড়াই আরম্ভ হোলে হাটে কে থাকবে ? কথাটা সত্যি বলেছে বন্ধনি। কেনা-বেচা, ব্যবসা-বাণিজ্য, টাকা রোজগার-এসব জীবনের অতি তুচ্ছ জিনিস। এর কি দাম আছে জীবনে ? আসল জিনিস হোল মরগীর লড়াই। গাছের তলায় মাদল বাজচে, গোলাকারে উৎসক নরনারী-ঠ্যাঙেছরি-বাঁধা দটাে লড়াইয়েমোরগের ঝটাপটি দেখচে, টপটপ মহয়ার ফলে ঝরে পড়চে ওদের মাথার, আশেপাশে সামনে দরে নীল শৈলমালা.. জীবনের সব্বশ্রেষ্ঠ আনন্দ-মহত্ত। এদের সৌন্দযাপ্রিয়তা ও আমোদপ্ৰিয়তা লক্ষ্য করবার বিষয় বটে। কি জানি হয়তো চক্ৰধরপরের নিকটবত্তীর্ণ অরণ্যে শঙ্গানপরের গিরিগােহার চিত্রাবলী এদের পািব্ব পরিষেরা একেছিল কোন প্রাগৈতিহাসিক যাগে! আমার সত্ৰী নারীসলভ বস্তুপ্রিয়তা প্রদর্শন করে বললেন-একখানা নকশা করা চাদব। কিনবো।-- আমি চাদর ক্লয়ের বিরদ্ধে বহন ব্যক্তি দেখালােম অবিশ্যি, কিন্তু কিছই খাটলো का । আবার আমরা পথে বেরই। এবার কি বেজায় ধলো শার হোল। সন্টীয়ারিংয়ের তলাকার কোন ফাঁক দিয়ে ফোয়ারা থেকে জল বেরবার মত ধলো ঢাকতে লাগলো। আর একটা বন্যগ্রাম ও পথের পাশে তাদের মতদের উদ্দেশে প্রোথিত প্রস্তররাজি। এইগলো যেখানেই দেখি, সেখানে প্রায়ই থাকে একটা প্রাচীন বৃটি বা মহীয়া গাছ। পাহাড়ের পাশে যদি হয় মনে কেমন এক অদ্ভুত ছন্নছাড়া ভাব নিয়ে আসে। এমনি এক সমাধি সস্থানের বর্ণনা করেছি। আমার লেখা “আরণ্যক’-এ। সে সস্থান গয়া জেলার প্রান্তে, দক্ষিণ-বিহারের শৈলমালার নিবিড়তম অভ্যন্তরে অবস্থিত।-- অথচ আজ সেই সব দশ্যের কথাই আমার মনে আবার নিয়ে আসে এই বন্যগ্রাম ও এদের সমাধি প্রস্তরের চৌরস সারি। তিনটি বনাগ্রাম পার হয়ে তবে চিন্টিমিটি। গ্রামগলির নাম ও ভৌগোলিক অবস্থান নিয়ে আমার সন্ত্রী একটি ছড়া তৈরী করলেন আগে হোল পেটাপেটি তারপর চিন্টিমিটি-- এর কবিত্ব প্রশংসনীয় না হোলেও, নামগলো মনে রাখার সবিধে হয়। যেমন মখস্থ করেছিলাম কোন ছেলেবেলা ষোলশ সাতাশ অব্দে জাহাঙগীর মািল आ७ाशन्म उछाद्ध6ख्5द्म दाक्षाश् ८श०— এখন কত উপকার দেয়! বেলা চলে যাচ্চে, এমন সময় উপরোক্ত ছড়ার প্রথম গ্রামটির মধ্যে গাড়ী ঢািকলো । এবার ধলো-ভরা রাস্তা ছেড়ে পাহাড়ের পথে উঠাঁচি, একটা পাহাড়ের ওপারেই পেটাপেটি গ্রাম। এখানে যদি বা বাড়ী করে বাস করবার লোভ সম্পবেরণ করা চলে, কিন্তু পরবত্তী তিনখানি গ্রামের অপব্ব প্রাকৃতিক দশ্য মানষেকে সভ্য জগতের কথা একেবারে ভুলিয়ে দেয়! আমি এই সময় মিঃ সিংহকে জিজ্ঞেস করলাম—আপনার চাকরি জীবনের প্রথম দিনের সেই অভিজ্ঞতাটার কথা বললেন না ? -চলন, চিন্টিমিটি বাংলোতে বসে চা খেতে খেতে আরাম করে শানবেন। সে Sa