পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-বনো হাতীর হাতে পড়েচেন এমন অবস্থায় ? —একবার পড়েছিলাম। এই সংকীর্ণ পথে এমন অন্ধকারে। -6वान् कि ? --মোটরে যাচ্চি, হাতী সামনে এসে দাঁড়ালো-আর নড়ে না। মোটর ফেরাবার জায়গা নেই। অগত্যা মোটর থামিয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম। হাতী পথের বাঁকে দাঁড়িয়ে শািড় নাড়তে লাগলো। তারপর অনেকক্ষণ পরে কেন যে চলে গেল তার কারণ কিছল। বলতে পারবো না। সমস্ত রাতও সেখানে দাঁড়িয়ে থাকতে পারতো। মিঃ সিংহ বললেন—এই সব পথে বিশ্ববাস নেই। পরের বাঁকেই হাতী দাঁড়িয়ে থাকতে পারে। বরকেলা পাহাড়ে হাতীর বড় উপদ্রব। আমরা পাহাড়ের পথে নামছিলাম। আশেপাশে ঘনীভূত অন্ধকার। নিজজন অরণ্যপথ-গাড়ীতে অন্ধকারের মধ্যে আমরা চার-পাঁচটি প্রাণী, কোনোদিকে লোকলৈয়ের চিহ্ন দেখা যায় না, দরে বা নিকটে একটা আলো কোথাও জীবলে না।--কেবল নৈশ আকাশে অগণন ঝকঝকে নক্ষত্রেরাজি, গাছের ডালে ডালে জোনাকীর ঝাঁক, গাড়ীর মধ্যে দ-একটা জৰলন্ত সিগারেটের ক্ষীণ দীপ্তি। গলপা যদি শনিতে হয় তবে এই সময়। আমি বললাম-চা আছে ফ্লাসেক ? মিঃ সিংহের আরদালি বললে—আছে হাজার। আমি প্রস্তাব করলাম-গাড়ি একটা ভাল জায়গা দেখে থামিয়ে চা খাওয়া এবং কিছদ্মক্ষণ বিশ্রাম করা যাক। এই সময়ে মিঃ সিংহ তাঁর প্রথম চাকরি জীবনের অভি— জ্ঞতা বর্ণনা করেন। গলপটা মলতুবী রয়েছে অনেকক্ষণ থেকে। আরও পনেরো মিনিট পরে বাঁদিকে একটা বড় শিলাখণড পাওয়া গেল, যেন সান বাঁধানো চাতাল। এর পাশে আমাদের গাড়ী থামানো হোল। বেশ আরামে বসে চা খাওয়া গেল পাথরের চাতালে বসে। পাশের খাদে যেন একরাশ নিবিড় অন্ধকার জমে। দ-একটা নৈশ পাখির ডাক বনের মধ্যে। মিঃ সিংহ বললেন - সে হোল ১৯২২ সালের কথা। সেবারে আমি প্রথম বন-বিভাগে ট্রেনিং-এ গেলাম। আন্ডার পেলাম, পোংসাতে গিয়ে বন-বিভাগের কম্পমচারীর কাছে কাজ শিখতে হবে। --পোেংসা কোথায় ? —যখনকার কথা বলছি, তখন আমিও জানতাম না। শািন্ধ এইটকু আমায় বলে দেওয়া হয়েছিল, বেঙ্গল নাগপাের রেলপথের মনোহরপর সেন্টশনে নেমে সেখানে যেতে হয়। -ट्रान्का उछ८०ा ? —সেইটাই আমার গলেপার বিষয়। এ গল্প প্রধানত রাস্তার গলপা। আজ এই অন্ধকার রাত্রে বনের পথে সে কথা বড় বেশি করে মনে হচ্ছে। শােনন তারপর। মনোহরপর সেন্টশনে নেমে ওখানকার বন-বিভাগের বাংলোতে লোকজনের সঙ্গে দেখা করলাম। তাদেরই মাখে শািনলাম আমার গন্তব্যস্থান। এখান থেকে ১৫ ॥১৬ মাইল দর। বেলা তিনটা। আমার সঙ্গে সাইকেল ছিল, দেশ থেকে এক পাচক ঠাকুরও এনেছিলাম। আমি ভাবলাম, এ আর এমন বেশি দর কি! সাইকেলে চট করে চলে যাওয়া যাবে। কিন্তু পরে ভেবে দেখলাম বাধা হোেল পাচক ঠাকুর। সে পথ চেনে না। একা এ পথে যেতে পারবে না। অগত্যা আমরা কুলির মাথায় মোট চাপিয়ে RA