পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

"ঠিক বলতে পারি ওরাও খাব খশী হবেন আমাকে পেয়ে৷ পোংসা থেকে কিছদরে এসে আবার আমরা ঘন বনের পথে ঢকে পড়লাম, বাঙালী বাবদের বাসা ও সাহেবদের বাংলো অনেক পেছনে পড়ে রইল। মিঃ সিংহের সঙ্গে পোংসা থেকে বার হয়ে কিছ দরে বনপ্রান্তে এসেচি. একটা লোককে খাটিয়াতে শইয়ে চারজন কুলি কাঁধে খাটিয়াসদ্ধ মানষটাকে ঝলিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। লোকটা বালিশে মাথা দিয়ে খাটিয়াতে শয়ে পড়ে আছে। অচৈতন্যভাবে। আমি জিজ্ঞেস করলাম। কুলিব্দের-কে এ বাবা ? – বি. টি. টি. কোম্পানীর লোক। · - शु८८छ् ? বোমার । -- কোথেকে অসচে 2 - - জঙ্গলের মধ্যে কাজ করছিল। --কোথায় নিয়ে যাচ্চ ? পোংসা। সেখান থেকে মনোহরপর হাসপাতালে। - বাঙালী ? হাঁ বাবাজী। * 8का ? --চক্কটি বাবা। বড় ইচ্ছে হোল এই রোগগ্ৰস্ত প্রবাসী বাঙালী ভদ্রলোককে নিজে একবার দেখি, দটাে কথা ওঁর সঙ্গে বলি। কিন্তু তিনি জবারে বেহােদশ, আমারও সময় নেই। মিঃ সিংহ বললেন ভীষণ ম্যালেরিয়া মশাই, সারান্ডার ভেতরে। --লোক থাকে না ? --হো যারা, তারা ভোগে না, ভোগে বিদেশীরা। সারাণডা ফরেসেট পক্ষপাতিত্ব আছে বেশ ! —শােধ ম্যালেরিয়া ? --ম্যালেরিয়া আর ব্ল্যাকওয়াটার ফিভার। খাটিয়াসদ্ধ রোগী পোংসার দিকে বাহিত হয়ে চলে গেল। আমরা আরও কিছদর এসে উসরিয়া নামে একটা পাব্বিত্য ঝর্ণা বা ক্ষদ্র নদী পার হলাম। মিঃ সিংহ বললেন – অনেকদিন আগে গ্রেগরি বলে একজন এ্যাংলো ইন্ডিয়ান বাস করতে উসরিয়া ঝর্ণার ধারে একটা বাংলোতে—আমাকে মাঝে মাঝে চা খাওয়ার নিমন্ত্রণ করতো তার বাংলোতে। চলন সে জায়গাটি দেখে আসি। ১৯২৫ সালে গ্রেগরি ওখানে থাকতো। উসরিয়া পাহাড়ী নদী। খাব শব্দ করে বয়ে যাচ্ছে বনের মধ্যে দিয়ে-দিদিকে পাষাণময় উচ্চ তীর। শিলাতটে প্রতিহত হচ্চে উসরিয়া ঝর্ণার নিম্পমাল জলধারা। অপরাহের ছায়া পড়ে এসেচে, হলদে রোদ উঠেচে গগনচম্পবী তরশ্রেণীর শীষ দেশে। কতক্ষণ নদীর তীরে শিলাসনে বসে রইলাম। উসরিয়ার কুলকুলা শব্দ যেন এই বনশ্রীর অনন্ত সঙ্গীত । মিঃ সিংহ দেখে এসে বললেন-গ্রেগরির বাংলোর চিহ্ন নেই, সেখানে ঘোর বন । -- গ্রেগরি কি করতো। এখানে ? --কোম্পানীর করাতের কারখানা ছিল উসরিয়ার পাড়ে। সাহেব ছিল কার-2[[SMS AWGNSFS l Ծ8