পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সবোধ বললে—খব বিপদজনক ! কিন্তু এখানে গাড়ী রাখাটা আরও বিপডজনক KPoNP)-۔۔۔ --বাঘের ভয় ! শনে পরে।শাবাব বাস্ত হয়ে উঠে বললেন-- তবে চলন চলন, যাওয়াই যাক - আমি বললাম।--হেসডি ডাকবাংলো আর কতদার ? - মিঃ সিংহ বললেন-বেশিদর বোধ হয় না।--কুয়াশার মধ্যে কিছু যে বকাতেই পারাচি নে— আমি বললাম--তা হোক মশাই, রােখন। এখানে গাড়ী।। ঘনমন্ত অবস্থায় মোটর চালিয়ে যাওয়ার চেয়ে - সবোধ ও পরেশবাব মহা আপত্তি তুললে। এখানে গাড়ী রাখা যায় না। এই শব্যাপদসংকুল অরণ্যানীর মধ্যে, এগিয়ে যাওয়াই ভালো। আরও মিনিট পনেরো কুয়াশার মধ্যে দিয়ে চালানোর পরে বাঁদিকে বনের মধ্যে হেসডি ডাকবাংলো চোখে পড়লো। আমাদের গাড়ী ডাকবাংলোর হাতায় ঢাকে দাঁড়িয়ে পড়বার সঙ্গে সঙ্গে আমি পেছনের সিটে শহয়ে আধামিনিটের মধ্যেই ঘামিয়ে পড়লাম। ঘাম যখন ভেঙেচে, তখন শায়ে শয়েই দেখচি সামনের পাহাড়ে রাঙা রোদ, গাছের মাথায় রাঙা রোদ । এদিক ওদিক চেয়ে দেখি গাড়ীর মধ্যে কেউ নেই। চোেখ মছে উঠে দেখি পরেশবাব ডাকবাংলোর বারান্দায় পায়চারি করচেন। বললাম। - সপ্রভাত, এরা কোথায় : – -সব ঘামাচ্চে। -- ওঠান সব, বেলা হয়েচে অনেক। একটি পরে আমরা চায়ের সরঞ্জাম নিয়ে চায়ের টৈবিলে ভিড় করেচি, কিন্তু সেই পরাতন সমস্যা, দধি নেই। ডাকবাংলোর চৌকিদারকে বলা গেল। তিনিব-গম্পিব করা হোল—দােন্ধ নেই। লেব আছে, তাই দিয়ে করা যেতে পারে না চা ? মিঃ সিংহ বললেন— চমৎকার হবে। তাই হোক। ইটালিতে দেখোঁচি লেবাের চাকলা কেটে চায়ে ডবিয়ে চামচে দিয়ে চেপে চেপে খায়। সে বেশ লাগে। খাবারদাবারের মধ্যে দেখা গেল ছোলা- রাশীকৃত ছোলা ছাড়া আর কিছু খাবার নেই ; অত ছোলা কি হবে ? কে খাবে অতি ছোলা ? সবোধ বললে-অত ছোলা খাবে কে ? আমি বললাম।-- তাই তো! কি হবে অতি ছোলা ? মিঃ সিংহ বললেন--না হয়। কিছ থাকবে এখন। হিডনি, ফলসী গভীর বনের মধ্যে, সেখানে গিয়ে আমরা খাবো। কিন্তু মিনিট পনেরোর মধ্যে দেখা গেল একদানা ছোলাও অবশিস্ট নেই, এমন কি টেবিল থেকে গড়িয়ে যেসব ছোলা মেজেতে পড়ে গিয়েছিল- শেষে দেখা গেল সবাই তাও কুড়িয়ে কুড়িয়ে খাচ্ছি। সবোধ বললে—আরও কিছ হোলে হোত দেখা যাচ্ছে। আমি বললাম।---আমারও তাই মনে হচ্ছে বটে। আরও এক মাইল এগিয়ে গেলাম মোটরে । তারপর মোটর রেখে আমরা রাস্তার ডানদিকে একটা পাহাডের গা বেয়ে উঠতে লােগলাম। চারদিকে গভীর বন উচ শৈলমালা, একটা পাহাড়ী নদী-পাহাড়ী রাস্তার নীচে দিয়ে বয়ে চলেচে। সামনের দিকে বন গভীরতম। খানিকদরে গিয়ে আমরা একটি নীচ উপত্যকার মধ্যে নােমলাম, আবার সেই পাহাড়ী নদীটিা উপলবিছানো পথে পার হলাম। এইবার দীর থেকে জলপতনের S6