পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাপে পাহাড় দান করবার মত। তবে আজকাল ও দেশে ওর নাম তিনঝৰ্ণাই প্ৰসিদ্ধ হয়ে গিয়েচে । বন-বিভাগের একজন কম্পমচারী, আমার বিশেষ বন্ধ, বলেচেন বনবিভাগের ম্যাপ ও নক্সায় আমাদের দেওয়া এই নামটি তিনি ব্যবহার করেন। সেজন্য আমরা তাঁর নিকট কৃতজ্ঞ। আতি চমৎকার বনভূমি। বসন্তের প্রারম্পেভ গোলগোলি ফল ফটেছে বনে বনে । সিংডুমের অরণ্যভূমির এ সন্দের বনফলের প্রশংসা না করে থাকা যায় না। বসন্তের প্রথমেই এই ফল পাহাড়ী বনে ফটতে আরম্ভ করে-দেখতে অনেকটা সােয্যমখী ফলের মত। তিনটি কারণে এ ফল অতি সন্দর দেখায়। প্রথম, নির্ভপত্র প্রকান্ড গাছে এ ফল ফোটে ; দ্বিতীয়, সাদা কোয়াৎজা পাথরের অথবা কালো কোয়াটক্সাইট পাথরের পটভূমিতে, সবজি অরণ্যের মধ্যে হঠাৎ ঠেলে ওঠে, এখানে ওখানে সাদা ডালপালাওয়ালা নির্ভপত্র গাছ ; তৃতীয়, ফলের রং ও গড়ন অতি সন্দর। পাকারের বিখ্যাত বই হিমালয়ান জানালের মধ্যে এই ফলের উল্লেখ আছে ও ছবি অাঁকা আছে । তিন বললে--দাদা, চলন আমরা পাহাড়ে ঘরে যাই। পাহাড় ঘরে যেতে গিয়ে এক জায়গায় দেখি গোলগোলি গাছের মেলা। তার নীচেই ধাতুপ ফলের বন রাঙা হয়ে আসচে। নব মক্কুলের আবিভাবে। এই আর একটি চমৎকার ফল—মধ চষে খাওয়া যায় বলে এ ফল ছেলেপিলের বড় প্রিয়, আরও প্রিয়তর বন্য ভালকের। ভালকের ব্যাপারও অনেকরকম শোনা গিয়েছে, এসব বনে। আজ থেকে বছরখানেক আগে ঘাটশিলার নিকটবত্তী এদেলবেড়া বনে একটি কাঠারে লোককে ভালকে জখম করে। লোকটা বনের মধ্যে কাঠ কাটছিল। হঠাৎ একটা ভালকৈ গাছের ডাল থেকে নেমে ওর দিকে তেড়ে আসে। ভালকৈ কেন গাছে উঠেছিল জানি না, বোধ হয়। সেই গাছে মৌচাক ছিল। লোকটা হাতের কুড়াল নিয়ে ভালকের সঙ্গে যােঝতে চেন্টা করেও কৃতকাৰ্য্য হয় নি। ভালকাটা ওকে জমিতে শইয়ে ফেলে ওর বকে নাকি চড়ে বসে। ওর মািখ ও নাক থাবার আঘাতে রাস্তাত্ত করে দেয় । আর একটা মজার গলপ শনি দািবলবেড়া ফরেসেন্ট। স্থানীয় হাসপাতালে গিয়ে লোকটা সেরে গিয়েছিল বলেই শানেছিলাম। আর একটা মজার গলপ শনি দািবলবেড়া ফরেসেন্ট। গত ১৯৪৩ সালের মাৰ্চ মাসে আমি দািবলবেড়া পাহাড় ও বনাঞ্চলে কয়েকদিন যাপন করি মিঃ সিংহর সঙ্গে। স্থানটির প্রাকৃতিক দশ্য আমাকে মািন্ধ করে। বনাঞ্চল ভালবাসি বলেই ভগবান নানা সংযোগ ও সবিধে আমায় ঘটিয়ে দিয়েছেন অতি অদ্ভুত সব beauty spot দেখবার ও বেড়াবার। এ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ না করলে আমার বনভ্রমণের কাহিনী অসম্পপণ্য থেকে যাবে বলেই মনে করি। কিন্তু এ ভ্ৰমণকাহিনীটি বিস্তৃতভাবে এখন বলচি নে, শািন্ধ ভালকের গলপটি আমার কাছে বড় মজাদার মনে হয়েছিল বলেই এখানে উল্লেখ করি। দািবলবেড়া অরণ্যের মাঝখানে একটা উপত্যকা, দদিকে দই পাহাড়-শ্রেণীর মধ্যে। এই পাহাড়-শ্রেণীর ওপরে বেশ জঙ্গল। তবে তত ঘন নয়। বেশির ভাগ শালি ও কেন্দগাছের বন, তবে একটা পাহাড়ে অজস্র বন্যাশেফালি-বক্ষ। শৱধই শেফালি নয়, শেফালির জঙ্গলও বলা যেতে পারে। এর নাম চরাই পাহাড়, আর ওপরের পাহাড়ের নাম আটকুশি রেনজ । আটক্লোশ দীঘ বলেই বোধ হয়। এর এরকম নাম, তবে আমি GNQ