পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

goCS এদিকে আরণ্য-প্রকৃতির রােপ সম্পর্শে বিভিন্ন। এক এক গাছের গাড়ির গায়ে এত ধরনের পরগাছার জঙ্গল আর কোথাও কখনও দেখিনি। অনেক পরাগাছে অদ্ভুত রঙিন ফল ফটে আছে। মাঝে মাঝে পাম্ববতঃ ঝরনা, বড় বড় ট্ৰিফান, এ বনের চেহারা আমার কাছে সম্পৰ্ণে অপরিচিত ! এ ধরনের বন বাংলাদেশের কুত্ৰাপি দেখিনি, কিন্তু বহদিন পরে আসাম অঞ্চলে বেড়াতে গিন্স শিলং থেকে সিলেট যাওয়ার মোটর রোডের দাধারে, বিশেষ করে ডাউকি প্রভৃতি নিম্পন্ন অঞ্চলে, অবিকল অরণ্যের এই প্রকৃতি আমার চোখে পড়েচে। বাংলাদেশের পরিচিত কোনো আগাছা, যেমন শেওড়া, ভাঁটা, কাল-কাসন্দে প্রভৃতি এদিকে একেবারেই নেই। এদিকে উদ্ভিডজসংস্থান সম্পপণ্য সর্বতন্ত্র, তাতেই বোধ হয়। যা দেখি তাই যেন ছবির মত মনে জাগায় অপব্ব সৌন্দয্যের অনভূতি। সব্বত্র অসংখ্যা সবজি বনটিয়ার ঝাঁক। বড় বড় বেত-ঝোেপ। কাঁটাবনের নিবিড় জঙ্গল ाZद: घाद ! এই পথে প্রথম রবারের বাগান দেখি। আগে রবারের বাগান বলে বঝতে পারিনি, বড় বড় গাছ, অনেকটা কাঁটাল পাতার মতো পাতা। গাছের গায়ে নম্পািবর মারা-কোনো কোনো বাগান কাঁটাতার দিয়ে ঘেরা, কোনো কোনো বাগান বেন্টনীশনা ও অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে আছে- শানেছিলাম অনেক বাগান পরিত্যন্ত অবস্থায় পড়ে আছে। এক জায়গায় ডাকপিয়াদার থাকবার জন্যে বনের মধ্যে ছোট খড়ের ঘর। আমার সঙ্গে যে পিয়াদা এসেছিল, সে এর বেশি আর যাবে না। রাত্রে আমরা সেই খড়ের ঘরেই রইলাম, সকালে অন্যদিকের পিওন এসে এর কাছ থেকে ডাকব্যাগ নিয়ে যাবে, এ পিয়াদা ওর ব্যাগ নিয়ে চলে আসবে সিংজতে। আমরা যখন সে ঘরে পৌছলাম, তখন সন্ধ্যা হয়ে এসেচে। ডাকপিয়াদার ঘরে যাপিত সেই রাত্রিটি আমার জীবনে মনে করে রাখবার মতো। দধারে আরাকান ইয়োমার উন্নতকায় শাখা-প্ৰশাখা, সারা পৰ্ব্বত-সান নিবিড় অরণ্যময়। অরণ্যের সান্ধ্য সন্তব্ধতা ভঙ্গ করচে পাৰবত্য ঝরনার কুলকুল শব্দ, অন্ধকার বনের দিক থেকে কত কি পাখীর ডাক আসচে ; যদিও স্থানটির মাইলখানেকের মধ্যে খব বড় একটা রবারের বাগান, তবও সন্ধ্যায় যেন মনে হচ্ছিল পথিবীর প্রান্তসীমায় এসে পড়েচি দিজনে, জনমানষে নেই বঝি এর কোনো দিকে। বেশি রাত্রে ডাকপিয়াদা এসে পৌছলো। নবাগত ডাকপিয়াদার নাম কাচিন, একটা একটি ইংরিজি জানে ; লোকটির চেহারা এমন ককাশ ও রক্ষ যে পথে-ঘাটে দেখলে ডাকাত বলে ভুল হবার কথা। তার সঙ্গে সারাদিন কাটাতে হবে বলে প্রথমটা ইতস্তত করেছিলাম, শেষ পয্যন্ত সকালবেলা তার সঙ্গেই নতুন পথে পা দিলাম। এবার পথ নিবিড় অরণ্যময়। আমরা ক্রমশ এক মহারণ্যে প্রবেশ করলাম। দাঁধার বড় বড় বনস্পতিতে সমাচ্ছন্ন। মানষে নেই, জন নেই, গাহ নেই, পল্লী নেই, মাঠ নেই, একটকু ফাঁকা স্থান নেই। কেবল নিবিড় জঙ্গল, মাঝখান দিয়ে আকিয়াব থেকে প্রোমে যাবার রাস্তা একেবেকে চলেচে । ছোটবড় নানা রকমের গাছ, শাখায় শাখায় জড়াজড়ি করে যেন এ ওর গায়ে এলোমেলো ভাবে পড়ে। বড় গাছগলির মাথা যেন আকাশ ছািনয়ে আছে-এক একটা SK) क्रिकार्गद्वार्ताP S-अख्यािधिक-०