পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হয়তো বলবেন। এর দশ্য surrey downs-এর মত আয়ল্যান্ডের পল্লী অঞ্চলের মত। গোহাটি থেকে শিলং রোডে যা দেখে এসেছি, তা থেকে এর দশ্য সম্পপণ্য পথক। বড় বড় চানাপাথরের শিলাখন্ড সব্বত্র ছড়ানো—উচ-নীচ, শৈলমালা সব্বত্র। যেদিকে চোখ যায়-কত ধরণের বিচিত্র বন্যপািলপ মাঠের মধ্যে। শিলাস্তাপের ধারে ধারে দরে দ-চারটে সঙ্গীহারা গাছ হয়তো ধরে ধী প্রান্তরের মধ্যে দাঁড়িয়ে। শিলং-এর সেই লাল ফলটা composite, বন্যমল্লিকা জাতীয় একরকম ফল। করবীফলের মত কি ফল-আরও কত কি ধরণের ফল। চেরাপঞ্জির থেকে মশামাই-এর পথে যে জগুগল আছে দেখায় ঠিক যেন লিচগাছের বাগানের মত।--অথচ তাদের ডালে ডালে পরগাছা ও অকি ডে ভরা—তলায় নিবিড় undergrowth—অদভুত ধরণের বন। এক এক জায়গায় চনা পাথরের শৈলসান ও নদীখাতের বিশাল ঢাল সম্পর্ণেরপে বন্যপক্ষেপ ভরা-—কত ধরণের যে ফল, তাই গানে সংখ্যা করা যায় না। পাইনবন। এদিকে একেবারেই নেই। চেরা বাজারে গাড়িতে বসে লিখচি-সামনে নদীর বিরাট gorgeটা মেঘ ও কুয়াসায় ভরে গিয়েচে, তার ধারে নিবিড় বন। গাড়ি ছাড়ল—এত জোরেও গাড়ি চালায় খাসিয়া ড্রাইভারগলো! উচ্চ-নীচ শকিনো খটখাটে রাস্তা দিয়ে তীরবেগে গাড়ি ছটাচে, একদিকে উত্তজবল পৰ্ব্ববতচড়া, বনফলে ভরা শৈলসান, অন্যদিকে নদীর বিরাট খাত, কঁয়াসা ও মেঘ আটকে রয়েচে । তাতে আবার রামধন্যর সন্টি করেচে। এক এক জায়গায় ঘন বন, যেন লিচ বাগানের মত দেখতে। অথচ মধ্যে ঘন অন্ধকার, শাখাপত্রে নিবিড়, ডালে ডালে অকিড, নীচে undergrowthওয়ালা বন—এ অঞ্চলের কী একটা গাছও চিনিনো! আসামের বন সম্পপণ্য সর্বতন্ত্র, না ফান, না। Compositae, না প্রাইমলা, না মল্লিকা, করবীর মত ফলগলৈা-কিছই কি বাংলাদেশের মত নয় ? উনবিংশ মাইল থেকে বড় নদীখাতটা শার হোল, প্রায় ৮, ১০ মাইল মোটরে রোডের সমান্তরাল চলেচে, তবে কুয়াসায় আবাত বলে ভাল দেখা গেল না। অপর পারের आन्.6ा(* îrîKIV Temperate forest, RFFFÉ TENTKI (SIGGIT. থােজা আর প্রাইমলা অজস্র। ধার অভাবে শিলং ভাল লাগছিল না। --তা পেলাম আজ চেরার পথে। এত বেশী পরিমাণে পেলাম, যে আর আমার কোন অভিযোগ নেই শিলং-এর বিরদ্ধে। এ এক সর্বপ্নলোক আবিস্কার করেছি। চেরার পথে, যে সর্বপ্নলোক পাথরে, বনে, ফলে, মেঘে, ধম ধম নিজজনতায়, বিরাটত্বে, অভিনবত্বে বিচিত্র। যেখানে আজ মশামাই গ্রামে চেরা মালভূমির প্রান্তে শিলাখন্ডে বসে লিখছিলাম, সে সৌন্দয্যের তুলনা আছে ? ওই তো আমার চিরকালের সবপ্নের সার্থকতা। শিলং ফিরে দেখি সপ্রভা নেই মোটর সেন্টশনে। খানিকক্ষণ অপেক্ষা করলাম, তারপর লাবান চলে গেলাম। একটা কথা লিখতে ভুলেচি। বড়বাজারের কাছে যখন বাস থেমেচে, দটি সাহেবের ছেলে এসে মোটরে উঠল, কি চমৎকার চেহারা দটির । বড়টির সঙ্গে আলাপ হোল, বেশ লাজক, কোন ইংরেজ বালকদের মত উগ্র নয়। বললে তার মা খাসিয়া মেয়ে। মোটর সেন্টশনে সপ্রভাদের জন্যে অপেক্ষা করে। সলাবানে গেলাম। ওরা মোটর যোগাড় করতে পারেনি বলে আসতে পারেনি। সেখানে চা খেয়ে বীণা ও সপ্রভার সঙ্গে অনেকক্ষণ গলপ করলাম। বীণা একটা ফলের তোড়া দিলে, চমৎকার সাদা গোলাপ ফলের তোড়াটি। কাল যাওয়ার কথাবাৰ্ত্তা হোল, সাড়ে আটটার সময় গাড়ি আসবে আমার হোটেলে। একখানা। ট্যাক্সি পাওয়া গিয়েচে, তিনজনে যাব আমরা। ও বল্লেী, কমলা নেব অনেক করে সঙ্গে, গাড়িতে বড় মাথা ঘোরে । বলিট নামল সামান্য। আমি হোটেলে ফিরলাম। রাত সাড়ে সাতটা। bዖ