পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Zone-এ বিভক্ত উদ্ভিজজ-সংস্থানের বৈজ্ঞানিক রােপ। কি বিপদজনক সংকীর্ণ রাস্তা পাহাড়ের উপর; কি রােপ সারাপথের। নংটন থেকে ডাওকি পৰ্যন্ত সে কি নিবিড় ট্রপিক্যাল অরণ্যানী গভীর gorge-এর তলদেশ কালো অন্ধকারের মধ্যে, কত জংলী ফল, Cycawers, ফান, আর ফল, ফল, ফল-পাহাড়ের সান দেশ আলো করে রেখেছে সেই লাল ফলাটাতে-সপ্রভা বলেছিল যেটা সিলটের সমতলভূমিতেও দেখা যায়-দশ-বারোটা বিভিন্ন শ্রেণীর ফল গনেচি, বড় বড় লতা, পরগাছা, অনেক নীচে ক্ষদ্ৰ পাৰ্ব্বত্য নদী বয়ে চলেচে শিলাখন্ডের ওপর দিয়ে, সেই ট্ৰিফান-শোভিত নিবিড় বনের মধ্যে। সত্যিকার ট্রপিক্যাল প্রকৃতির অরণ্যানী এই প্রথম দেখলাম ডাওকির পথে । ডাওকিতে যখন মোটর পৌঁছল তখন অসাতদিগন্তের আভায় পািব্বত ও অরণ্যানীর শীষ দেশ রাঙা হয়ে উঠে চে-নিস্তবধ চারিদিক । মধ্যে নীচ উপতাকায় ঘন ছায়া নেমেচে, গাছপালার সগন্ধ বের চে, যেমন হেমন্তের অপরাহে আমাদের দেশে বেঝোয়। সন্দর জায়গাটা দ-একটা ডাকবাংলা আছে টিলার মাথায়। সম্পভবতঃ অস্বাস্থ্যকর স্থান, পাহাড়ের নিম্পনসানতে সাধারণতঃ যেমন হয়ে থাকে। এখানে চা খেয়ে নিলাম, তারপরে আবার মোটর ছােটল - শৈলমালা চলেচে মোটর রোডের সমান্তরাল ভাবে ব্যদিকে, অনেকগলো বাণা নেমে আসচে পাহাড় থেকে নিম্পেন বনানীর মাথার ওপর, দাঁধারে ছোটখাটো জগুগল আর জলাভূমি, বড় বড় নলখাগড়ার বন। মোটর ছাঁটেচে তীরবেগে, হা-হা হাওয়া বাধাঁচে বকে, তৃতীয়ার একফালি চাঁদ উঠেচে সামনের আকাশে। সন্ধ্যায় অন্ধকারেই জয়ন্তীপাের বলে একটা গ্রামের ডাকঘর থেকে ডাক তুলে নেওয়ার জন্যে গাড়ি সেখানে দাঁড়াল। সাড়ে সাতটায় সিলেট টাউনে এল। টাউনটা আমার ভাল লাগল না। Reed huts আর টিনের ঘর, সিনেমা-- বেতের ও বাঁশের আসবাব বিক্ৰী হচ্ছে দোকানে। সময় খাব অলপই ছিল, সারমা নদীতে খেয়া পার হয়ে সেন্টশনে এসে গাড়িতে চড়লাম। কি ভিড় গাড়িতে, আজই সব আপিস-আদালত বন্ধ হয়েচ, সব লোক ছাঁটেচে বাডি, পা রাখবার জায়গা নেই । কলাউড়াতে আসবার পর কুলাউড়া আর শ্ৰীমতগলের মধ্যে অনেক ছোট ছোট পাহাড় আর ঘন জঙ্গল, চা-বাগানও নীচে আছে, কিন্তু অন্ধকারে কোনটা চা বাগান আর কোনটা জঙ্গল এ বোঝা বড়ই শক্ত । কুমিল্লাতে একদল ছেলে উঠল, তারা ময়নামতী সাভে স্কুলের ছাত্র, ছটিতে বাড়ি চলেচে। ঘাম পেল না। গাড়িতে, যদিও জায়গা মিথেন্ট ছিল। চাঁদপরে সন্টীমারে পানীয় জলের ট্যাঙ্কের ওপর বসে বোলা একটা পমাৰত কাটালাম। ডেকে পা রাখবার জায়গা নেই, সব্বত্ৰ লোকে বিছানা পেতে শায়ে বসে আছে। পদ্মাবক্ষে কাটল প্রায় এগারো ঘণ্টা। ভাগ্যকলে কিছর খাবার কিনে খাই । গোয়ালন্দ থামবার আগে সে কি ভীষণ ব্যটি আর বড় ! তাতেই সৰ্টীমাব দেরি করে ফেললে আসতে। চাটগাঁ মেলে চড়ে বসে ভাবলাম এ তো বাড়ি এসেচি, আমাদের রাণাঘাট দিয়ে যে ট্রেন চলে সে তো বাড়িরই সামিল। Duuu BB DB BDBD SBB DuuB BBSBD DBDBDS DBD DDDD LLLLLLLGL LLLLLS আমার কাছে এই ভ্ৰমণই খাব দীঘ বটে। তা ছাড়া সম্প্রভাকে কতদিন দেখিনি, ওর আদর-যত্নে এবারকার ভ্রমণের সমিতি মধর হয়ে থাকবে চিরকাল। ওখান থেকে ফিরে নলহাটি এসেচি কাল রাত্রে। রেল কোম্পানি জায়গাটা ভাল ৰলে যতই বিজ্ঞাপন দিক, আসলে জায়গাটা ভাল নয়। প্রাকৃতিক সৌন্দয্যের দিক থেকে তো কিছই না-শােধ ধানের ক্ষেত চারিধারে, একটা ডাঙা আছে, এখানকার SS मिनविर्मान-d/छै९कम-२