পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মধ্যে দাঁড়িয়ে অনেকক্ষণ আমার সঙ্গে আলাপ করলে বগলীবাবর গানের বিষয়েt সপ্রভার পত্র দেখতে চাইলে, তা ওকে তো না দেখিয়ে পার পাবার জো নেই। বল্লেী, আবার কবে আসবেন ? বল্লম, সেই বড়দিনের সময়। বল্লে, এসে বড় খারাপ লাগছিল। এ ক'দিন, আজ ভাগ্যিস আপনারা এলেন! রাত নটার গাড়ি গেলে আমরা রওনা হলাম। খকু রোয়াকে দাঁড়িয়ে ছিল। বল্লে -গড় বাই। পাশপাতিবাবা বকুলতলায় দাঁড় করিয়ে ওর একটা ফটাে তুলেছিলেন, আর একটা কোন ঝোপের কাছে দাঁড় করিয়ে। পথে জাহ্নবীর বাসায় খোকাকে নামিয়ে দিয়ে আমরা ওপারে গেলাম তেল কিনতে। বারাসতের কাছাকাছি এসে গাড়ির টায়ার আবার গেল। ঘণ্টাখানেক অপেক্ষা করবার পরে একখানা লরি পেয়ে তাতে করে কলকাতা পৌঁছলাম। এ বেড়ানো মনে থাকবে বহদিন। চন্দননগরে একটা সভায় আমায় সভাপতিত্ব করতে হবে বলে গিয়েছিলেন, কিন্তু শিশিরকুমার ইনস্টিটিউটের আজ বার্ষিক উৎসব। পাশপাতিবাব বিশেষ করে। বলে গিয়েছিলেন। দােপারে। কিন্তু বাধ্য হয়ে চলে যেতে হল চন্দননগরেই। সরেন মৈত্র, সরেন গোস্বামী, বিজয়লাল চাটিয্যে, আমি সকলে বেলা তিনটের সময় গিয়ে নািতগোপালের পস্তকাগারে উপস্থিত হলাম। ওরা লাইব্রেরীতে বসে কথাবাত্তা বলছিল- আমি পেছন দিকের নিজজন ছাদের আলসের ধারে দাঁড়িয়ে শীতের অপরাহের হলদে রোদ-মাখানো রাধালতাফলের ঝোপ ও বাঁশগাছের দিকে চেয়ে রইলাম। কেবলই মনে হচ্ছে সপ্রভা আর খকু আজ এই অপরাহের কি করাচে। এক একবার আমাদের গাঁয়ের বকুলতলাটি কলপনা করবার চেন্টা করলাম, খকু এখন পড়ন্ত বেলায় ছায়ায় তাদের শিউলিতলায় দাঁড়িয়ে আছে, কিংবা পাঁচীর সঙ্গে গলপ করতে এসেচে। এ বাড়ি। সপ্রভার আজ ছটি, হয়তো পাইন মাউণ্ট স্কুলের পাশের রাস্তা দিয়ে বেড়াতে বেরিয়োচে। ওর রােমালখানা সঙ্গে করেই নিয়ে গিয়েছিলাম। বড় ময়লা হয়ে গেছে। ওদের দািজনের কথা ভাবছি, এমন সময় সরেনবাব ডাক দিলেন লাইব্রেরীতে ব্রাউনিং শোনাবার জন্যে। সপ্রভা এবার ব্রাউনিংয়ের ‘Rudel to the Prince of Tripoli'r Sir.4|tf 350affegori ffraïbent's i 37.Garikar, \ST31 SNrystelG< অন্যবাদ করেচেন—আমার দটিই ভাল লাগল-তবে সপ্রভার অন্যবাদ খাব literal না। হলেও মিষ্টি বেশী। সপ্রভা যে ছন্দটাকে অবলম্বন করেচে, তার ধবনি ও লয়ের অবকাশ সরেনবাবরে অবলম্বিত ছন্দের চেয়ে বেশী। ব্রাউনিং পড়া শেষ হয়ে গেলে আমাদের ফটো নেওয়া গেল। মনে পড়ল গোপীর সঙ্গে কুড়ি বছর আগে একবার এসেছিলাম চন্দননগরে তারপর আর কখনও আসিনি। বিয়ে করব বলে মেয়ে দেখতে এসেছিলাম, তখন আমি কলেজে পড়ি, ১৮ বছর বয়স। অবিশ্যি সে মেয়েটির সঙ্গে বিয়ে হয়নি। মনে আছে, মেয়েটি ছিল খাব ছোট, বারো বছর বয়স, অত ছোট মেয়ে আমি পছন্দ করিনি। মেয়েটি বেশ ফিসা, একহারা চেহারা, তাও আজও মনে আছে। এখন গিন্নীবাশ্লষী হয়ে নিশ্চয়ই কোথাও ঘরসংসার করচে-যদি বেচে থাকে। বসিয়ে আমি আর বিজয়লাল চলে এলাম। হাওড়া থেকে বাসে দেশবন্ধ পাকে এলাম। সেখানে শিশিরকুমার ইনস্টিটিউটের থিয়েটার হচ্চে পাক সঙ্কুলের প্রাঙ্গণে।। নীরদবাব, বৌঠাকরণ, পশপতিবাব সবাই আছেন। জাস্টিস বারিক মিত্রের সঙ্গে পরিচয় হল। SG