পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সেদিন রাজপরে গিয়েছিলাম সন্ধ্যার কিছ আগে। ঢাকুরিয়া, কসবা প্রভৃতি পথানে রেললাইনের ধারে ছোট ছোট গহস্থ বাড়ি। সন্ধ্যার চাপা আলো পড়ে কেমন একটা শ্ৰী হয়েচে, যেন কত পঞ্জীভূত শান্তি ও রহস্য, গহপথালির কত স্নেহ ভালবাসা এখানে আশ্রয় নিয়ে আছে, নারীর মাখের মঙ্গলশঙ্খের ধবনিতে, আর হাতের সন্ধ্যাপ্রদীপের আলোয় সে শান্তি ও মাধ্যায্যের নিত্য আরতি চলচে। যেখানেই একটা মেয়ে এদো-পড়া 'পকূরের ঘাটে বসে এই সন্ধ্যাবেলা বাসন মাজচে, সেখানেই তাকে ঘিরে যেন চারিপাশে গভীর রহ্স্য। মেয়েরা না থাকলে জগৎটা কি মরভূমিই হত उलाछे लादि । ' রাজপরে পৌছে গলপ করলাম তেতুলদের বাড়ি বসে অনেকক্ষণ। ফলি এল, তেতুিলের মা বলছিলেন তাঁকে বড়দিনের ছটিতে হরিদাবার নিতে যেতে। সেদিন কত রাত পয্যন্ত ভ্ৰমণ সম্পবন্ধে পরামর্শ হল--কোথা দিয়ে যাওয়া যাবে, কোথায় নাম যাবে, কি কি সঙ্গে নেওয়া হবে-এই সব কথা। কিন্তু আমি দেখলাম গহস্থালিতে যে খাব শান্তি আছে, যতটা মাির থেকে ভাবি, তা ঠিক নেই। এ সব বাড়িতে তো ছেলেমেয়েদের সব্বদা কান্নাকাটি লেগেই আছেযখন ছোট ছেলেমেয়ে চীৎকার করে কাঁদতে শার করে, তখন প্রাণ অতিক্ঠ করে তোলে। আর এ করছে। ওর সঙ্গে ঝগড়া, ও করছে এর সঙ্গে ঝগড়া। তেতুিল তো আপিস থেকে ফিরে মহা ঝগড়া বাধিয়ে দিলে—তার বৌকে সবাই কেন একলা ওঘরে ফেলে রেখেচে। এ রকম শােধ এদের বাড়ি নয়, সব গোরসত বাড়িতেই দেখোঁচ এই রকম অশান্তি, চীৎকার-চিন্তা ও বিবেচনার সম্পণে অভাব। মেয়েরা যদি ভাল হয় তবে সত্যিই সংসারে ওরা শান্তি আনতে পারে, কিন্তু দঃখের বিষয় আমাদের দেশের মেয়েরা অধিকাংশই অশিক্ষিতা, বিশেষ কিছ জানে না, বোঝে না—তুচ্ছ বিষয়ে বড় বেশী ঝোঁক, তুচ্ছ কথা নিয়ে দিনরাত আছে। মনে আনন্দ ও সাফাত্তি কম মেয়েরই আছে। যে ধরণের সন্দাহাস্যময়ী মেয়ে সংসারে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারে, তাদের সংখ্যা খবই কম। আমি হাসিখশি বড় ভালবাসি, যে মন খালে হাসতে পারে না, আনন্দ করতে পারে না, তাকে নিয়ে সংসারে চলা যায় YA অনেকদিন পরে খাঁ সাহেব আবদল করিম খাঁর গান শািনলাম কাল ইউনিভাসিটি ইনস্টিটিউটে। ভাগলপরে থাকতে হেমেন রায়ের মাখে আবদল করিমের খব প্ৰশংসা শনি। তখন থেকে ইচ্ছা ছিল এর গান শািনব। আমি জানতুম না যে এবার All Bengal Music Conference-a ai II visiC3N Griffs (Erster rity দেখেই স্থির করলাম গান শনতেই হবে। সত্যিই খাব বড় দরের শিল্পী, তা তাঁর গান শনে কাল বঝে নিয়েচি। সত্তর বছরের বন্ধের মাখে এমন চমৎকার মিষ্টি সরে আশা করিনি, যেন সারেঙ্গী বাজচে । এবার বড়দিনের ছটি দেশে বড় আনন্দে কাটিয়েচি। বৈকালে রোজ কুঠীর মাঠে ছোট এড়াঞ্চি। ফলের বনের মধ্যে একটা চাদর পেতে বসে বসে Jeans-এর Universe Around পড়তুম। একদিন চাঁদ উঠেচে ছোট একটা চটকা গাছের পেছনে, বোধ হয়। গ্রয়োদশী, বিকেল বেলা, সে একটা অপব্ব ছবি-কতকাল মনে থাকবে ছবিটা। পরের প্রতিপদেই হালিডাঙ্গার প্রজা বাড়ি থেকে খাজনা আদায় করে ফিরচি, দিগন্তব্যাপী মাঠের মধ্যে চাঁদ উঠল, কোনদিকে কোন মানষ নেই, পশ্চিম আকাশে দীপ দাপ করচে শক্লে Ne Vb