পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সকালে আমি কিরণবাবদের সঙ্গে রওনা হয়েছিলাম। কিছদার নৌকো আসতে না আসতেই এল খাব মেঘ, সঙ্গে সঙ্গে ভীষণ ঝড়। আমরা নেমে ইটিল্ডার স্কুলঘরে আশ্রয় নিলাম। কিরণবাবর মেয়েদের ধরে নামালম একে একে। তারপর বান্টি থামলে ওখান থেকে বার হয়ে এসে নৌকোয় বসিরহাট পৌঁছেই ট্রেন খানা পাওয়া গেল । পানিতবের খালের ঘাট থেকে নৌকো চড়ে অনেকদিন আসিনি। কদিন বেশ আনন্দে কাটিয়েছি। বিধবার দিন গিয়েছিলাম সকালের ট্রেনে। নৌকো এসেছিল ঘাটে। বাড়ি পৌছে দেখি আন্নাদিদি ইত্যাদি এসেচে। সেই সন্ধ্যাবেলা পিসীমা ও সশীল পিসেমশায় এলেন, আমি তখন নদীর ধারে বসে আছি, সঙ্গে পানিতরের কয়েকটি ছেলে। প্রথম প্রথম যখন পানিতর আসতুম, তখন এসব ছেলে জন্মায়নি। রাত্রে দই ঘরের মধ্যবত্তী চাতালে বসে পিসীমা, হেনা দিদি ওদের DDD EDB D BB S BBY BBB DBB LBB DLL DBBSS S BBBBB DE ছাদের ওপর শই—কারণ কোথাও শোবার জায়গা নেই। কি বিশ্ৰী বান্টি আরম্ভ হয়েচে কাল থেকে! কাল সাপ্রভার ওখানে গিয়ে শানি সে তখন নেই। হাতে কোন কাজ ছিল না। এসে কাউন্সিল হাউসের সিড়িতে বসে রইলাম। কিছ ভাল লাগে না—অন্যমনস্ক মন। তখন স্থির করলাম শিলং থেকে কােল সকালেই চলে যাব। অথচ কালই তো মোটে এসেচি-আর তার ওপর এই বিশ্ৰী আকাশ। গরম নেই। তাই কি ? এর চেয়ে গরম ঢের ভালো ছিল যদি রন্দর উঠত। যখনকার যা, তাই লাগে ভালো। সপ্রভাকে চিঠি দেব বলে পোস্টাপিসে গিয়ে কতক্ষণ বসে রইলাম। পোস্টমাস্টার আসেই না। একটা লোক দরজির কাজ করচে, তার সঙ্গে কথাবাত্ত বলি বসে। এমন সময় দেখি আমার পরোনো ক্লাসফ্রেন্ড মনোরঞ্জন যাচ্ছে—তার সঙ্গে কাল সন্ধ্যায় ফ্যামেসিতে সাক্ষাৎ হয়েছিল---আমার সঙ্গে দেখা হয়ে ও খাব খশিই হল। কিন্তু আমার মন এই মেঘলায় যেন কিছতেই ঠিক হয়। না! পোস্টাপিস থেকে ফিরে শিলং ডেয়ারিতে দধি খেতে গেলাম। বেশ ভাল দািধ দেয়, পরিভাকার ঘরটা। জেল রোড আর পলিস বাজারের মোড়ে দাঁড়িয়ে মেঘাচ্ছন্ন লম শিলং-এর দিকে চেয়ে ভাবলাম আমাদের গ্রামে এতক্ষণ রোদে তেতে উঠেচে চারিদিক । মাঠে সোঁদালি ফল ফটেচে, ইছামতী নদীতে এই গরমে নেয়ে খাব তৃপ্তি হবে। তীব্র গরম দর করে হঠাৎ বেলা তিনটের সময় কালবৈশাখীর মেঘ উঠবে, ঝড় শর হবে, গরম পড়ে যাবে, সবাই আম কুড়তে দৌড়বে। এই এখন বসে লিখচি, টিপ, টিপ বাল্টি শহর হয়েচে, মেঘাচ্ছন্ন আকাশ। আমার ঘরের দরজা দিয়ে দরে পাহাড়ের চড়া, মেঘে ঢাকা কয়েকটি পাইন গাছ সৰ্ম্মপৰ্ণ দেখা যাচ্ছে, হোটেলের চাকর ৩নং ও ৪নং ঘরের বাবদের জন্যে গরম জলের বন্দোবস্ত করচে, জোড়হাটে বাড়ি এক আসামী ভদ্রলোক আমার সঙ্গে গলপ করচেন। কি বিশ্ৰী বলিষ্ট ! এখানে বসে বৌদ্রালোকিত বাংলা দেশ, তার মাঠ, কুঠীর মাঠে বিকেলের ছায়ায় সৌদালি ফলের মেলা, সারাদিনের গরমের পরে জ্যোৎস্নারাত্রে ইছামতীর দিনগধ জলে একা নিজজন ঘাটে নাইতে নামা, খাকুর আস্তে আস্তে আসা ওদের বাড়ির বেড়ার পাশ দিয়ে-—এসব স্বপ্নের মত মনে হচ্ছে। বলিট জোরেই নামল—শীত বেশ। আমাদের দেশের অগ্রহায়ণ মাসের মত শীত। কলকাতাও এর চেয়ে ঢের ভালো, সেখানে দােপর রোদে ইম্পিপরিয়াল লাইব্রেরী যাওয়া চলত একমাস মণিাং সংস্কুলের সময়। বৌঠাকরণদের বাড়িতে চা পান, কমল সরকারের গান—সেও যেন সবনের মত মনে হয়। কাল সন্ধ্যায় একবার ওয়াড লেকে বেড়াতে গিয়েছিলাম, সেই ট্ৰিফান দটো SRIf