পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Back Cottage-এ গেলাম। সশীলবাবা তো আমায় দেখে অবাক! আমি কোথা থেকে এলাম শিলংএ! শঙ্কর এল। ফটবল খেলে সন্ধ্যার সময়। সে বড় হয়ে গিয়েচে, जादू (शन् (bना या का । লাম, শিলংএর পাইনবনে। মেঘ জমেচে! এই সন্ধ্যায়। আমি দীর বাংলাদেশের এক ক্ষদ্র পল্লীর কথা ভাবচি। সপ্রভা বলছিল, কাল আপনি ডাউকি পয্যন্ত বেড়িয়ে আসন। শঙ্করও বল্পে, সে কাল সকালে এখানে আসবে। দেখি কোথায় যাওয়া যায়। সকালে শঙ্কর এসে ডাকাডাকি করে ঘািম ভাঙালে। তার সঙ্গে ওয়ার্ড লেক ও বোটানিক্যাল গাডেনে বেড়িয়ে মৌখরা গেলাম। ডাউকির মোটর কখন ছাড়ে দেখতে । শনলাম। এ পৰ্যন্ত রিটার্ণ টিকিট দেয় না--স্যুতরাং চেরাপঞ্জি রওনা হলাম। আবার সেই আপার শিলংএর রাস্তা! সেই পাইনবন। পথে তিন চার রকমের বন্যফল ফটে আছে প্রান্তরে, একটা হলদে, একটা ভায়োলেট, একটা লাল, একটা সাদা। ঠিক যেন মরসামী ফলের ক্ষেত। সব্বত্র অজস্র ফটে রয়েচে—চেরার একটি আগে পৰ্যন্ত । চেরাতে নেই, মােস মাইতেও নেই। যাবার সময় Gorge-এ খাব মেঘ করেছিল, খানিকদর পয্যন্ত মনে হল যেন আকাশে এরোপ্লেনে চলেচি। চেরার কাছে অদভুত আকৃতির জঙ্গল আছে—তাঁর প্রত্যেক গাছটাতে অসংখ্য পরগাছা, শেওলা ঝালচে, ফান হয়ে আছে—কি ঘন কালো জঙ্গলের তলাটা। আনারস কিনে খেলািম চারপয়সা দিয়ে একটা। খাসিয়া দোকানদার কেটে প্লেটে করে দিলে। বেশ মিলিট আনারস। একজন ডাক্তার তার ডাক্তারখানায় নিয়ে গিয়ে বসলেন। তারপর মােসামাই পৰ্যন্ত গোলাম বাসে। চমৎকার দিন আজ, মােসামাই-এর পথে নীল আকাশ একটখানি দেখা গেল। সবাই বল্লেী, এত ভাল দিন অনেকদিন হয়নি। মােসামাই-জলপ্রপাতের এপারে একটা পাথরে কতক্ষণ বসে রইলম-একাধারে সিলেটের সমতলভূমি ঠিক যেন সমাদের মত দেখাচ্চে। একসময়ে তো। ওখানে সমদ্রই ছিল, খাসিয়া জয়ন্তিয়া পাহাড় ছিল প্রাচীন যাগের সমদ্রতীর। ঢেউ এসে তাল মারত পাহাড়ের দেওয়ালের গায়ে। চেরা থেকে ফিরবার পথে আবার সেই ফলের ক্ষেত-মাঠের সব্বত্র, শৈলসােনর সব্বত্র ওই চার রকম ফলের বাগান। একটা খাসিয়া গ্রামে বাংলা দেশের গোয়ালের মত একখানা অপকৃষ্ঠািট ভাঙা খড়ের ঘরে টপিপরা ছেলেমেয়ে, ফস মেয়েরা। বেড়ার ফগেইেটা-মি- নটের বাহার দেখে মনে হল এ কোন দেশে আছি! চেরা থেকে এসে চা খেয়ে ওয়াড লেকে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলাম। খকু এতিক্ষণ ঘোলার গাঙে গা ধতে নেমেচে ) আমাদের দেশে নাটােকাঁটার ফল ফটেছে - সে এক দেশ আর এই এক দেশ! অনেককাল আগে এই গোধলিতে একটা সমিতি জড়ানো আছে, পাইনবনের মধ্যে বসে সেটা মনে আনতে বেশ লাগে। সপ্রভাদের ওখানে গিয়ে দেখি সপ্রভার বাবা এসেচেন সিলেট থেকে। আমার সঙ্গে দেখা করবার জন্যে অপেক্ষা করছিলেন। ভারী চমৎকার লোক, এমন সরল, সদানন্দ, অমায়িক সর্বভাবের ভদ্রলোক আমি কমই দেখেচি। অনেক দিন পরে সপ্রভার ছোট বৌদিদির হাতের তৈরী ভ্যানিলা দেওয়া নারকোলের সন্দেশ NGT RG || সন্ধ্যার দেরি নেই। ল’ম শিলংএর পাইন বনে মেঘ জমেছে। পশ্চিম দিগন্তে কিন্তু অলপ একটা নীল আকাশের অাঁচ-মেঘে রং লেগেচে, ওয়াড লোকের ওপারে। পাবদিকের বহন দারের আকাশে জমেচে অন্ধকার। কেবল শনি মোটরের ভোপ O