পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চলে গেছে চট্টগ্রাম-আজি সন্ধীরবাবদের দোকানে দােপরেবেলা বসে কেবলই শানি ওদের টিকিট কেনার, বাৰ্থ রিজাভ করার, হাওড়া সেন্টশনের এনকোয়ারী আপিসে ফোন করার বিপল ব্যস্ততা। হৈ চৈ এর মধ্যে ওরা নিজেদের ডুবিয়ে রেখেচেকোথাও যাব এ আমোদটা কোথাও গিয়ে পৌছানোর আমোদের চেয়ে বেশী-কিন্তু আমি শােধ বিষন্নমখে বসে বসে। ওদের আয়োজন দেখচি আর ভাবচি। এবার আমার আর কোথাও যাওয়া হল না। সপ্রভা লিখেছিল ৯ই তারিখে ওরা এখানে আসবে কাশী যাবার পথে-তাও সে চিঠি লিখেচে, এবার তার যাওয়া হল না। আমার যাওয়ার মধ্যে দেখচি খালি মজিলপারে দত্তদের বাড়ি সাহিত্য-সেবক সমিতির নিমন্ত্রণ আছে, তারা আমাকে বিশেষ করে ধরেচে। যাওয়ার সেন্যে—ঐ একমাত্র জায়গা যেখানে যাওয়া হতে পারে, কারণ তারা মোটর পাঠাবে। হয়, হয়, কি বিভ্ৰাট এবার-শিলং গেল, চট্টগ্রাম-চন্দ্রনাথ গেল, কাশী গেল, হরিদাবার গেল, মসৌরী-দেরাদন গেল - শেষকালে কি না পড়জোতে বেড়াতে যাব জয়নগর-মজিলপাের ? আরো না জানি আদলেট কি আছে! অথচ মজা এই সকলেই বলচে আমাদের সঙ্গে এস। সান্ধীরবাবরা বলচেন, চলন আমাদের সঙ্গে হরিদাবার, নীরদ দাশগঞ্জ তো কাল স্টেশনে লোক পাঠাবে, চট্টগ্রাম সেন্টশনে—কারণ কাল সকলের ট্রেনে আমার সেখানে পৌছানোর কথা পািকব ব্যবস্থামত-অপব্ববােব তো কাল কলেজ স্কোয়ারে সাধাসাধি—আমার সঙ্গে শিমলতলা চলন। সজনী বলচে আসন দ্য দিনের জন্যেও ভাগলপারে। এমন সময়েও পা ভাঙে মানষের ? পজোটা এবার একেবারে মাটি হল। অগত্যা কাল দেশেই যেতে হবে। কাল পৰ্যন্ত ভেবেছিলাম কোথাও যাওয়া হবে না। কিন্তু শেষ পয্যন্ত পা অনেকটা সেরে উঠল। রাত্রিটা বসে বসে ভাবলাম কোথাও যাব না, এটা কি ঠিক ? চাটগাঁতেই যাওয়া যাক। সকালে উঠে সেন্টশনে এসে দেখি চাটগাঁয়ের একটা স্পেশাল ট্রেন ছাড়াচে। শচীনবাবও যাচ্চে সেটিতে। বেজায় ভিড় এমন কিছ নয়—তবে ভিড় দেখলাম সন্টীমারে ও চাঁদপার ট্রেনে বসে, শোওয়া তো দারের কথা, কাৎ হবার জায়গা নেই। তার ওপরে এক এক সেন্টশনে গাড়ি দাঁড়ায় আর ছাড়তে চায় না- বিষম বিরক্তির ব্যাপার! চাটগাঁয়ে এসে নীরদবাবার বাসা খাঁজে না পেয়ে রেণদের বাড়িতে এলাম। রেণ তো অপ্রত্যাশিতভাবে আমায় দেখে খাব খশি। ওপরের একটা ঘরে নিয়ে গিয়ে তুললে। রেণর দাদা এল, মা এলেন। সবাই খাশি আমায় দেখে। রেণ। বাক্স থেকে কাপড় বের করে কুচিয়ে নীচে নিয়ে গেল সানানের জায়গায়। সনান করে খেয়ে ওদের সঙ্গে অনেকক্ষণ নানা গলপ করি। ষোল বছর আগে এদের বাড়িতে এসেছিলামআর এই এখন ষোল বছর পরে। আজ চাটগাঁয়ে বড় গরম, হােভন পাকে আমি রেণির দাদার সঙ্গে গিয়ে বসলাম-বেজায় ধলো চাটগাঁয়ের রাস্তায়। নবগ্রহ বাড়িতে সপ্তমী পজোর ঢাক বাজচে । একটা বাড়িতে প্রতিমা দশন করলাম। এবার আর হবে কি न्म 6द ओाCरू ? সন্ধ্যার সময় রেণ এসে বসে কত গলপ করলে। ওবেলা দােপরে খাওয়ার পরে একটা ঘািমব বলে শহয়েছি—রেণ এসে গল্প করতে লাগল, ঘাম চটে গেল। ও চলে গেলে ঘািমবার চেন্টা করতেই ঘািম এল ; ও কখন চা এনে দাঁড়িয়ে আছে কিন্তু আমায় ডাকে নি। সেই সময় আমায় একটি নড়তে দেখে বল্লে-উঠবেন না ? চা এনেচি, কিন্তু আপনি ঘামিয়ে আছেন দেখে আমি আর 8 SR