পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छाकिन। bा थाgबन जाने टीले। নীরদবাবদের বাসা খাঁজে পেলাম না বটে, কিন্তু সেজন্য আমার কোন কািট নেই। এদের আতিথ্যে যত্নে, সব দঃখ ভুলিয়ে দিয়েচে । সকালে রেণ্যদের বাড়িতে যখন আজ ঘােমা ভাঙল তখন জানলার ধারে শায়ে দেখি রাঙা রোদের আভাস পােব আকাশে। পরিস্কার দিনের অগ্রদত এই অরণ বর্ণ উদয় দিগন্তের। ভাবচি-আমি কি বনগাঁর বাসাব্য ? চাটগাঁয়ে এদের বাড়িতে ষোল বছর পরে এসেচি. এ যেন সর্বপ্ন। সেবার যে সেই এদের বাড়ি থেকে অন্নদাবাবার সঙ্গে ফেণী চলে গিয়েছিলাম--তারপর পথিবীতে যােগ পরিবত্তন হয়ে গিয়েচে। হাওড়ার পালের নীচে দিয়ে অনেক জল চলে গিয়েচে । তখনকার দিনের জীবন আর এখনকার জীবন! সেই আমি আর এই আমি ? তারপর ঘটেচে ঢাকা, বদ্ধমান, হরকু, চরি, ইসমাইলপত্র, গোটা ভাগলপরের জীবনটাই। তারপর আমার সাহিত্যিক জীবনের আরম্পভ—স্কুল, কত নতুন বন্ধ লাভ, সপ্রভা, খােক ওরা সব। জীবনের চলমান স্রোতে কোথা থেকে কোথায় ভাসিয়ে এনে ফেলেছে দ্যাখো!. রেণ। চা নিয়ে এল। বন্ধে বল্লে –আজি চন্দ্রনাথে চলন। বেশ যাব। কখন গাড়ি আছে দ্যাখো । সাড়ে দশটায় গাড়ি। সওয়া দশটা বেজে গেল বদ্ধর দেখা নেই। কোথায় বাইরে গেছে। আমি একলা সেন্টশনে এলাম-ফেরিওয়ালা বিক্ৰী করচে— চাই বনরটি, কেকবলবাশিংসা ! আমি ভাবি 'বলবাশিংসাঁটা কি জিনিস ? চাটিগেয়ে কোন খাবারের নাম नाक ? চাই বলাবাশিংস. বলবাশিংস. কান পেতে শনে বঝলাম লোকটা আসলে বলচে-ভাল পশিং শো। চাটগাঁয়ে 'ও'-কারান্ত শব্দের উচ্চারণ করে ‘উ-কারান্ত শব্দের মত। জোৎসনাকে বলবে জাৎসনা । শো’ হয়ে গিয়েচে শ”। যাক। চন্দ্রনাথে এসে নােমলােম বেলা বারোটা তখন। ঝাম কাম করাচে দাপরের রোদ। নীল ইসলপাতের মত আকাশ। একা হেটে ভাঙা পা নিয়ে পাহাড়ে উঠচি। পায়ের ব্যথা এখনও সারেনি—এখনও বেশ খাচ খচ করে হাঁটতে গেলে। বির পক্ষ মন্দির থেকে যাত্রীদের দল নামচে। দাপরে ঘেমে নেয়ে উঠচি। বিরপক্ষ মন্দিরে উঠতে বাঁ ধারে বনের মধ্যে দিয়ে একটা সর পথ আছে--সেইটো ধবে চললাম। বড় নিজজন রাসােতাটা। হঠাৎ বাঁ দিকে চেয়ে দেখি সমদ্র দেখা যাচ্চে। পাহাড়ের ধাব দিয়ে সর পথটা বনস্পতি-সমাকুল ঘন বনের মধ্যে দিয়ে একে বোকে উঠে নেমে উনকোটি শিবের গােহা বলে একটা ছোট গহার কাছে গিয়ে শেষ হয়েচে । ঘামের উপদ্রবে দাবার এর মধ্যে গাছের ছায়ায় শিলাখন্ডে বসেচি। একটা বনকলার পাতা হাতে নিয়েচিযেখানে সেখানে সেটা পেতে বসচি। উনকোটি শিবের গােহা দেখে ফিরবার সময় একটা ছোট ঘরের মধ্যে অনেকক্ষণ বসে রইলাম। পেছনে উচ্চ পাহাড়ের দেওয়াল, ঘন জঙ্গলাব্বত-বার ঝরে ঝরণার জলের তোড়ের শব্দ পাচ্চি। একটা কী পাখী ডাকচে, ঠিক যেন ঘণ্টা বাজচে । সামনে সমদ্রের দশ্য। সমদ্রের দিক থেকে মাঝে মাঝে বেশ হাওয়া বইচে—এই ভীষণ গরমে ও রোদে সে ঝিরঝিরে হাওয়াতে যেন সব্বাঙ্গ জড়িয়ে গেল। ডাইনে একটা উচ চড়ায় একটি মাত্র নিজজন বনস্পতি অত উচিতে সনীল আকাশের নীচে একটা অসাধারণ ছবির সন্টি করেচে। সন্দের, কিন্তু যেন অবাস্তব। 8○ দিনলিপি-৫/উৎকণা-৪