পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অত উচিতে কি গাছ থাকে ? ফিরবার পথে সেই ঝরণার ধারে বসলাম। যেমন বড় বড় গাছ জায়গাটাতে, তেমনি বড় বড় শিলাখণ্ডড। সিড়ি বেয়ে অনেকটা ওপরে উঠলাম-ওপরে বিশাল অরণ্যregular mountain forcst-বেশীদাের উঠতে সাহস হল নয়। এই মাচকানো পা নিয়ে সু-পথটাও জনহীন, শানেচি চন্দ্রনাথে বাঘ আছে। নেমে আসবার পথে প্রথমে বসলাম সিড়িটার ওপরে-মাথার ওপরে চড়ার পাশে বনের গাছপালা—তার মাথায় চিল উড়চে, দরে সমদ্র বেকে গিয়েচে। ওই সমাদের দরে গায়ে বাংলাদেশের এক ক্ষদ্র গ্রামের কত প্রতিমা, কত উৎসব! সমদ্রকে সামনে করে একটা আমলকী গাছে ঠেস দিয়ে পড়ন্ত বেলায় অনেকক্ষণ বসে রইলাম। চন্দ্রনাথ পাহাড়কে কতভাবে যে দেখলাম আজ ! এক এক জায়গায় এর এক এক স্বরপ, নামবার পথে সেই ঝরণাটার ধারে ঘন ছায়ায় আর একবার খানিকটা বসলাম, বিকেলের ঘন ছায়ায় এই বনের দশ্য উপভোগ করবার জন্যে। সেই যে নীচের পলটাতে ষোল বছর আগে রোজ সম্পধ্যায় বসতুমি এখানে থাকতে—সেইটাতে ঠিক সন্ধ্যার সময়েই আজ বসলাম। আবার এই ষোল বছরের অতীত ঘটনাবলী মনের মধ্যে একে একে উদিত হল। পরিবত্তান .পরিবত্তান...একেবারে আমি নতুন মানষে এখন। সে আমিই নেই। শম্ভুনাথের মন্দিরের ডাইনের ঘন বনের রাস্তাটি দিয়ে নামলিম। ননের মাথায় মাথায় শাদা শাদা যেন অনেকটা কাপাস তুলোর ফলের মত ফল ফটে আলো করে রেখেচে । আরও অনেক রকম ফল দেখলাম। ফেরবার পথে অখিল চক্ৰবত্তীর এক ভাই-এর সঙ্গে দেখা। অখিল সেবার আমার পাণডা ছিল-ষোল বছর আগে যখন চাটগাঁ এসেছিলাম। তাদের সে বাড়িটাও দেখলাম। একটা ছোট্ট মেটে বাড়িতে প্ৰতিমা দশন করলাম। তখন ছায়া ঘন হয়ে এসেচে। মাটির উঠান, ঝকঝকে তিকাতকে, পেছনে বাঁশের ছোচার বেড়া ও বেতবন, ছোট্ট প্রতিমাটি, কতকগলি গ্রাম্য নরনারী প্রতিমা দেখতে এসেচে, ট্যাং ট্যাং করে ঢোল বাজাচে! ওখান থেকে বার হয়ে সেন্টশনের কাছে এক বড় পাজার বাড়িতে মহান্টমীর আরতি দেখলাম। সপ্রভাদের বাড়ি পজো আছে, সে-ও এমন সময় হয়তো আরতি २65 प्राँg6श-थतू९3 । ট্রেন এল। অখিল চক্ৰবত্তীর ভাই আমার টিকিট কিনে ট্রেনে তুলে দিয়ে গেল। কত কথা ভাবতে ভাবতে চাটগাঁয়ে এলাম। এসে ওপরে বসেচি, রেণ তখনি এক গলাস শরবৎ নিয়ে এসে হাতে দিলে। তারপর চন্দ্রনাথ ভ্ৰমণের গলপ করি বসে। সবাই একসঙ্গে খেতে বসলাম রান্নাঘরে নেমে-রেণ, আমি, বন্ধ ও বন্ধের মামা। বদ্ধর মামা চন্দ্রনাথের এক পান্ডার কীত্তিকলাপ বলতে লাগল। ডায়েরী লিখবার সময় বসে বসে ভাবলাম দশমীর দিন দেশে কাটাব। এবার পাঁচ দিন পজো—তাই আজও মহাস্টমী। আজ সন্ধিপজো। কাল রাত্রে সঙ্কলপ করেচি যে যখন এবার পাঁচ দিন পজো—তখন দেশে দশমী কাটাতে হবে। সকালে উঠে বাইরের ঘরে বসেচি—রেণ এসে বল্লে, বাতাবি নেব খাবেন ? একটা ফিরিওয়ালার কাছে বাতাবি লেব কিনে বাড়ির মধ্যে থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে এল একটা প্লেটে করে। বল্লে—লেকে বেড়াতে যাবেন, তো ? আমি যােব আপনাদের সঙ্গে। দাপরে খাব ঘামিয়ে উঠলাম আজ রাত্রে ট্রেনে জাগতে হবে বলে। মোটর এল, রেণর দাদা, আমি, রেণ বেরিয়ে পড়লাম। শহর ছাড়িয়ে ছোট পাহাড়, বন্য কাঁটাল গাছ—কেলে কোঁড়া লতা এত দরেও দেখে অবাক হয়ে গেলাম। হ্রদটি জঙ্গলে ভরা, 88