পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-নেবলা। --দাডিজলিং ও হিমালয় আপনাদের কেমন লাগল ? -SS —আপনাকে আর একটি প্রশন জিগ্যেস করব। আমাকে সময় দেবেন। কি ? -আমার গলা ধরেচে। ঠাণডা লোগে। কথা বলতে কম্পট হয়। अप्रै प्राच्दान्त। বল্লম-দয়া করে এক মিনিট সময় দেবেন ? -ক বল ? —আপনার নাম কি ব্রিটিশ এসোসিয়েশন ফর সাইকিক রিসাচোঁসের সঙ্গে, জড়িত আছে ? --না, কখনো না। আমি ও জিনিস বিশবাস করি না। ইতিমধ্যে একটি মেমসাহেব অটোগ্রাফের খাতা নিয়ে এগিয়ে এল দেখে আমিও আমার পকেট থেকে মোহিত মজমিদারের পাটনার অভিভাষণখানা বার করলাম -এই একমাত্র কাগজ যা আমার পকেটে ছিল। স্যার জেমস মেমটির অটোগ্রাফ লেখা শেষ করে তাকে জিগ্যেস করলেন-আমি কি তোমার এই পেনটি ব্যবহার করতে পারি ? তারপর আমাকে অটোগ্রাফ দিলেন। সেনেট হলের মধ্যে আমিও ঢকলম স্যার জেমস জিনসের পিছৰ পিছ। ওঁদের কাউন্সিলের মিটিং বসবে-ডাঃ শিশির মিত্র মণঃ থেকে লোকের ভিড় সরাতে ব্যস্ত । শিশিরবাবকে বল্লাম-এদের মধ্যে এডিংটন আছেন ? শিশিরবাব বল্লেন-না। : ডঃ কালিদাস নাগ আমাকে নিয়ে গিয়ে পরিচয় করিয়ে দিলেন-ডাঃ এ্যালবার্ট ডেভিস মিড-এর সঙ্গে। তাঁর সন্ত্রীও সঙ্গে ছিলেন। দরজনের সঙ্গে করমন্দন করলাম ও কাড বিনিময় হল। আমি তাঁরও অটোগ্রাফ নিলাম। ভুলে আমার ফাউণ্টেন পেনাটা ডাঃ মিড-এর কাছে রেখে গিয়েছিলাম, সেনেট হল থাকার হয়ে ট্রাম লাইনের কাছে গিয়ে মনে পড়ল। ফিরে এসে সেটা আবার भ। স্যার জেমস জিনস-এর সঙ্গে আলাপ করেছি! সমরণীয় দিন না জীবনের ? আজ সারাদিনটি কি অপব্ব আনন্দে কাটল । এমন দিন কটাই বা আসে জীবনে! প্রথমে তো সকালে বিশবনাথ এসে বনগ্রাম সাহিত্যসম্মেলনের কথা বল্লেী। দেশে এমন একটা সাহিত্য সভা হবে শনে খবই আনন্দ হল! সেই আনন্দ নিয়েও যদি কমল সরকার। আমাদের দেশে যায়, তবে সে কেমন গান গাইবে প’টিদিদিদের ভাঙা রোয়াকে বসে বসে—সে কথা ভাবতে ভাবতে তো স্কুলে গেলাম। স্কুল থেকে বিকেলে সন্ধীরবাবর দোকানে গিয়ে শনি আজ স্যার জেমস জিনসের বক্তৃতা শোনা যাবে না। কার্ড বিলি করা হয়েচে, বিনা কাডে ঢাকতে দেবে না, মণীন্দ্রলাল বস ওদের নাকি বলেচে। আমি মনে ভাবলাম, এই কলকাতা শহরে এমন কোন লোক নেই যে আজ আমায় Jeans-এর বক্তৃতা শািনতে বাধা দেয়। দেখি ঢাকতে পারি। কিনা! গিয়ে দেখি সেনেটের সব দরজা বন্ধ। পেছন দিয়ে আশীতোষ মিউজিয়মে গিয়ে দেখি সেদিকেরও দরজা বন্ধ। তখন পর্বদিকের দালানের কোণের দরজা খোলা দেখে সেখান দিয়ে ঢািকলাম। দেখি অত বড় হলে মাত্র ছ'জন প্রাণী উপস্থিত। একজন তার মধ্যে বঙ্গীয় বিজ্ঞান জগতের লোক সাধাংশ। সে আমায় ডাকলে। তার কাছে গিয়েই বসলাম! কিছু পরে সোমনাথবাব সস্ত্রীক এলেন। ডাঃ সংশোভন সরকার এলেন, আমাকে দেখে পাশে এসে বসলেন। একটি পরে ভীষণ ভিড় জমে গেলঃ 9