পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লড স্যামায়েলকে বহলোকে ঘিরেচে বস্তৃতা-মড়ের ওপরে, অটােগ্রাফের জন্য। জিনস অনেকক্ষণ মোটরে বসে ডাঃ কমল মােখাদিজার সঙ্গে কি বিষয়ে কথা বলার পরে মোটর, থেকে নেমে লড স্যাময়েলের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন। লড স্যামায়েলকে বল্লেনI will see you after lunch. ašGS TO WIRIS FIG (SIG Sigris als স্যামায়েল গবানরের মোটরে চলে গেলেন। বহলোক জড় হয়েছিল। সেনেটের সামনের DD E BD DL দটো বিষয়ে দটাে অদভুত গোলযোগ ঘটল দিন কয়েকের মধ্যে, তাই সেটা এখানেলিখে রাখলাম। প্রথম কথাটা আগে বলি। ১৯১৩ সালে যখন আমি বন-গাঁয়ে, বিধবাবরে ওখানে থাকি, ফাস্ট ক্লাসের ছাত্র, তখন নতুন ‘ভারতবর্ষ বেরল। মন্মথবােব মোক্তার আমাকে তখন ‘ভারতবর্ষ পড়তে দিতেন। ‘ভারতবর্ষ'-এ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় নামক একজন নতুন লেখকের গলপ পড়ে অলপ বয়সেই মোহিত হয়ে যাইt. ভাবি, এমনধারা লেখক তো কখনো দেখি নি—ক’ত তো গল্প পড়েছি। তারপর বহদিন কেটে গিয়েছে, যাক। গত রবিবার সেই বনগাঁয়ে সেই মন্মথ মোক্তারের বৈঠকখানায় বসে গলপ করচি, অনেকে —এমন সময়ে অপবর ছেলে অরণ একখানা অমতবাজারে পত্রিকা হাতে দিয়ে বল্লে—শরৎবাব মারা গিয়েচেন, এই যে কাগজ। শরৎচন্দ্রের মতুসংবাদ কাগজখানায় বেরিয়েচে, রবিবারে তিনি বেলা দশটার সময় মারা গিয়েচেন । কি যোগাযোগ তাই ভাবি। কত জায়গায় বেড়ালম, কত দেশে গেলাম, কত লোকের বৈঠকখানায় বসলাম—কিন্তু শরৎচন্দ্রের মাতুত্যুসংবাদ কোথায় পেলাম। --না সেই বনগাঁয়ে, সেই মন্মথ মোক্তারের বৈঠকখানায়, যে আমায় অত বছর আগে শরৎচন্দের। লেখার সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয় করে দিয়েছিল! ভাববার কথা নয় ? এইবার অন্যটার কথা বলি। সেটা ঘটল অ্যাজ এখনি, এই সন্ধ্যার সময়। ১৯১৯ সালের জানায়ারী মাসে আমি মীডজাপাের সন্ট্রীটের একটা উড়ে ঠাকুরের হোটেলে দিনকতক খেতুম। উড়ে ঠাকুরটার নাম সন্দর ঠাকুর। সে এখনও আছে বেচে, তবে ওখানকার হোটেল সে আজ ১৫, ১৬ বছর উঠিয়ে দিয়েচে। মাঝে মাঝে তার সঙ্গে পথেঘাটে দেখাশোনা হয়। এখন এই ১৯১৯ সালের জানায়ারী মাস আমার জীবনে বড় শোকাবহ দন্দিন --হাতে নেই পয়সা, মনেও যথেস্ট অবসাদ ও হতাশা। গৌরী সেবার মারা গিয়েচে । সন্দর ঠাকুরের দোকানে রাত্রে গিয়ে লাচি খেতুম—কোথা থেকে যে দাম দেব না ভেবে: খেয়েই যাচ্ছি, খেয়েই যাচ্ছি। তারপর সন্দর ঠাকুরের হোটেল উঠে গেল, সেখানে অন্য কি দোকান হল । আমিও চলে গেলাম। কলকাতার বাইরে। জাঙ্গিপাড়া, হরিনাভি, চাটগাঁ, কুমিল্লা, ভাগলপাের, মঙ্গের নানাস্থানে—কোথায় বা না গিয়েচি চাকরি নিয়ে ? বহকাল পরে কলকাতায় ফিরে আবার যখন এইখানেই চাকরি নিলাম, মীডজাপাের সন্ট্রীট দিয়ে যাবার সময় সন্দর ঠাকুরের হোটেলের ঘরটা প্রায়ই চোখে পড়ত। ভাবতুম পরোনো দদিনের ঘটনা ওই ঘরটায় সেদিন আমার সেই মেঘাচ্ছন্ন দিনগলির সমিতি ঘনিষ্ঠভাবে জড়ানো-না ভেবে পারিনে। আজ একটা বালিশের খোলে তুলো ভিত্তি করার দরকার হল। পাটনায় বস্তৃত্য আছে শনিবার, সেখানে যেতে হবে, অথচ ভাল বালিশ নেই। মীডজাপাের সন্ট্রীটে এক GG