পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাটনা কলেজের হলে মিটিং। সেখানে অনেকদিন পরে অমরবাবকে দেখে বড় আনন্দ পেলাম। সেই ভাগলপরের অমরবাব! ইনি শািনলােম এখন এখানে রেভিনিউ বোডের সেক্রেটারী, কিছদিন আগে এখানকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন। তারাশঙ্করও উপস্থিত ছিল, ও আজকাল এখানেই থাকে মামার বাড়িতে। সভার টেবিলে বাবার পরোনো ডায়েরীখানা পড়ে দেখছিলাম। তিনি পাটনায় এসেছিলেন কবে। ঠিক সাড়ে ছাঁটার সময়ে সভা থেকে উঠতে হল, তারাশঙ্করকে সভাপতির আসনে বসিয়ে চলে এলাম, সঙ্গে সঙ্গে এলেন অমরাবাব। ডাকটর বিমানবিহারী মজমিদার পিছৰ পিছত এসে বল্লেন—একটা কথা বলতে সঙ্কোচ হচ্চে, আপনাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, আপনারা কলকাতা থেকে এসে বক্তৃতাটি দিয়েই পালান, এতে এখানকার লোকে দঃখিত।...একটি ছেলে দোরের কাছে দাঁড়িয়ে প্ৰণাম করলে, একবার দাবার। একবার করলে, তখন আমি ওর দিকে চাই নি। আবার যখন করলে, তখন আমি ওর কাঁধে হাত দিয়ে বাইরে নিয়ে গেলাম। বল্লম-তোমার নাম কি ? বাড়ি কোথায়? ও বল্লে—বাড়ি ভাগলপারে। আমি নবীন গাঙ্গালীর নাতি। তখন তো। আমি অবাক। ওদের বাড়ি কত গিয়েচি ভাগলপরে থাকতে সে কথা বলি। তিনকড়িকে চেন ? বলতেই বল্লে-হাঁ, তিনি আমার মেসোেমশায়। অমরবাবর মোটরে মণিকে তুলে নিয়ে চলে এলাম মণিদের বাড়িতে। ইন্দ যে কোথায় ছোড়া মাদর পেতে বসে আছে, খকু যে ম্যালেরিয়া জাবরে পড়ে ভুগচে, কেবল এই সব কথা মনে পড়ে। মণির বাড়িতে এসে চা খেতে খেতে সমরবাবার সঙ্গে ভাগলপরের দিনের গল্প করি। মোটরে আসতে আসতে তিনি মণিকে ক্ষীরোদবাবার অশরীরীর পে ঘরে উপস্থিত থাকার সেই পেটেণ্ট গলপটি করলেন। আমি তো শানে অবাক যে গত বছরের সেই সাদর্শন যােবক প্রীতি সেনই ক্ষীরোদবাবার ছেলে। কি সব অভাবনীয় যোগাযোেগ ! এবার প্রীতি সেনকে না দেখে দঃখিত হয়েচি। অমরবাবর গাড়িতেই স্টেশনে এলাম। মণি শেষ পয্যন্ত রইল। কত পরোনো দিনের গলপ হল অমরবাবার সঙ্গে। ওর সাদর আলিঙ্গনটি বড বন্ধত্বের চিহ্ন। ট্রেনে ব্যক্তিয়ারপর নেমে কালীদের বাড়ি এসে দেখি সে কোথায় থিয়েটারের রিহাসেলে গিয়েচে ; একটা পরেই এল। কত রাত পৰ্যন্ত গলপ হল। ঠিক হল কাল রাজগীর যাওয়া হবে। সকালের ট্রেনে । কালী ও কালীর মামাশবশীর আমার সঙ্গেই ছিল। শো স্টেশনের একটা জায়গা দেখিয়ে কালী বল্লে-ওখানে আমাদের ‘রাসচক্র” সভা হয়েছিল, আমি একটা কবিতা পড়লাম। আমি বল্লম-তুমি কবিতা লেখো না কি ? বল্লে-শোনাব এখন ? বাড়িতে আছে। আহা, ওরা সভা-সমিতিতে যেতে পারে না, এক-আধটা হলো কি খশিই হয় । Ignominous thirsts for respect f <son (GICs feig föCT চেরো, হরনৌৎ-এই সব সেন্টশনের নাম। অপকৃলট ও নোংরা বিহারের বসিত। ধলো, ধলো—সব্বত্র ধলো। ধলো-পড়া পোড়া, খোয়া ক্ষীর (এদেশে বলে মেওয়া) ও তিলীয়া বিক্ৰী হচ্চে দোকানে। এক ঘরের দেওয়ালের গায়ে আর এক ঘর বাড়ি তুলেচে। শো সেন্টশনে বেণ্ডকটেশবির প্রসাদ বলে একজন হিন্দি গ্ৰাম্য কবির সঙ্গে আলাপ হল। লোকটিকে এখানে সবাই পাগল বলে—তা তো বলবেই। কবিকে চিনবার ( C.