পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পর দপারবেলা প্ৰবোধবাবার সঙ্গে মোটরে বার হয়ে কলেজ বেড়িয়ে এলাম। অত্য বড় কলেজের বাড়িটা বাংলাদেশের অন্য কোন কলেজে নেই বলেই আমার ধারণা। ছাদে উঠে দােপরেবেলা চারিদিকে চেয়ে বেশ লাগল। কলেজ কম্পাউন্ড খাব ফাঁকা। তাজহাট রাজবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে তাদের বড় বৈঠকখানায় আমরা সবাই বসে রইলামঅনেকগলো ভারী সন্দর হাতীর দাঁতের চেয়ার দেখলাম—যেমন অনেক বছর আগে আগরতলার রাজপ্রাসাদে দেখেছিলাম—আমার তখন চব্বিশ বছর বয়স-প্রায় আজ চৌদ্দ বছর আগেকার কথা। আবার বিকেলে টাউন হলে সভায় আসবার আগে মাহিগঞ্জে রবি মৈত্রের বাড়ি যাওয়া গেল। রবি থাকতে কতবার আসতে বলেছিল, কখনো যাওয়া হয় নি, আজ সে নেই ভেবে কষ্ট হল। রবির দই দাদাকে দেখতে অনেকটা তারই মত যেন। মাহিগঞ্জ থেকে আসতে পথের দাধারে বড় বড় পাতাওয়ালা গাছ-এখানে ‘চোৎরা গাছ' বলে—বিছটি গাছ, পাতা গায়ে লাগলে সাংঘাতিক ଅଁCଟ । বৈকালে সভার সময়ে যখন সঙ্গীত প্রতিযোগিতা হচ্ছিল, আমি, জনৈক অধ্যাপক অমল্য বাস টাউনহলের সামনে মাঠে ঘাসের ওপরে সন্ধ্যার কিছ পাব্বে বসে ছিলম -আমি তো দারের আকাশ দিয়ে পািব্বদিকে সব সময়ই চেয়ে। কতদরে কোথায় কে কি করাচে, সেই চিন্তাতেই ভরপাের। সভান্তে জ্যোৎসনারাত্রে রায় বাহাদর বসন্ত ভৌমিকের বাড়ি চা-পাটি। খাব গোলাপ ফটেচে বসন্তবাবার বাগানে। তিনি আমাকে তাঁর পড়ার ঘর দেখালেন—বেশ সাজানো, আর অনেক বই আছে। এদেশে ঘর তৈরী করার পদ্ধতি আমার বেশ সদশ্য লাগল। প্ৰবোধবাবার বাড়িতেও আবার অনেককে নিমন্ত্রণ করা হয়েছিল—অনেক রাত পৰ্যন্ত গল্পগজব করে বসন্তবাব মজলিশ জমিয়ে রাখলেন। পরদিন সকালে আবার সভা। দাপরে একটি ঘােমই। বৈকালের দিকে শহরের কয়েকটি গণ্যমান্য ভদ্রলোক দেখা করতে এলেন। বৈকালে সভার সময় মোটর থেকে নেমেই দেখি ভিড়ের মধ্যে থেকে জেলি ও পাগলা, আমাদের গাঁয়ের, দেখা করতে ছটে এল। ওরা এখানে লালমনিরহাটে রেলে কাজ করে, আমি এখানে এসেচি শনে লালমনিরহাট থেকে দেখা করতে এসেচে। সভার পরে প্রবোধবাবার বাড়িতে চা খেয়ে সন্ধ্যার কিছ পিন্ধেব সেন্টশনে রওনা হলাম। শহরের কয়েকটি ভদ্রলোক আমায় তুলে দিতে এলেন। খাব জ্যোৎস্না, পািব্বদিকের আকাশও খাব উত্তজবল। গরম একেবারেই নেই। পাব্বিতীপরে গাড়ি বদল করে নর্থ বেঙ্গল এক্সপ্রেসে চড়ে বসলাম ! জ্যোৎসনারাত্রে পদ্মা দেখে বড় ভাল লাগল। ভোর হল ।রাণাঘাট সেন্টশনে-তখনও VNIKEGis RFB SGSG5 | কলকাতার বাসায় গিয়ে স্নান করে বসে আছি, এমন সময় নীরদবাবার ড্রাইভার এসে খবর দিলে গাড়ি এসেচে। নীরদবাবা সস্ত্রীক গালডি, যাচ্ছেন, আমায় সেই সঙ্গে যেতে হবে। তখনি জিনিসপত্র বেধেছেদে আবার রওনা। নাগপাের প্যাসেঞ্জার বেলা তিনটার সময় গালডি পৌছলো। পথে খড়গপরের পরে উচ, ডাঙ্গা ও শালবনের দশ্য দেখবার লোভে দাপরে একটা ঘাম এল না চোখে। বহদিন পরে আবার নামলিম গালডি-আজ বছর তিন-চার আসিনি-১৯৩৪ সালের পজোর পর আর কখনো আসিনি। তবে সে গালডি এখন অনেক বদলে গিয়েচে । নেকড়েডুংরি পাহাড়টা ন্যাড়া, তার নীচেকার সে চমৎকার শালচারার জঙ্গলটা অদশ্য। কে পাথর কেটে নিয়ে যাচ্চে পাহাড়টা থেকে, রোজ সকালে একদল গরর গাড়ি এসে পাথর কেটে বোঝাই করে নিয়ে যায়-পাহাড়টা এবার গেল। এদিকে কারো জ্ঞান নেই V! Nq